প্রতিদিনের মত আকাশ মেঘার শাড়ির আঁচল নামিয়ে গভীর আশ্লেষে বুকে মুখ রাখে। আজো অপমানের জ্বালা মেটাবেই মেঘার শরীরটা ক্ষত বিক্ষত করে, কিন্তু হঠাৎ মেঘা সজোরে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়।না কিছুতেই সে বরুণের ভালোবাসা কে নষ্ট হতে দেবেনা।
মেঘার মনে পড়ে মাসদুয়েক আগেই, বরুণের স্টুডিওতে একটা ল্যান্ডস্কেপ এঁকে নিয়ে গেছিলো। বরুণ বলেছিলো যে ছবিটা একটু অন্য রকম করে বাঁধিয়ে দেবে। তাতে ছবিটা আরো ফুটবে। মেঘাকে বসিয়ে চা করতে যায়। বরুণ চা নিয়ে ফিরে এসে দেখে, মেঘা খুব মন দিয়ে আর ছবি গুলো দেকছে। হঠাৎই বরুণের চোখে পড়ে মেঘার পিঠে কালো দাগ। খুব জোরে ধাক্কা খেলে বা আঘাত পেলে যেমন হয়। সে এসে মেঘাকে জিজ্ঞাসা করে 'এটা কিসের দাগ মেঘা?' মেঘা ঝরঝর করে কেঁদে ফেলে। বলে ' আকাশ কিছুতেই ডাক্তারের কথা মানতে চাইছে না। রোজ রোজ অত্যাচার সীমা ছাড়াচ্ছে। শ্বাশুড়ি মা আমার ঠাকুর ঘরে ঢোকা থেকে শুরু করে সব শুভ কাজ থেকে বাদ করে দিয়েছে। বাড়িতে আত্মীয়রা এলেই তাদের সামনে আমায় বাঁজা বলে অপমান করেন। আমি আর পারছি না। ' বরুণ মেঘাকে বুকের মধ্যে টেনে নেয় বলে ' মেঘা বেরিয়ে এসো এই সম্পর্ক থেকে চল আমরা দূরে কোথাও চলে যাই। আমি তো তোমায় ছাড়া কাউকে ভালোবাসতে পারিনি।তোমার বাবা আমার সাথে বিয়ে দিতে রাজি হলেন না। আজ তো তিনি নেই তোমার এই যন্ত্রণা কি সহ্য করতে পারতেন? ' মেঘার থুতনি তুলে কপালে চুমু খায়। তারপর তার অবচেতন মনেই ঘনিষ্ঠ হয়ে যায়। এরপর মেঘা ফিরে আসে। মাস খানেক আগেই সে বরুণকে জানায় যে তার প্রেগন্যান্সির রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে। বরুণ দারুণ খুশি হয় সে বলে মেঘাকে, পরের সপ্তাহে শিলং এ একটা এক্সিবিশন থেকে ফিরেই সে মেঘাকে নিয়ে চলে আসবে। ডিভোর্স এর জন্য উকিলের কাছে যাবে। মেঘা এবার মুক্তির স্বপ্ন দেখা শুরু করে। তারপর সপ্তাহ খানেক বাদে।
আকাশ কে বলে "আজ থেকে আর না এসব আমি মা হতে চলেছি "। কিছুক্ষণ আকাশ থমকে থাকে ভাবে এও কি সম্ভব! তারপর সে উঠে গিয়ে দরজা খুলেই সাথে সাথে তার মা কে ডেকে বলে "মা শুনে যাও আমি বাবা হচ্ছি "।
পরেরদিন সকালেই সারাবাড়িতে খুশির জোয়ার যাক গুরুদেবের দেওয়া প্রসাদে শেষে বাঁজাটার কোল ভরলো।
পরেরদিন সকালেই সারাবাড়িতে খুশির জোয়ার যাক গুরুদেবের দেওয়া প্রসাদে শেষে বাঁজাটার কোল ভরলো।
সবাই গুরুদেব আর আকাশ নিয়ে ব্যস্ত....
মেঘা নিজের ঘরে একা বসে ভাবছে যদি না বরুণের কাছে সেদিন নিজেকে সমর্পণ না করতো ,যদি না বরুণ তাকে এমন করে ভালোবাসত তবে হয়ত সারাজীবন তাকে বাঁজা অপবাদ নিয়ে বেঁচে থাকতে হোতো। আর তাকে মাথা নিচু করে বাঁচতে হবেনা। কিছুমাস পরেই তার কোলে ফুলের মত সুন্দর একটা সন্তান আসবে,এটাই তো বরুণ চেয়েছিল।
নিজের মান বাঁচাতে আকাশ ও কাউকে বলতে পারবে না যে এ তার সন্তান নয়। ডাক্তার বলেই দিয়েছিলেন যে দোষ মেঘার নয়, আকাশেরই।
মেঘা নিজের ঘরে একা বসে ভাবছে যদি না বরুণের কাছে সেদিন নিজেকে সমর্পণ না করতো ,যদি না বরুণ তাকে এমন করে ভালোবাসত তবে হয়ত সারাজীবন তাকে বাঁজা অপবাদ নিয়ে বেঁচে থাকতে হোতো। আর তাকে মাথা নিচু করে বাঁচতে হবেনা। কিছুমাস পরেই তার কোলে ফুলের মত সুন্দর একটা সন্তান আসবে,এটাই তো বরুণ চেয়েছিল।
নিজের মান বাঁচাতে আকাশ ও কাউকে বলতে পারবে না যে এ তার সন্তান নয়। ডাক্তার বলেই দিয়েছিলেন যে দোষ মেঘার নয়, আকাশেরই।
তাও আকাশ প্রতিদিন তার বাড়ির সবার সাথে মিলে মেঘাকে মানসিক অত্যাচার করত রাতে সে চালাতো শারীরিক অত্যাচার। বাবা মারা যাওয়ার পর মেঘার আশ্রয় ছিলোনা কোথাও। এক বরুণই ছিলো তার আপনজন জীবনে। সারাজীবন সে অত্যাচারিত হতেই থাকত। পাহাড়ে ছবির এক্সিবিশনে গিয়ে গাড়ি এক্সিডেন্টে বরুণ মারা না যেত তবে আজ সে তার কাছেই চলে যেত সব ছেড়ে।কিন্তু বিধির বিধান খন্ডায় কে?
আর আকাশ, সে কি ভাবছে কি বলবে সবাইকে যে এই সন্তান তার নয়। না পারেনি বলতে তার মেকি পৌরুষে আটকেছে, তাকে এবার মেনে নিতেই হবে এই সন্তান কে নিজের সন্মান রক্ষার্থে।
আর আকাশ, সে কি ভাবছে কি বলবে সবাইকে যে এই সন্তান তার নয়। না পারেনি বলতে তার মেকি পৌরুষে আটকেছে, তাকে এবার মেনে নিতেই হবে এই সন্তান কে নিজের সন্মান রক্ষার্থে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন