কণা পিসিরা বড্ডো বোকা হয়
====================
নাকে জ্বলছে কাচ কাটা হীরের নাকছাবিটা। মধ্যমায় আড়াই প্যাচ আংটি। ডান পায়ে পাঁচ আঙুলের সাথে বাড়তি একটা ছোট্ট আঙুল।
আজও তোমাকে এভাবে মেরেছে গৌতম? ইস, কালসিটে পড়ে গেছে চারিদিকে। আর কত সহ্য করবে? তুমি থানায় যাচ্ছো না কেন?
মুখে আঁচল পুরে নৌকার তল ফুটো হওয়া দুপুরে হাপুস নয়নে কাঁদতে কাঁদতে বললো কোথায় যাবো?
তোমার তো আজ কোনো নালিশ থাকতে নেই। আঁচল মুখে গুজে গুমরানো কান্নাগুলোই তোমার সাথি। ভালোবাসা তোমাকে কাঙাল করেছে, কোন দুয়ার দেবে ঠায়?
আগের সংসারেও তো ঠাই ছিলোনা বৌদি। অপমান আর অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে কলঙ্ক নিলাম স্বেচ্ছায়।
তখন মুখ পুড়িয়ে ছিলে। আজ তো ভিখারি। কি পেলে কণা দি? সতীনের সংসার কেমন হয় জানতে সাধ হয়েছিলো বুঝি? পুরুষ কবে ঘর বাঁধতে পারে কণা দি?
এতটা ভাবিনি সেদিন। বিশ্বাস আর ভালোবাসা আমাকে অন্ধ করেছিলো। প্রতিদিনের অপমান, লাঞ্ছনা থেকে কিছুটা শায়েস্তাও চেয়েছিলাম বোধহয়।
বড়ো ইচ্ছে জেগেছিলো বিষবৃক্ষ পুঁতবে তুমি। চোখের জল মোছো। গোড়া থেকে তুলে দাও গাছ। অন্ধদের স্কুলে ছেলেমেয়েরা যদি রান্নার মশলা, সেলাই, নানারকম হাতের কাজ করে ভবিষ্যতে দাঁড়াতে চায়। তুমিও পারবে। রান্নাটা তুমি ভালোই করো। মাথা তুলে বাঁচো।
মুক্তি খুঁজতে গিয়ে নিষ্কৃতি এখন আমার বড়ো দায় হয়ে গেলো বৌদি। এভাবে নিঃস্ব হবো কখনো ভাবিনি।
দেখলাম কণা পিসি আংটিটা আনমনে ঘোরাচ্ছে। আর পায়ের বাড়তি আঙুলটা ওঠানামা করছে মাটিতে। সোফা থেকে উঠে কণা পিসি মায়ের দিকে তাকিয়ে বললো, পারবো বৌদি। আবার দেখা হবে.....
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন