কালবৈশাখী তান্ডব============বারমাসী চৈত্র সংক্রান্তির উৎসবরোদ খরা ঠা ঠা দুপুর চতুর্দিকলাল মরিচের ঝালে মুখ পোড়া টিয়েসুদিনের আপেক্ষিক আবেদিত মনেতৃষ্ণার্ত ইচ্ছের দুয়ারে বিনয়হনি বিনোদবাউরী বায় তার বারমাসী বৈশাখক্লান্তিহীন নদী উজানে স্রোতের নাইউরবাকলে বাকল ঘষে প্রস্তুর আগুনএই কথা সেই কথা দিনের অস্তলালিমার অগ্নিকণায় আভায় উজ্জ্বল বারুদরাতের আকাশ পোড়ে বিজুলির ফুলকিতেজলের আগুনে পোড়ে সমতটি ঠমকেপুড়ে যায় সমস্ত প্রশান্তির মোহসর্বজনীনেরা সুখভোগী সুজন সখা হেপানিফুল ফুটে যায় বিস্তুর বুদবুদসোনালুর ফুলের বুকে গভীর উৎসুকচৈত্রের চোখ রাঙানি না না ছল ছুতোয়অন্দরে যে কাল বৈশাখী তান্ডবকে তার খবর লয় ?
স্বপ্নের আকাঙক্ষা============কেউ কেউ মান-অভিমান বুঝেনাচাওয়া-পাওয়া হিসেব মিলেনা তাইদূরে যাবে না বলেই কাছে থাকাকাছে থেকেও যোজন যোজনের দূরত্বইশারার ভাষা ভূলে সরাসরি ডায়লগেতারপর দেখা গেলো ফুরিয়েছে প্রয়োজনঅস্বাবিকতাই স্বাভাবিকতাএখন বছর জুড়েই থাকে চৈত্রের আয়োজন !বৈশাখের সেই শুভদিনকেবল স্বপ্নের আকাঙক্ষা।
অগ্নি চাষ করে যাই============ডাকাতিয়ার ছোঁবল একদিন লেগেছিলোজোনাকহীন রাতের শূন্য বুকে ..সেই থেকে ভালোবাসার ডাক শুনলেবাতাসের আগে ছুটে যাইডাকাতিয়ার বুকে এখন চৈত্রের খরাডানপিটে কৃষক এখন বামের ঘরেকামের ঘরে ঘাম বৃথাইদিনরাত থরোথরো অগ্নি চাষ করে যাই !
ভাগ্যের পরিহাস============কথায় আছে বছরের প্রথম দিন যা যা করবেপুরো বছর জুড়ে তেমনি দিন যাবেবছরের প্রথম দিনের শুরুতেইধারাবাহিক রাতের অভিমান ও ক্ষোভবছরের শুরু কি আর শেষই কী ?কপাল জুড়ে মঙ্গল তিলক দিলেই -কী অমঙ্গল দূর হয় ?নিয়তি সেখানেই জিতে যায়ভাগ্যে করে যায় শুধুই পরিহাস !
নিয়তির অধিক============ঝড় ঝাপটায় নদী তীরে মাটিক্ষয়ে ক্ষয়ে যায়কাছের সম্পর্ক গুলোও একদিনদূরে সরে যাচ্ছে ধীরে ধীরেস্বার্থ ও আভিজাত্যের মোহ মানুষএকটা সময়ে অহংবোধে ভোগেমানুষ অধিক ভালোবাসে যাকেতার কাছে মিলে চরম অবহেলানির্ধারিত নিয়তির অধিকযাওয়া হয়ে ওঠে না অনেকেরই !
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন