ঘুমিয়ে পড়েছিলাম – স্বপ্ন দেখলাম – আমায় কেউ দলাই মলাই করছে। কিছুক্ষণ পর বুঝলাম মার খাচ্ছি – পড়ে পড়ে মার খাচ্ছি বেদম। পিঠে, মাথায়, মুখে, সর্বত্র। চাকা চাকা দাগ হয়ে গেছে শরীরে। আমি নাকি দেয়ালের লিখন পড়ে শোনাচ্ছিলাম তাই। ওটা যে অপোনেন্ট পার্টির লেখা সেটা তো বুঝতে পারিনি। মারের পর ওরা আমাকে টেনে হিঁচড়ে ফেলে দিল ধাপার মাঠে। বলল – যা শালা, কাক শকুনে খাবে তোকে!
ধাপার মাঠের নোংরা ভ্যাপসা গন্ধে বমি উঠে আসছে। মারের চোটে নড়তে পারছি না – যে এখান থেকে পালিয়ে যাব। চারদিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার – এমন সময় একটা খসখস আওয়াজ। প্রথমে কিছুই ঠাহর হল না তারপর দেখি অন্ধকারে আমার দিকে এগিয়ে আসছে দুটো জ্বলজ্বলে চোখ। নিষ্পলক আমার পানে তাকিয়ে। ভয়ে ঘাবড়ে গেলাম। ধাপার মাঠে বাঘ নেই কিন্তু নেকড়ে থাকতেও পারে।
চোখদুটো আরো এগিয়ে এল। প্রমাদ গুনছি মনে মনে – আর বুঝি শেষরক্ষা হল না। আমার মুখের ওপর গরম নিঃশ্বাস… গেল… গেল… ভাল করে ঠাহর হচ্ছে না জন্তুটা কি। হঠাত মনে হল আমার রক্তাক্ত মাথাটা মুখটা কেউ জিভ দিয়ে চাটছে। হাত নেড়ে তাড়াতে গেলাম, নড়ল না, আপনমনে সারা গা আমার চাটতে লাগল।
এবার বুঝলাম। এটি একটি সারমেয়। সাদা-কালো যেমন পাড়ার কালু-ভুলু হয়। বোঝাই যাচ্ছে ধাপার কুকুর হলেও শান্তিপ্রিয়, দজ্জাল নয়। বোধহয় সবে এ তল্লাটে এসে জুটেছে।…… আঃ খসখসে জিভের ছোঁয়ায় কি সুখ যে পাচ্ছি……চটকা ভেঙে গেল… ধড়মড় করে বিছানায় উঠে বসি। ওমা সকাল হয়ে গেছে। চারপাশে দুমদাম আওয়াজে মালুম হচ্ছে রাস্তায় বোমাবাজি চলছে। হতেই পারে – ইলেকশনের গরম!
ধাপার মাঠের নোংরা ভ্যাপসা গন্ধে বমি উঠে আসছে। মারের চোটে নড়তে পারছি না – যে এখান থেকে পালিয়ে যাব। চারদিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার – এমন সময় একটা খসখস আওয়াজ। প্রথমে কিছুই ঠাহর হল না তারপর দেখি অন্ধকারে আমার দিকে এগিয়ে আসছে দুটো জ্বলজ্বলে চোখ। নিষ্পলক আমার পানে তাকিয়ে। ভয়ে ঘাবড়ে গেলাম। ধাপার মাঠে বাঘ নেই কিন্তু নেকড়ে থাকতেও পারে।
চোখদুটো আরো এগিয়ে এল। প্রমাদ গুনছি মনে মনে – আর বুঝি শেষরক্ষা হল না। আমার মুখের ওপর গরম নিঃশ্বাস… গেল… গেল… ভাল করে ঠাহর হচ্ছে না জন্তুটা কি। হঠাত মনে হল আমার রক্তাক্ত মাথাটা মুখটা কেউ জিভ দিয়ে চাটছে। হাত নেড়ে তাড়াতে গেলাম, নড়ল না, আপনমনে সারা গা আমার চাটতে লাগল।
এবার বুঝলাম। এটি একটি সারমেয়। সাদা-কালো যেমন পাড়ার কালু-ভুলু হয়। বোঝাই যাচ্ছে ধাপার কুকুর হলেও শান্তিপ্রিয়, দজ্জাল নয়। বোধহয় সবে এ তল্লাটে এসে জুটেছে।…… আঃ খসখসে জিভের ছোঁয়ায় কি সুখ যে পাচ্ছি……চটকা ভেঙে গেল… ধড়মড় করে বিছানায় উঠে বসি। ওমা সকাল হয়ে গেছে। চারপাশে দুমদাম আওয়াজে মালুম হচ্ছে রাস্তায় বোমাবাজি চলছে। হতেই পারে – ইলেকশনের গরম!
আচমকা দরজায় ঠকঠক…। বাঁচাও, মেরে ফেলল রে… দরজা খোল… কে আছ। ঘুমচোখে গিয়ে দরজা খুলি…চারদিক ধোঁয়াচ্ছন্ন… ইতিউতি দেখছি এমন সময় আমাকে ধাক্কা মেরে কে একজন ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিল। কিন্তু একি… এ তো সেই ছেলেটা, কালরাতে যে আমাকে পেটাচ্ছিল! ওকে দেখেই আমার ভেতরকার কালু গর্গর্ করতে লাগল, প্রায়শ্চিত্ত… প্রায়শ্চিত্ত। আবার দরজায় ধাক্কা। - দরজা খোল হারামজাদা, নইলে ভেঙ্গে ফেলব। ছেলেটা হঠাত আমার গলায় একটা মস্ত ছুরি চেপে ধরল। -দরজা খুলেছিস কি জানে খতম! ছুরিটা এতটা চেপে ধরেছে যে কেটে রক্ত বেরোচ্ছে। আতঙ্কে আমার গলা দিয়ে আওয়াজ বেরোচ্ছে না... রক্ত রক্ত – কি জানি ঐ রক্ত দেখেই কিনা কে জানে, আমার ভেতর থেকে কালু বেরিয়ে এসে একলাফে বদমাশটার টুঁটি চেপে ধরল...মর শালা! দরজায় তখনো ধাক্কা দিচ্ছে পার্টির গুণ্ডাগুলো।।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন