রতন গরিব চাষীর ছেলে। আজ মোষ দুটোকে নিয়ে মাঠে চড়াতে গ্যাছে। সকালে বাবার বকুনি আজ মাত্রাতিরিক্ত হয়ে গিয়েছিল– লকডাউনে স্কুল বন্ধ, পড়াশোনা ডকে তুলে রাতদিন শুধু খেলা আর খেলা। আমি একা নাকে দড়ি দিয়ে খেটে মরছি, আর উনি আজ এমাঠ তো কাল ও মাঠে খেলে বেড়াচ্ছেন। পেটে টান পড়লে বাড়িতে ঢোকেন। কবে থেকে বলছি মোষদুটোকে বিলের ধারে চড়াতে নিয়ে যেতে, ফনফনে ঘাস খেয়ে দুধ দেবে বেশি। কিন্তু কানে ঠুলি এঁটে, কে কার কথা শোনে।
আজ রতন মায়ের কাছ থেকে গামছায় মুড়ি-বাতাসা বেঁধে মোষদুটোকে নিয়ে বের হলো। পথে ধনার সাথে দেখা হতে বললো– তুই মোষ চড়াতে যাচ্ছিস, এদিকে হাবুল ঠিক করে রেখেছে আজ নপাড়ার সাথে আমাদের পাড়ার ফ্রেন্ডলী ম্যাচ হবে। তোকে তাই ডাকতে যাচ্ছিলাম।
রতন উদাসভাবে বললো– আজ আমি খেলবোনা, মোষদুটোকে কচি ঘাস খাইয়ে নিয়ে আসি---এই বলে এগিয়ে গেল।
ধনা খেলা পাগল রতনের পেছন দিকে তাকিয়ে থাকলো।
রতন উদাসভাবে বললো– আজ আমি খেলবোনা, মোষদুটোকে কচি ঘাস খাইয়ে নিয়ে আসি---এই বলে এগিয়ে গেল।
ধনা খেলা পাগল রতনের পেছন দিকে তাকিয়ে থাকলো।
কচি ঘাস পেয়ে মোষদুটো মহানন্দে খাচ্ছে। রতন দুপুরে মুড়ি-বাতাসা খেয়ে, কাঁচের মতো বিলের জল চো-চো করে খেলো। সারি দিয়ে দাঁড়ানো তালগাছের ঝিরঝিরে বাতাসে গাছের ছায়ায় গামছা পেতে শুয়ে পড়লো।
ঘুম ভেঙে ধড়ফড়িয়ে উঠে রতন দ্যাখে সন্ধ্যে হয়ে গ্যাছে। আবছা অন্ধকারে মোষদুটোকে দেখা যাচ্ছে না। ওরা চেনা পথ ধরে বাড়ি চলে গ্যাছে। রতন বাড়ির দিকে পা বাড়ালো। দু-একপা যেতেই ছোট ছেলের কান্নার আওয়াজ। ও শুনেছে সন্ধ্যে হলে বিলের ধারে ভূতের আনাগোনা শুরু হয়। দৌড় দৌড়, একেবারে বাড়ির উঠোনে এসে দম নিলো। দ্যাখে মোষদুটো ওদের নির্দিষ্ট জায়গায় বাঁধা। কটমটিয়ে ওদের দিকে তাকালো ওকে একা ফেলে চলে আসার জন্য।
ঘুম ভেঙে ধড়ফড়িয়ে উঠে রতন দ্যাখে সন্ধ্যে হয়ে গ্যাছে। আবছা অন্ধকারে মোষদুটোকে দেখা যাচ্ছে না। ওরা চেনা পথ ধরে বাড়ি চলে গ্যাছে। রতন বাড়ির দিকে পা বাড়ালো। দু-একপা যেতেই ছোট ছেলের কান্নার আওয়াজ। ও শুনেছে সন্ধ্যে হলে বিলের ধারে ভূতের আনাগোনা শুরু হয়। দৌড় দৌড়, একেবারে বাড়ির উঠোনে এসে দম নিলো। দ্যাখে মোষদুটো ওদের নির্দিষ্ট জায়গায় বাঁধা। কটমটিয়ে ওদের দিকে তাকালো ওকে একা ফেলে চলে আসার জন্য।
– কখন সন্ধ্যে উৎরে গ্যাছে, মোষদুটো সেই কখন বাড়ি ফিরে এসেছে। আর তুই ওদের বাড়ির পথ দেখিয়ে নাওয়া খাওয়া বাদ দিয়ে খেলতে গিয়েছিলি? এদিকে তোর দিদি কখন থেকে ভাই ভাই করছে ---মা বললো।
রতন– দিদি এসেছে, আমার গুবলুটা কই?
রতনের দিদি ঘর থেকে বেরিয়ে এসে বললো– কতদিন তোকে দেখিনি ভাই, তোর জামাইবাবুর কোলে চেপে গুবলু তোর খোঁজে গ্যাছে।
এই সময় রতনের জামাইবাবু গুবলুকে কোলে নিয়ে বাড়ি ঢুকে বললো– আমি খেলার মাঠে রতনের খোঁজ করতে গিয়েছিলাম, ওখানে ও যায়নি দেখে ভাবলাম আজতো রতন বিলের ধারে গিয়েছিল সেখানে একবার দেখে আসি। ওখানে তালগাছের জন্য অন্ধকার হয়ে গিয়েছিল দেখে যাওয়া মাত্রই গুবলু কেঁদে উঠলো। রতনকে দেখলাম আমার পাশ দিয়ে চো- চা দৌড় দিলো।
রতন– দিদি এসেছে, আমার গুবলুটা কই?
রতনের দিদি ঘর থেকে বেরিয়ে এসে বললো– কতদিন তোকে দেখিনি ভাই, তোর জামাইবাবুর কোলে চেপে গুবলু তোর খোঁজে গ্যাছে।
এই সময় রতনের জামাইবাবু গুবলুকে কোলে নিয়ে বাড়ি ঢুকে বললো– আমি খেলার মাঠে রতনের খোঁজ করতে গিয়েছিলাম, ওখানে ও যায়নি দেখে ভাবলাম আজতো রতন বিলের ধারে গিয়েছিল সেখানে একবার দেখে আসি। ওখানে তালগাছের জন্য অন্ধকার হয়ে গিয়েছিল দেখে যাওয়া মাত্রই গুবলু কেঁদে উঠলো। রতনকে দেখলাম আমার পাশ দিয়ে চো- চা দৌড় দিলো।
রতন– ও জামাইবাবু তুমি আমার খোঁজ করতে গিয়েছিলে? আমি গাছের তলায় ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম, ঘুম ভাঙতে দেখি সন্ধ্যে হয়ে গ্যাছে। তুমিতো জানো বিলের ধারের জায়গাটা সন্ধ্যের পরে খারাপ হয়ে যায়
জামাইবাবু– ও ও তাই তুই গুবলুর কান্নার আওয়াজ শুনে ভূত দেখার মতো দৌড় দিলি
জামাইবাবু– ও ও তাই তুই গুবলুর কান্নার আওয়াজ শুনে ভূত দেখার মতো দৌড় দিলি
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন