ভয়
======================
অস্তিত্ব টা বিপন্ন হতে বসেছিল! ভুবন মাঝির।জেলে বৌ পই পই করে বারণ করেছিল! কালো জলে মাছ ধরতে যেও না,অত লোভ ভালো নয়! ভুবন শোনে নি,চিত্ত আর গোপাল কে সঙ্গে নিয়ে ডিঙি নৌকোয় চেপে,কালো জলের গভীরে মাছের সন্ধানে জাল নিয়ে বেড়িয়ে পরল! ওখানে বাঘের নজর তা ভুবন জানত।কিন্তু বেশি মুনাফার আশায় জীবনের পরোয়া না করেই,কালো জলে জাল পাততে গেছিল।
মাছ উঠল অনেক,বাগদা চিংড়ি।আর কিছু কুচো মাছ।
ভুবন মাছ নিয়ে হাঁড়িতে ভরছে আর মনে মনে বলছে ভাগ্যিস! কুন্তলার কথা কানে দিই নি!নইলে এত মাছ পেতাম কি করে? চল চল জাল গোটা আজকেই মহাজনের টাকা শোধ করে দেব নে।
জাল গুটিয়ে ডিঙি ফেরত মাঝি যেই না নৌকো ঘুরিয়েছে ওমনি জঙ্গল থেকে এক ডোরাকাটা ভুবনের হাত কামড়ে সোজা জলে। ভুবন কে জঙ্গলের দিকে বাঘ টানতে থাকে।
ভুবন সোজা মুখের ভেতরের হাতটা দিয়ে বাঘের জিভ যতটা সম্ভব জোরে টানতে থাকে,বাঘ ততক্ষনে আর এক হাত কামড়াতে যায়,ভুবন আরেক হাত দিয়ে বাঘের গলায় ঘুষি মারে,ব্যাস বাঘ মশাই কুপোকাত।
কিন্তু ভুবনের আর ভেসে থাকার,বা সাঁতার ক্ষমতা নেই!
এ যাত্রায় ভুবন বেঁচে যায়,কিন্তু এই ভাবে অস্তিত্বের লড়াই করে আর কত দিনিই বা বাচবে ভুবন মাঝির মতো জেলেরা? তাদের জীবনে পদে পদে শ্বাপদ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন