অন্যমনে সাহিত্য. অন্য রকম দৃষ্টিকোন থেকে দেখা একটি প্রতিবিম্ব ভাবনা .. অন্যমনে সাহিত্য.

শনিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২২

কবিতায় বাপ্পাদিত্য

  

 

অভিশাপ
===============
অভিশাপ নিয়ে বেঁচে আছি প্রিয় কবি। জলাধারে পৌঁছতেই দেখি অবলিলায় পাওয়া যাচ্ছে লাল হলুদের বোঝাপড়া, অপেক্ষার অভিমান, দাঁড়িয়ে থাকা মোনালিসার ছবি।

কী জানি কী হত !

নীল জলে স্নিগ্ধতা এলে লিওনার্দোর তুলিতে অজস্র আলাপ আলো দিয়ে যেত ।

তবে নতুন কেন এত ভীত ?

যাদের জীবনে জ্যোৎস্না খোলে না কোনও দিন,

কালো চাদরের তলে ভুবন বিস্তার,

নীলনদে জোয়ার এলে তারাও অগ্রগতির পথে পরাধীন।

সবই সময়ের অপেক্ষা।


আমি শুধু অভিধান দেখি

শব্দের গভীরে তলিয়ে যাই

শব্দেরা আমাকে বলে--- এ কী!

নবীবদের এগিয়ে আসতে বল

ওরাই তো সম্বল।


অবলুপ্ত জ্যোৎস্নাকে একদিন বয়ে নিয়ে আসবে এই নবীন

আবির্ভূত হবে নতুন অক্ষর

উঠোনের গোলাও ভরে উঠবে একেকটা শব্দে

সাক্ষী--- আকাশ-জমিন।

শুধু অভিশাপটুকু থাক আমার ওপর।

 

খোলা চিঠি
===============

পৃথিবীর পাতায় একি নিয়তির লেখা,

তুচ্ছ কারনে ভেসে যায় প্রিয় তরি

বিষাদের ঘর ঘুরে-ফিরে শুধু দেখা।


ফিরিঙ্গি এসেছে ফাগুন ছেটাতে রাতে,

আতংকে গৃহবন্দীরা ক্ষইছে অকপট

হৃদয়স্পর্শ অনুভব করে করে,

জীবন যুদ্ধের ছায়াগুলো খোলে জট ।


কেউতো এ কথা স্বীকার করেনি আগে

অহেতুক অহমিকা রাখা ছিল ঐ চীনে,

তোলপাড় ঝড়ে উদ্ধত সব গন্ধ

একেকটি নাম লিখছে মৃত্যুদিনে।


আর কত মৃত্যু দেখব এই দিনে

ভালোবাসার এই নিবিড় আলিঙ্গনে

নোভেল কখনও এসেছিল এই পথে

শবদেহগুলি ফেলতে ডাস্টবিনে।


ওঁরা জেগে থাকে কবিতার শরীরে

বিশ্বাসের বুকে ভর করা সব কবি

যদি বেঁচে থাকি মরুপ্রান্তরে একা

ভেসে যাবে না তো অশ্রু জলের ছবি ?

 

তোর সাথে আড়ি
===============

কাস্পিয়ান হ্রদের জলোচ্ছাস

বৃষ্টিরেখা হয়ে জলছবি আঁকে

তোর আদুল শরীরে ।


ভিক্টোরিয়া নিয়াঞ্জা তুই

তরঙ্গাভিঘাতে তনিমা সেজে

ঘায়েল করছিস সহস্র মুখোষ্ণ হৃদয় ।

মিশিগানে বাউন্ডুলে তুই

জটায়ুর মতো আদ্যন্ত তুলকালাম তুলেছিস সাহারার বুকে

আজ

শুন্যতার শরীরে শিশির লেপনে

এত জেহাদ ?


তোর সাথে আড়ি ।

 

অভিমান
===============

মল্লিকা বনে সুবোধ তো কম খেলেনি ?

কত স্মৃতি বুনি ...

সবটাই যা-তা, চিরকুটের অভিনেতা ।


বিদ্যাধরী পাড় ভাঙে। সুনীলও তাই

ভাঙনের খেলায় মেতে উঠেছে সবাই।


এই ভাঙনের খেলায় কত মুক্তি পেল

অনামি কবিতা

আর তুমি---

আমার খেলাটাকেই শুধু দেখলে হাজার চুরাশির মহাশ্বেতা ।

 

ঋণ
===============

কত কত ঋণ,

বেড়েই চলেছে দিন দিন ...

তবু মৃত্যুর কাছে এসে ছিনিয়ে নিয়েছে প্রেম।


রক্ত জলে দুর্ভাগ্য স্নান

বুঝলো না অযোগ্য সন্তান

কার মুখে কালিমা দিলাম।


দলিত নরম দেহ

পেল না একটুও স্নেহ।

শুধুই লেখা হল অবৈধ কবিতা।


প্রখর গ্রীষ্মের তাপ বর্ণনা দিতে চায়

ইতিহাস তোলা আছে এই ধরায় ধরায়।



খর-কুটো এক করে বসে থাকা

উদাসীন বসুধারা --- তোমরাই বলো ?



রক্ত জলে ঘেরা

আমাদের এই জীর্ণ-জরা

পৃথিবীতে আরও কত শতশত

যোনির পিপাসায় মাতৃরূপ পুড়বে বলো ?

 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন