অন্যমনে সাহিত্য. অন্য রকম দৃষ্টিকোন থেকে দেখা একটি প্রতিবিম্ব ভাবনা .. অন্যমনে সাহিত্য.

শনিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২২

কবিতায় তপাশ্রী

  



বৈশাখী -ভালোবাসা
===============

বৈশাখে শুরু চৈত্রে শেষ ক্যালেন্ডার ভায়া বেশ -
আছে ভালো- মন্দ সব নিয়ে মানুষের যত ক্লেশ ।
বৈশাখ মানে নতুন বছর নতুন পোশাকে সাজা -
রসেবশে কব্জি ডুবিয়ে ভোজনে কত না মজা ।
বাঙালির পয়লা বৈশাখ আজও চির বরেণ্য -
আত্মীয় কুটুম্বে ভরা থাকে দিনটা হয় পরিপূর্ণ ।
ছেলেরা ধুতি পাঞ্জাবি মেয়েরা পরবে শাড়ি -
বিকেলে হালখাতা সাথে মিলবে মিষ্টির হাঁড়ি ।
বাঙালির পরিচিত রীতি চলেছে আজও অবধি -
বারো মাসে তেরো পার্বণ নিয়ে আছে পরিধি ।


মন্দির চাতালে লাইন দিতে রাত থাকতে প্রহরী লক্ষ্মী-গণেশ পূজা হবে মঙ্গল কামনায় সওয়ারী ।
সাজাবে পসরা বাড়বে ব্যবসা আছে যত ব্যবসায়ী বছর গুনবে লাভের হিসাব উন্নত হবে কারবারী ।
কচিকাচারা নতুন জামা পেয়ে আহ্লাদে আটখানা করে ছুটোছুটি যত বায়না ধরে মায়ের হাতখানা ।
ছোটরা করবে প্রণাম নিজেদের মধ্যে আলিঙ্গন
হাসিখুশিতে থাকে যেন বছরভর পরিবার প্রাঙ্গণ ।
ঠাকুমা দিদিমা যত যারা আছে বাড়িতে গুরুজন
দেবে উপহার আর উপঢৌকন যে যত প্রিয়জন ।

হাঁক পাড়ে রুই-কাতলা দেখে কর্তাদের হাঁসফাঁস
চিংড়ি- ইলিশ ভায়া মাচায় উঠে বলে দেব ফাঁস ।
জলখাবারে আছে লুচি মিষ্টি সাদা আলু চচ্চড়ি
মেনু দেখেশুনে সবাই ঢেকুর তুলে খায় ভিমড়ি ।
দুপুরে সুক্তো বেগুন ভাজা সরু চালের চামুরমণি মুড়োর ডাল মাছের কালিয়া পাঁঠার মাংস চাটনি ।
শেষপাতে ভালোবাসা মিষ্টি দই সন্দেশ রসগোল্লা
একলা বৈশাখ নিয়ে চলে তেমনি রসায়ন কেল্লা ।
পাকশালে মায়েরা ভীষণ ব্যস্ত জব্বর খাটুনি
কাটাকুটি বাটনাবাটা আর মুখে দিয়ে আটুনি ।


বিদেশ বিঁভুই যত আছে প্রবাসী বাঙালি সৎজন পরিচয় বজায় রাখতে করে নববর্ষ উৎযাপন । কেউ বা আবার দেশে ফিরে দেয় গল্পের ফিরিস্তি
বাঙালি মানেই জমিয়ে আড্ডা আসরে পায় স্বস্তি ।
এই রীতিনীতি নিয়েই চলেছে বাঙালির যন্ত্রমন্ত্র
পুরাতন নিয়েই আমরা থাকতে চাই পরিবারতন্ত্র।





কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন