বৈশাখী -ভালোবাসা===============বৈশাখে শুরু চৈত্রে শেষ ক্যালেন্ডার ভায়া বেশ -আছে ভালো- মন্দ সব নিয়ে মানুষের যত ক্লেশ ।বৈশাখ মানে নতুন বছর নতুন পোশাকে সাজা -রসেবশে কব্জি ডুবিয়ে ভোজনে কত না মজা ।বাঙালির পয়লা বৈশাখ আজও চির বরেণ্য -আত্মীয় কুটুম্বে ভরা থাকে দিনটা হয় পরিপূর্ণ ।ছেলেরা ধুতি পাঞ্জাবি মেয়েরা পরবে শাড়ি -বিকেলে হালখাতা সাথে মিলবে মিষ্টির হাঁড়ি ।বাঙালির পরিচিত রীতি চলেছে আজও অবধি -বারো মাসে তেরো পার্বণ নিয়ে আছে পরিধি ।মন্দির চাতালে লাইন দিতে রাত থাকতে প্রহরী লক্ষ্মী-গণেশ পূজা হবে মঙ্গল কামনায় সওয়ারী ।সাজাবে পসরা বাড়বে ব্যবসা আছে যত ব্যবসায়ী বছর গুনবে লাভের হিসাব উন্নত হবে কারবারী ।কচিকাচারা নতুন জামা পেয়ে আহ্লাদে আটখানা করে ছুটোছুটি যত বায়না ধরে মায়ের হাতখানা ।ছোটরা করবে প্রণাম নিজেদের মধ্যে আলিঙ্গনহাসিখুশিতে থাকে যেন বছরভর পরিবার প্রাঙ্গণ ।ঠাকুমা দিদিমা যত যারা আছে বাড়িতে গুরুজনদেবে উপহার আর উপঢৌকন যে যত প্রিয়জন ।হাঁক পাড়ে রুই-কাতলা দেখে কর্তাদের হাঁসফাঁসচিংড়ি- ইলিশ ভায়া মাচায় উঠে বলে দেব ফাঁস ।জলখাবারে আছে লুচি মিষ্টি সাদা আলু চচ্চড়িমেনু দেখেশুনে সবাই ঢেকুর তুলে খায় ভিমড়ি ।দুপুরে সুক্তো বেগুন ভাজা সরু চালের চামুরমণি মুড়োর ডাল মাছের কালিয়া পাঁঠার মাংস চাটনি ।শেষপাতে ভালোবাসা মিষ্টি দই সন্দেশ রসগোল্লাএকলা বৈশাখ নিয়ে চলে তেমনি রসায়ন কেল্লা ।পাকশালে মায়েরা ভীষণ ব্যস্ত জব্বর খাটুনিকাটাকুটি বাটনাবাটা আর মুখে দিয়ে আটুনি ।বিদেশ বিঁভুই যত আছে প্রবাসী বাঙালি সৎজন পরিচয় বজায় রাখতে করে নববর্ষ উৎযাপন । কেউ বা আবার দেশে ফিরে দেয় গল্পের ফিরিস্তিবাঙালি মানেই জমিয়ে আড্ডা আসরে পায় স্বস্তি ।এই রীতিনীতি নিয়েই চলেছে বাঙালির যন্ত্রমন্ত্রপুরাতন নিয়েই আমরা থাকতে চাই পরিবারতন্ত্র।

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন