মৃন্ময়ী, আমি আর দিনলিপি
===================
১.
এই এক আশ্চর্য ভোর। আজ না-হয় মুলতুবি থাক যাবতীয় সংবিধান। ঈশানকোণ থেকে নেমে আসছে ঈশ্বরী। আমি ছুটে যাচ্ছি নতুন করে ডুবে যাওয়ার অভীপ্সায়। কতদিন পরে আজ অযান্ত্রিক মুখোমুখি। কতদিন পরে আজ ছুঁয়ে যাবে প্রিয় ঘ্রাণ। বাতাসে এখন উচাটন-রঙের আলো ভাসছে তাই। অবশেষে যদি স্থায়ীভাবে মুছে দিতে পারি ঈশ্বরীর চোখের জল!
২.
এভাবেই ইতিহাস পুনরাবৃত্ত হয়। সেই একই আধো-আলোছায়া পেতে রেখেছে এবারের ছবিঘর। কাঙ্ক্ষিত রঙে নিজেকে মুড়ে নিয়ে এসেছে ঈশ্বরী। অধীর আগ্রহে আমি তার ঠোঁট থেকে চুরি করছি প্রাথমিক লালিমা। বুক থেকে শুষে নিচ্ছি অলৌকিক সুধা। আশ্চর্য এক উষ্ণতায় গলে পড়ছে ঈশ্বরী। ইতিহাসই জানে, কী কারণে তাকে আমি 'মৃন্ময়ী' ডেকেছিলাম।
৩.
হইচই-হট্টমেলা থেকে কিছুটা দূরে। কোনো এক নিভৃত নিরালায় সোনালি তরল দিয়ে লেখা হচ্ছে জলকাব্য। পিছনের দেওয়াল সাদা-কালো রঙে বলছে, ভাগ করে নিলে বেড়ে যায় জীবনের স্বাদ। ঈশ্বরীর নিমীলিত চোখে আশ্চর্য বিদ্যুৎ। ফিরতি বাহনে পাঁজরের গভীর ছুঁয়ে সে নিকটতর হলে, অগ্রন্থিত জীবন থেকে বাদ দিই ভুলের পাতা। শুধু রেখে দিই মৃন্ময়ী-অভিধান।
৪.
এই যে হঠাৎ-সফর; সকালও জানতো না এত মুগ্ধকর হবে! সেইসব অমৃতের স্বাদ নিতে-নিতে, শারীরিক দূরত্বে যেতে চলেছি আমরা। অজস্র চুম্বনের মধ্যে দীর্ঘতমটির পরে, সময় বলে দিয়েছে আসন্ন বিরহের কথা। ঈশ্বরীর চোখে মুহূর্তে জমে ওঠে মেঘ। ওই মেঘে কি থেকে গেল কিছু জল? আমি তো জেনেছি, তার অন্য নাম টান। বারেবারে আরও কাছাকাছি ডাক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন