অন্যমনে সাহিত্য. অন্য রকম দৃষ্টিকোন থেকে দেখা একটি প্রতিবিম্ব ভাবনা .. অন্যমনে সাহিত্য.

শনিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২২

কবিতায় বিকাশ

  

 

আত্মার প্রতিমা
====================

দু'চোখের তারায় আরশি ছায়া চূর্ণ ফোঁটা

মুখের উপর উতল মায়া দুঃখ রেখা ভিজিয়ে বিষণ্ণতা,

হাতভর্তি হলুদ বোঁটা শিশির ছোঁয়া ভালোবাসার

অতল নীলের জল ছবি স্পন্দন গোপন সখ্যতায়,

কোঁচড়ে কোমল ফুলে এক আঁচল স্নিগ্ধ প্রার্থনা।

#

জড়িয়ে স্নিগ্ধ শ্রীমুখে অনিকেত ঈশ্বরী মায়া

সহন সীমায় দাঁড়িয়ে জ্বলন বরণ মালা আত্ম বিভ্রমে,

ঘূর্ণি সময় টেনেছিল অন্তরে তার রক্ত কুসুমে জন্ম সেতু

শাখায় শেকড়ে রোদ বৃষ্টি শরীরে আশ্চর্য কৌতুক,

জেগে ওঠে জগন্ময় মূর্তি প্রতি সকালে আগুন স্পর্শে।

##

নন্দন আলোয় ধানের সার সার আঁটি ডোগায় সোনা শস্য

সামনে আধ ঘোমটা মুখ সকাল সিঁদুর লাল সূর্য টিপ,

কোঁচড়ে নাভি জন্ম শরীরে আশ্চর্য লোহিত পরশ

জীবনের কথকতা জানে কি পদ্মনাভির স্থপতি,

নামহীন দয়াময়ী জানে ভূমিষ্ট কালের অপেক্ষায় শিশু ঈশ্বর

শিকড়ে জন্ম নাড়ি টান আদি সত্য আলোর দুয়ারে।

#

সাদা কালো সময়ের নীল বাতি কত রঙের গভীর কপটতা

তবুও ক্ষরণ কালে শরীরে শরীর ভাসায় আত্মার প্রতিমা।

 




রিপু
====================

সর্বাঙ্গে সত্তার ভেতরে কেউ কেউ একাকী জেগে থাকে

জীবন্ত সকল প্রাণী জীব জগত দাঁড়িয়ে অসম সন্ধিক্ষণে,

বহুত্বের সিঁড়ি ভাঙে সমানে মায়াহীন শরীর

আকাশ মাটি জড়িয়ে আছি তবুও আত্মবলিদান,

লাল নীল গেরুয়া সবুজ হিসেব হীন জানে জনভূমি

ছিঁড়ে খায় প্রেমারতি মিশে যায় নীল বিষ শ্বাসে,

ফুলে ফুলে চুম্বন ছেঁড়ে ধ্বংসের দৈত্য বাগানে

দিব্য সময় কালে চাঁদ শরীরে রক্ত ফসল ফলায়।


জঙ্ঘার রূপ বদলের ঝিলিকে জাগে সরীসৃপ

মদ মাংস নারী খোঁজে পাক খোলে কুণ্ডলীটা,

রক্ত ঘামের ঘ্রাণে জাগে বোধ অসামাজিক লোভ

ভুলে যায় জন্ম ঋতু চক্রের বিন্দু বিন্দু প্রাণ সঞ্চরণ,

ব্যাধও জানে জীবন বোধের ধারাপাত জীবিকা বিষাদ

শোকাহত জননী জানে পশুদের দুঃস্বপ্নের থাবা,

শিরা উপশিরা ছেঁড়ে অরণ্যের আদিম গ্রাসে

আত্মার মৃত্যু যন্ত্রণা ভিজে যায় জন্ম লালায়।


পৃথিবীময় পাথর পুরুষ জেগে ঘোরে মানুষের উঠোনে

ছিঁড়ে ফেলে হত্যা করে শরীর শানিত রিপু রোষে।

 




আলো মুখ
====================

আট পৌরে ঘরের বিষাদে ধরা দেয় লোহিত প্রমাদ

তবুও হৃদয়ে থাকে ছলাৎ ছল রুক্ষ বয়ঃসন্ধি,

পশুর পরবশতা শরীরে মেতেছে পাপের পৌরুষ

বেল জুঁই বকুলের আত্মা ভিজেছে জলে স্নানের যুবতি,

নীল নেশায় মেতেছে ধমনী রক্তে পায়েলের সুর

অবাক সকালের রোদ শরীর ডাকে বিষণ্ণ মৃত্যুর বৃত্তে।


যযাতি যৌবন জড়িয়ে আছে বহু বর্ণ অক্ষর ভাষায়

বিবর্ণ অক্ষর বুকে শব্দময় শরীরী গন্ধ মেখেছে কাঁচুলি,

মেঘ রঙে তখন বিজলি চমক ছুঁয়ে যায় শঙ্খ চিল

হিংসা ঘৃণা বোঝেনি অলক্ত সে সূর্য ঘরনি,

তুমি সেই জল রঙে জল ছবি দেহবাসে সনাতন মায়া

বিমনস্ক যুবক শরীর চোখে মায়া সুর বাউলের গান।

রঙের ভেতরে মনস্কামনায় ডাকে গেরুয়া গোধূলি

ডানা ঝাপটে পাখিদের শ্লোক আকাশের গায়,

প্রতিদিনই বেঁচে বর্তে জীবন জানে নষ্ট শরীর আমরণ

খেলাঘর জানে উন্মত্ত বাতাসেও রাতে জ্যোৎস্না নামে,

প্রীতি কথা স্তুতিময় ঘিরে আছে স্পন্দিত বুকে আবরণ

এসো আত্মার আলো মুখ শেষ বেলা আগুন প্রহরে।

 




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন