গ্রাম বাংলার ছেলে, চিরকাল বর্ষা যেন আমায় টানে, যখন শ্রাবণের ধারায় চারিদিক জলমগ্ন হয়ে যায়, উদাসী মন ছুটে যায় খেত খামারে যেখানে কৃষকেরা ধরেছে মেঠো গানের সুর, তার সাথে যোগ হয়েছে শ্রাবনের অঝোর ধারার মিষ্টি মধুর গীতি। সত্যিই বর্ষাকাল এলে মন যেন এলোমেলো হয়ে যায়, নিয়ে যেতে চায় প্রাণোচ্ছল জীবনের খোঁজে, যেখানে আছে শুধু আনন্দ আর আনন্দ! ছেলেবেলায় শ্রাবণের ধারা সকাল দুপুর সন্ধ্যা যখনই হোক না কেন মন যেন মেতে উঠতো, তাই আজ বর্ষা নামলে মন যেন ছটফট করে, খুঁজে ফেরে শৈশবে হারিয়ে যাওয়া বর্ষারানী কে!
আমরা ছোটবেলায় বর্ষার এক অপরূপ রূপ দেখেছি, আজকের বর্ষার সাথে মেলাতে পারিনা। সত্যিই ছেলেবেলায় বর্ষা যেন রানী রূপে আবির্ভূত হতো, বর্ষা এলেই গ্রামবাংলা যেন নেচে উঠতো, সকাল হলেই লাঙ্গল গরু নিয়ে চাষিরা মাঠে নামতো, সারাদিন লাঙ্গলের পিছু পিছু হাটতে, বর্তমানে তো লাঙ্গল, মই সব মিউজিয়ামে ওঠার জোগাড়! তখন চাষে প্রযুক্তির ব্যবহার ছিল না বললেই চলে। চাষ শেষ হতে প্রায় শ্রাবণ ফুরিয়ে যেত, কথায় বলে আষাঢ়ে আলে চাষা, সত্যিই গরু-মোষের সাথে চাষিরাও ক্লান্ত হয়ে পড়তো, তবুও তাদের আনন্দের সীমা থাকতোনা। সারাদিন লাঙ্গলের পিছু পিছু আনন্দে গান গেয়ে ক্লান্তি একঘেয়েমি দূর হয়ে যেত।
সত্যিই ছেলেবেলায় মাঠে গেলেই ভেসে আসতো বিচিত্র ভঙ্গির মেঠো গানের সুর, দেখতাম আদিবাসী রমণীরা গান গাইতে গাইতেই জমির রোয়ার কাজ করতো, সেসব মিষ্টি সুর শ্রাবণের ধারায় আরও মনোরম হয়ে সারা মাঠ আলোড়িত করত।
আমরা ছেলেবেলায় বর্ষাকালে বলতে গেলে সারাদিন প্রায় মাঠেই কাটাতাম। তখন গ্রামগঞ্জের স্কুলগুলোতে বর্ষার ছুটি পড়তো, এখনকার মতো তখন রাস্তাঘাট পাকা হয়নি, মাটির রাস্তা বর্ষাকালে চলাচলের অযোগ্য হয়ে উঠতো, তাই হয়তো যাতায়াতে অসুবিধার জন্য এই ব্যবস্থা চালু ছিল। আর আমরাও সেই সুযোগে সারাটা বর্ষা মাঠে-ঘাটে কাটিয়ে দিতাম। তখনকার দিনে আমরা বাবা, কাকা বা জন মজুরদের জন্য মাঠে খাবার পৌঁছে দিতাম, এই রেওয়াজ দীর্ঘদিন চালু ছিল। কখনো কখনো আমরাও জমির আলে বসে বাবা কাকদের সঙ্গে খাবারের ভাগ বসাতাম। সেসব আনন্দের দিনগুলো যেন হারিয়ে গেল, আর হয়তো কখনো ফিরে আসবে না, কারণ এখন ওসব পাট চুকে গেছে, এখন চাষ হচ্ছে যন্ত্রে, বলতে গেলে যন্ত্রদানব চাষীদের চাষের ভার নিয়েছে । এখন চাষবাস সবকিছু চুক্তিতে হচ্ছে, চাষ করার জন্য চাষীদের আর মাঠ মুখো হতে হয় না, ঘরে বসে ফরমাশ করেই চাষ শেষ করা যায়।
বর্ষার আরেকটা আনন্দের কথা না বললে অনেক অবলা থেকে যাবে । তখন লাঙ্গল দেয়ার পর জমি সমান করার জন্য মই দিতে হতো, অনেক সময় এই মইয়ে আমরা চাপতাম, বাবাদের দুই পায়ের মাঝখানে চুপচাপ বসে থাকতাম আর এই মইয়ে চাপার আপার আনন্দ বলে শেষ করা যাবে না, মইয়ের সাথে সাথে অপার জলরাশি, জমির এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত ঢেউ খেলে যেত, শুধু তাই নয় মই দেয়ার সময় মেঠো কাঁকড়া শামুক গুগলি এমনকি পুটি কই ল্যাটা মাছ ও ভেসে বেড়াতো, আর আমরা মহানন্দে তা ধরতাম, গামছায় বেঁধে বাড়ি নিয়ে আসতাম খাওয়ার জন্য। আর এখন তো সব অতীত! ডিভিসি ক্যানেলের জল আর মাঠে ঢোকেনা, খামখেয়ালী মৌসুমীর জন্য সেই বর্ষার ধারাও দেখা যায় না, এখন চাষ হয় গভীর নলকূপ অর্থাৎ সাব মার্সেবেলের জলে, তাছাড়া বর্তমানে উচ্চ ফলনশীল ধান চাষ করার জন্য প্রচুর পরিমাণে রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহার হচ্ছে, ফলে শামুক,গুগলি, কাকড়া,মাছ সব উধাও।
আগে আমরা শ্রাবণ ভাদ্র মাসে পুকুরে ছিপ ফেলে বা খাল-বিল ছিঁচে কই, মাগুর, সিঙ্গী, ল্যাটা কত রকমের যে মাছ ধরেছি তা বলে শেষ করা যাবেনা।
আর এখন খাল-বিল তো দূর অস্ত পুকুরে মেরেও ওসব কাদার মাছ আর পাওয়া যায় না। আসলে যেদিন থেকে জমিতে বহুল পরিমাণে রাসায়নিক সার এবং কীটনাশকের ব্যবহার বেড়েছে সেই দিন থেকেই মেঠো মাছ ,শামুক, গুগলি ,কাকড়া ইত্যাদি কমতে শুরু করেছে।
আজ বর্ষাকালে এলেই সেই তালপাতার পেখের কথা মনে পড়ে যায়, তখন ছাতার প্রচলন খুব একটা বেশি হয়নি, লোকে শখ করে বা আত্মীয় স্বজনের বাড়ি গেলে তবেই ছাতা ব্যবহার করত, অনেক সময় পাড়ার এর ওর বাড়ি থেকে ছাতা জুতো ইত্যাদি নিয়ে আত্মীয়-স্বজন বাড়ি যেতে দেখেছি! সত্যি বলতে কি তখন বর্ষার সময় মাঠে-ঘাটে বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় ছিল এই পেখে বা টোকা, তাছাড়া ঘোর বর্ষায় এই পেখে বা টোকা ছাড়া মাঠে লাঙ্গল বা রোয়ার কাজ করা যেত না।
ছোটবেলায় বর্ষায় আলপথ ধরে যাতায়াত করতে হতো আমাদের, কারণ তখন গ্রামের রাস্তাঘাটগুলো বর্ষায় যাতায়াতের অযোগ্য হয়ে উঠতো। কাদায় পা বসে যেত, তখনকার দিনে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম ছিল গরুর গাড়ি, গ্রামের প্রায় প্রত্যেক গৃহস্থবাড়িতে এই দেশীয় যানটিকে দেখা যেত। অনেক সময় বর্ষাকালীন গরুর গাড়ির চাকা কাদামাটিতে আটকে যেত। আমরা ছোটবেলায় পূবের দেশ থেকে আসা আম-কাঁঠালের গাড়ি, কাদায় আটকে গেলে তুলে দিতাম, উপহার হিসেবে আম কাঁঠাল পেয়েছি, মহানন্দে সেইসব খাওয়ার দিনগুলো আজও মনে পড়ে।
ছেলেবেলায় আমরা বর্ষায় ভিজতাম খুব, পায়ে হেঁটে স্কুল যেতে হতো, রাস্তাঘাট প্রচন্ড কাদা থাকার জন্য সাধারণত আমরা আলপথ বেশি ব্যবহার করতাম, কখনো কখনো স্কুল যাবার পথে আল পথে রাস্তায় কাছাড় ও খেয়েছে, ফলে মাঝপথ থেকে কতবার যে বাড়ি ফিরতে হয়েছে তা বলে শেষ করা যাবেনা। বর্ষাকালে যাতে মাথায় জল না বসে, ঠান্ডা না লাগে, তার জন্য নাপিত ডেকে আমাদের খুব ছোট ছোট করে চুল ছেঁটে দেওয়া হতো, অনেক সময় মাথা ন্যাড়া ও করে দেয়া হতো।
আজ যখন বর্ষা নামে তখন মন ছুটে যায় সেই ষাটের দশকের মাঠে-ঘাটে, হয়তো আর কোনদিন তা ফিরে পাওয়া যাবে না । কথায় বলে যে যায় সে আর ফিরে আসে না, সত্যিই তাই! পিছনে ফিরে তাকানো ছাড়া আর কি বার আছে? বিশ্বের বড় বড় কবিদের কাব্যে বর্ষার সৌন্দর্যের অনুভূতি ছড়িয়ে আছে। মহাকবি কালিদাস এবং বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের কাব্যেও ছেয়ে আছে বর্ষারানীর বিচিত্র রূপ। বর্ষা মানেই সৃষ্টি, বর্ষা মানেই সবুজের সমারোহ, বর্ষা মানেই ভিজে মাটির গন্ধ,
বর্ষা মানেই মেঠো সুর আর অনাবিল আনন্দ।
আমরা ছোটবেলায় বর্ষার এক অপরূপ রূপ দেখেছি, আজকের বর্ষার সাথে মেলাতে পারিনা। সত্যিই ছেলেবেলায় বর্ষা যেন রানী রূপে আবির্ভূত হতো, বর্ষা এলেই গ্রামবাংলা যেন নেচে উঠতো, সকাল হলেই লাঙ্গল গরু নিয়ে চাষিরা মাঠে নামতো, সারাদিন লাঙ্গলের পিছু পিছু হাটতে, বর্তমানে তো লাঙ্গল, মই সব মিউজিয়ামে ওঠার জোগাড়! তখন চাষে প্রযুক্তির ব্যবহার ছিল না বললেই চলে। চাষ শেষ হতে প্রায় শ্রাবণ ফুরিয়ে যেত, কথায় বলে আষাঢ়ে আলে চাষা, সত্যিই গরু-মোষের সাথে চাষিরাও ক্লান্ত হয়ে পড়তো, তবুও তাদের আনন্দের সীমা থাকতোনা। সারাদিন লাঙ্গলের পিছু পিছু আনন্দে গান গেয়ে ক্লান্তি একঘেয়েমি দূর হয়ে যেত।
সত্যিই ছেলেবেলায় মাঠে গেলেই ভেসে আসতো বিচিত্র ভঙ্গির মেঠো গানের সুর, দেখতাম আদিবাসী রমণীরা গান গাইতে গাইতেই জমির রোয়ার কাজ করতো, সেসব মিষ্টি সুর শ্রাবণের ধারায় আরও মনোরম হয়ে সারা মাঠ আলোড়িত করত।
আমরা ছেলেবেলায় বর্ষাকালে বলতে গেলে সারাদিন প্রায় মাঠেই কাটাতাম। তখন গ্রামগঞ্জের স্কুলগুলোতে বর্ষার ছুটি পড়তো, এখনকার মতো তখন রাস্তাঘাট পাকা হয়নি, মাটির রাস্তা বর্ষাকালে চলাচলের অযোগ্য হয়ে উঠতো, তাই হয়তো যাতায়াতে অসুবিধার জন্য এই ব্যবস্থা চালু ছিল। আর আমরাও সেই সুযোগে সারাটা বর্ষা মাঠে-ঘাটে কাটিয়ে দিতাম। তখনকার দিনে আমরা বাবা, কাকা বা জন মজুরদের জন্য মাঠে খাবার পৌঁছে দিতাম, এই রেওয়াজ দীর্ঘদিন চালু ছিল। কখনো কখনো আমরাও জমির আলে বসে বাবা কাকদের সঙ্গে খাবারের ভাগ বসাতাম। সেসব আনন্দের দিনগুলো যেন হারিয়ে গেল, আর হয়তো কখনো ফিরে আসবে না, কারণ এখন ওসব পাট চুকে গেছে, এখন চাষ হচ্ছে যন্ত্রে, বলতে গেলে যন্ত্রদানব চাষীদের চাষের ভার নিয়েছে । এখন চাষবাস সবকিছু চুক্তিতে হচ্ছে, চাষ করার জন্য চাষীদের আর মাঠ মুখো হতে হয় না, ঘরে বসে ফরমাশ করেই চাষ শেষ করা যায়।
বর্ষার আরেকটা আনন্দের কথা না বললে অনেক অবলা থেকে যাবে । তখন লাঙ্গল দেয়ার পর জমি সমান করার জন্য মই দিতে হতো, অনেক সময় এই মইয়ে আমরা চাপতাম, বাবাদের দুই পায়ের মাঝখানে চুপচাপ বসে থাকতাম আর এই মইয়ে চাপার আপার আনন্দ বলে শেষ করা যাবে না, মইয়ের সাথে সাথে অপার জলরাশি, জমির এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত ঢেউ খেলে যেত, শুধু তাই নয় মই দেয়ার সময় মেঠো কাঁকড়া শামুক গুগলি এমনকি পুটি কই ল্যাটা মাছ ও ভেসে বেড়াতো, আর আমরা মহানন্দে তা ধরতাম, গামছায় বেঁধে বাড়ি নিয়ে আসতাম খাওয়ার জন্য। আর এখন তো সব অতীত! ডিভিসি ক্যানেলের জল আর মাঠে ঢোকেনা, খামখেয়ালী মৌসুমীর জন্য সেই বর্ষার ধারাও দেখা যায় না, এখন চাষ হয় গভীর নলকূপ অর্থাৎ সাব মার্সেবেলের জলে, তাছাড়া বর্তমানে উচ্চ ফলনশীল ধান চাষ করার জন্য প্রচুর পরিমাণে রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহার হচ্ছে, ফলে শামুক,গুগলি, কাকড়া,মাছ সব উধাও।
আগে আমরা শ্রাবণ ভাদ্র মাসে পুকুরে ছিপ ফেলে বা খাল-বিল ছিঁচে কই, মাগুর, সিঙ্গী, ল্যাটা কত রকমের যে মাছ ধরেছি তা বলে শেষ করা যাবেনা।
আর এখন খাল-বিল তো দূর অস্ত পুকুরে মেরেও ওসব কাদার মাছ আর পাওয়া যায় না। আসলে যেদিন থেকে জমিতে বহুল পরিমাণে রাসায়নিক সার এবং কীটনাশকের ব্যবহার বেড়েছে সেই দিন থেকেই মেঠো মাছ ,শামুক, গুগলি ,কাকড়া ইত্যাদি কমতে শুরু করেছে।
আজ বর্ষাকালে এলেই সেই তালপাতার পেখের কথা মনে পড়ে যায়, তখন ছাতার প্রচলন খুব একটা বেশি হয়নি, লোকে শখ করে বা আত্মীয় স্বজনের বাড়ি গেলে তবেই ছাতা ব্যবহার করত, অনেক সময় পাড়ার এর ওর বাড়ি থেকে ছাতা জুতো ইত্যাদি নিয়ে আত্মীয়-স্বজন বাড়ি যেতে দেখেছি! সত্যি বলতে কি তখন বর্ষার সময় মাঠে-ঘাটে বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় ছিল এই পেখে বা টোকা, তাছাড়া ঘোর বর্ষায় এই পেখে বা টোকা ছাড়া মাঠে লাঙ্গল বা রোয়ার কাজ করা যেত না।
ছোটবেলায় বর্ষায় আলপথ ধরে যাতায়াত করতে হতো আমাদের, কারণ তখন গ্রামের রাস্তাঘাটগুলো বর্ষায় যাতায়াতের অযোগ্য হয়ে উঠতো। কাদায় পা বসে যেত, তখনকার দিনে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম ছিল গরুর গাড়ি, গ্রামের প্রায় প্রত্যেক গৃহস্থবাড়িতে এই দেশীয় যানটিকে দেখা যেত। অনেক সময় বর্ষাকালীন গরুর গাড়ির চাকা কাদামাটিতে আটকে যেত। আমরা ছোটবেলায় পূবের দেশ থেকে আসা আম-কাঁঠালের গাড়ি, কাদায় আটকে গেলে তুলে দিতাম, উপহার হিসেবে আম কাঁঠাল পেয়েছি, মহানন্দে সেইসব খাওয়ার দিনগুলো আজও মনে পড়ে।
ছেলেবেলায় আমরা বর্ষায় ভিজতাম খুব, পায়ে হেঁটে স্কুল যেতে হতো, রাস্তাঘাট প্রচন্ড কাদা থাকার জন্য সাধারণত আমরা আলপথ বেশি ব্যবহার করতাম, কখনো কখনো স্কুল যাবার পথে আল পথে রাস্তায় কাছাড় ও খেয়েছে, ফলে মাঝপথ থেকে কতবার যে বাড়ি ফিরতে হয়েছে তা বলে শেষ করা যাবেনা। বর্ষাকালে যাতে মাথায় জল না বসে, ঠান্ডা না লাগে, তার জন্য নাপিত ডেকে আমাদের খুব ছোট ছোট করে চুল ছেঁটে দেওয়া হতো, অনেক সময় মাথা ন্যাড়া ও করে দেয়া হতো।
আজ যখন বর্ষা নামে তখন মন ছুটে যায় সেই ষাটের দশকের মাঠে-ঘাটে, হয়তো আর কোনদিন তা ফিরে পাওয়া যাবে না । কথায় বলে যে যায় সে আর ফিরে আসে না, সত্যিই তাই! পিছনে ফিরে তাকানো ছাড়া আর কি বার আছে? বিশ্বের বড় বড় কবিদের কাব্যে বর্ষার সৌন্দর্যের অনুভূতি ছড়িয়ে আছে। মহাকবি কালিদাস এবং বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের কাব্যেও ছেয়ে আছে বর্ষারানীর বিচিত্র রূপ। বর্ষা মানেই সৃষ্টি, বর্ষা মানেই সবুজের সমারোহ, বর্ষা মানেই ভিজে মাটির গন্ধ,
বর্ষা মানেই মেঠো সুর আর অনাবিল আনন্দ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন