এতোটা পথ হেঁটে এলাম, তুমি কোন কথাই বললে না। এতো অভিমান তোমার! চুপচাপ বসে ভাবছে বিপুল। দুরে কোথাও ডেকে ওঠে আ্যলসেসিয়ান। বুক কাঁপানো এম্বুলেন্সের ঘণ্টার শব্দগুলো অসহায় ভাব এনে দূর্বল করে দেয়। মোবাইলটা হারিয়ে গেছে আগেই। লকডাউনের শুরুতে। এরপর খুব বেশি কথা হয়নি। এক' শ কিলো পথ। হাঁটতে হাটঁতে পা'টা খুব ধরেছিলো। খাবার যা ছিলো শুকনো পাউরুটি শেষ গতকাল। খিদেটাও চাড়া দিয়েছিল খুব। অনেক রাত হয়েছিলো। স্টেশনের এককোণে শুয়েছিলাম।সকালে দেখলাম পকেটে কোন টাকা নেই। চোখটা লেগে যেতেই,,,। বাড়ি ফিরতে আরো দু'দিন লাগবে। আমার মতো অনেক। চেনা কেউ নেই। আবার হাঁটছি। দৌড়ের'পরে। থেমে গেলেই থেমে যেতে হবে। এরমধ্যে পথেই শেষ দু'জন। একজনের বয়স ষাট হবে। আর একজন মেয়ে।অনেক বড় ঝুঁকি নিয়ে ফেলেছে। প্রথম মা হতে যাচ্ছিলো। নিজেকে কুকুরের মতো মনে হচ্ছে। জিহ্বাটা বেরিয়ে আসতে চাইছে। খুব অনুনয়-বিনয় করে বহ্নি বলছিল,দেরী করো না।চলে এসো। আগে বাঁচো। বাড়ি এলাম। দু'দিন পেরোনোর ঘণ্টা খানেক আগে।পাশের বাড়ির কাকিমা বললো, ওর খুব জ্বর কাশি হয়েছিলো। ভেতর থেকে দরজা বন্ধ। শুধু গন্ধ ভেসে আসছে। ----------
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন