প্রায় গা ঘেঁসে চলে গেল টাক্সিটা । সমৃদ্ধ খেয়াল করেছে এখানে টাক্সিগুলো এইভাবেই যায়। এর কারন হিসেবে সমৃদ্ধর মনে হয়েছে, একদম মুখের সামনে পেয়ে যদি কারও ইচ্ছে হয় চড়তে।
আর মাত্র পঞ্চাশ মিটার সামনেই পর্ণশ্রী রুটের অটো স্টান্ড। দুই পা এগোতেই পেছনে একটি গাড়ির ব্রেক করার শব্দ ও সাথে ই 'ওই সমু ' ডাকে পেছন ফিরল সমৃদ্ধ । গাড়ির ভেতর থেকে ধৃতী ডাক দিল ' তাড়াতাড়ি' উঠে আয়' । সমৃদ্ধ গিয়ে উঠে বসতেই গাড়ি ছেড়ে দিল ড্রাইভার।
এই সেই ধৃতী, যে ক্লাস টেন পাস করার পর আর পড়াশোনা ই করতে পায়নি। সাধারণ নম্বর পেয়ে পাস করায় ধৃতীর বাবা আর ওকে পড়াননি । জানালা দরজার জন্য মেটালের প্যানেল তৈরী হয় ,এমন এক ফ্যাক্টরী তে কাজ শিখতে লাগিয়ে দিয়েছিলেন। ওনার একটা ই কথা_' হাতে কলমে কাজ না জানলে কোন লাভ নেই' । ধৃতী খুব ভালো করে কাজ শিখে পরে নিজেই একটা ফ্যাক্টরী দেয়। ওই অঞ্চলের মধ্যে সব থেকে বড় ওটা । এখন সেখানে কাজ করে কয়েকশো লোক ।
আর মাত্র পঞ্চাশ মিটার সামনেই পর্ণশ্রী রুটের অটো স্টান্ড। দুই পা এগোতেই পেছনে একটি গাড়ির ব্রেক করার শব্দ ও সাথে ই 'ওই সমু ' ডাকে পেছন ফিরল সমৃদ্ধ । গাড়ির ভেতর থেকে ধৃতী ডাক দিল ' তাড়াতাড়ি' উঠে আয়' । সমৃদ্ধ গিয়ে উঠে বসতেই গাড়ি ছেড়ে দিল ড্রাইভার।
এই সেই ধৃতী, যে ক্লাস টেন পাস করার পর আর পড়াশোনা ই করতে পায়নি। সাধারণ নম্বর পেয়ে পাস করায় ধৃতীর বাবা আর ওকে পড়াননি । জানালা দরজার জন্য মেটালের প্যানেল তৈরী হয় ,এমন এক ফ্যাক্টরী তে কাজ শিখতে লাগিয়ে দিয়েছিলেন। ওনার একটা ই কথা_' হাতে কলমে কাজ না জানলে কোন লাভ নেই' । ধৃতী খুব ভালো করে কাজ শিখে পরে নিজেই একটা ফ্যাক্টরী দেয়। ওই অঞ্চলের মধ্যে সব থেকে বড় ওটা । এখন সেখানে কাজ করে কয়েকশো লোক ।
এদিকে সমৃদ্ধ ভর্তি হয় উচ্চ শিক্ষার জন্য। উচ্চমাধ্যমিক এ দারুন রেজাল্ট করে যাদবপুরে ভর্তি হয় ফিজিক্সে অনার্স নিয়ে। পরে পি এইচ ডি সম্পূর্ন করতে না করতেই চাকরির সুযোগ আসে এক জার্মান কোম্পানি তে। জার্মানিতে চলে যায় সে। আর ফিরে তাকাতে হয়নি ওকে। জীবনের সিড়ি বেয়ে বেশ কয়েক ধাপ এগিয়ে যায় সে। ভালোই কাটছিল দিনগুলো ওর। দুই চোখ ভোরে স্বপ্ন দেখা শুরু হয়েছিল। পরের বছর দেশে ফিরলে বাবা মা কে নিয়ে আসবে সাথে করে।
কিন্তু ২০২০ র শুরুতে বদলে গেল পরিস্থিতি। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়লো করোনা , আকার নিল মহামারীর । যে কোম্পানি তে সমৃদ্ধ কাজ করছিল তারা জানিয়ে দেয় ,এখন দেশে ফিরে যান , করোনা পরিস্থিতি ঠিক হলে তারপর যোগাযোগ করা হবে।
জমিয়ে রাখা সত্তর হাজার ইউরো নিয়ে দেশে ফিরেছিল ও। ভাড়া বাড়ি ছেড়ে বাবা মা কে নিয়ে উঠে এসেছিল পর্ণশ্রী বাজারের কাছে নিজের কেনা নতুন বাড়িতে। নতুন করে সাজিয়ে তুলেছিল সব। এইসবেই শেষ হয়ে যায় জমানো টাকার অনেকটায়।
কিন্তু ২০২০ র শুরুতে বদলে গেল পরিস্থিতি। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়লো করোনা , আকার নিল মহামারীর । যে কোম্পানি তে সমৃদ্ধ কাজ করছিল তারা জানিয়ে দেয় ,এখন দেশে ফিরে যান , করোনা পরিস্থিতি ঠিক হলে তারপর যোগাযোগ করা হবে।
জমিয়ে রাখা সত্তর হাজার ইউরো নিয়ে দেশে ফিরেছিল ও। ভাড়া বাড়ি ছেড়ে বাবা মা কে নিয়ে উঠে এসেছিল পর্ণশ্রী বাজারের কাছে নিজের কেনা নতুন বাড়িতে। নতুন করে সাজিয়ে তুলেছিল সব। এইসবেই শেষ হয়ে যায় জমানো টাকার অনেকটায়।
সমৃদ্ধ এইসব নিয়ে বিশেষ কিছু ভাবেনি কেননা ও হিসেব করে দেখেছিল যা আছে তাতে আরামে চলে যাবে বছরখানেক। তাছাড়া কয়েক মাসের মধ্যেই তো সে ফিরে যাবে। কিন্তু বছর ঘুরে প্রায় দেড় বছর হতে চললো জার্মান সংস্থা টি থেকে এখনও কোনো ডাক আসলো না । উপরন্তু দূতাবাস এ গিয়ে জানা গেল সে দেশের সরকার সেখানে কাজের জন্য যেতে চাওয়া বিদেশি দের ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। করোনা র ব্যাপকতায় ভেঙে পড়েছে ওদের অর্থনীতি, ধ্বংস হয়েছে সুস্থ সমাজ ব্যাবস্থার অনেকটায়। আর এরই সাথে ধ্বংস হয়েছে সমৃদ্ধ র মতো হাজার হাজার অভিবাসী র সুষ্ঠ ভবিষৎ জীবনের স্বপ্ন।
ধৃতী র হাতের ঠেলায় হুঁশ ফিরল সমৃদ্ধর। ধৃতী বলছে' কিরে তখন থেকে কত কথা বলে চলেছি একটার ও তো উত্তর দিচ্ছিস না , কী এত ভেবে চলেছিস ?'
হঠাৎ ই সমৃদ্ধ ধৃতীর দুই হাত জড়িয়ে ধরে বলে_ বন্ধু তোকে অনেক ধন্যবাদ রে, তোর পরিচিত প্রাইভেট ফার্ম টাই আমার এই চাকরীটা র ব্যাবস্থা যদি না করে দিতিস তবে আমি খুব সমস্যাই পড়ে যেতাম রে ।
ধৃতী র হাতের ঠেলায় হুঁশ ফিরল সমৃদ্ধর। ধৃতী বলছে' কিরে তখন থেকে কত কথা বলে চলেছি একটার ও তো উত্তর দিচ্ছিস না , কী এত ভেবে চলেছিস ?'
হঠাৎ ই সমৃদ্ধ ধৃতীর দুই হাত জড়িয়ে ধরে বলে_ বন্ধু তোকে অনেক ধন্যবাদ রে, তোর পরিচিত প্রাইভেট ফার্ম টাই আমার এই চাকরীটা র ব্যাবস্থা যদি না করে দিতিস তবে আমি খুব সমস্যাই পড়ে যেতাম রে ।
আপনার প্রাঞ্জল লেখনী আমাদের সমৃদ্ধ করেছে। অন্যমনে সাহিত্য আপনাকে শুভেচ্ছা জানায়।
উত্তরমুছুনগল্পটি ভাল হয়েছে। এই সঙখ্যার শিরোনাম ছুঁয়ে গেলে বৃত্ত সম্পূর্ণ হত।
উত্তরমুছুন