দ্বিতীয় বছরের পঞ্চম সংখ্যার সম্পাদকীয় লিখতে বসে কিছু প্রয়োজনীয় কথার প্রাসঙ্গিকতা অনুভব করছি। অন্যমনে সাহিত্য কে আমরা ভাবনার যে আদর্শে প্রবাহিত করতে চেয়েছি তা হলো প্রতি মাসে সৃজনশীল পাঠক লেখক এবং কবি মন কে একটি নিদৃষ্ট বিষয়ে ভাবানোর চেষ্টা করা। ফলিত বিজ্ঞানে আমরা তরঙ্গ নিয়ে পড়তে আমরা শিখেছিলাম রেজোনেন্স। অর্থাৎ সকলের ভাবনাকে যদি পুঞ্জীভূত করা হয় তার অনুরণন উঠবে সমাজে।
আমরা যারা পড়ি, আমরা যারা লিখি সকলেই এই সমাজের কাছে দায়বদ্ধ। দায়বদ্ধ আমাদের সৃজনশীল মননের কাছেও। কি লিখি বা কেনই বা লিখি ? বর্তমান সময়ে সমাজ প্রসঙ্গে আমার দায়বদ্ধতা কি আর তার উত্তর দায়িত্ব কতটুকুই বা বহন করতে চাইছি আমরা? এই অন্বেষণ প্রতিটি শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের নিজের জন্য প্রয়োজন। আর তা করিনা বলেই আমরা কলম নিয়ে আঁকি বুঁকি কাটি। ভ্রান্ত ভাবনা আর অপ্রাসঙ্গিক মননের অভিঘাতে ভরে চলে কাগজের পর কাগজ।
অন্যমনে সেই সমস্ত ম্যাগাজিনের থেকে একদম স্বতন্ত্র । কারন আমরা ভাবি। আমরা চেষ্টা করি অন্যরকম দৃষ্টি কোন থেকে এই সমাজকে সমাজের গতিবিধিকে বিশ্লেষণ করতে। আর তাই তো আমাদের সমাজ ভাবনাতেও চলে আসে বিগ ব্যাং এর সেই মুহূর্ত । সৃষ্টির সমাপ্তি কি ধ্বংস দিয়ে নাকি ধ্বংস দিয়েই শুরু ?
মে ভাবনায় শিরোনাম,সেই হিসেবে সম্পাদকীয়়। ভালো লাগলো।
উত্তরমুছুনশুভেচ্ছা! ধ্বংসের আরেক নাম হোক নির্মাণ!
উত্তরমুছুন