বাজার ব্যবস্থা অক্টোপাসের মত শুঁড় বিস্তার করে যা জড়িয়ে ধরতে চায় তা হল পণ্য । এই পণ্যের ভোগকারী সমগ্র মানব সমাজ এবং মানুষের সমাজের সঙ্গে জড়িত প্রাণীকূল ।
পণ্যসামগ্রীর প্রতি লোভ থাকা স্বাভাবিক ।
বিষয়টি প্রসঙ্গান্তরে পাঠালে যেটা ধরা যায় সেটা হল বর্জ্যপণ্য । ভোগের পর বা ব্যাবহারের পর যা বর্জিত হয় তাহল বর্জ্যপণ্য । বর্জ্যপণ্য বাজারজাত করতে গেলে উপজাত পণ্য বা নিষ্কাশিত পণ্যে রূপান্তর প্রয়োজন । সরাসরি বর্জ্যপণ্য বাজারজাত করা সম্ভব নয় । কারণ তা বর্জন করা হয়েছে । কিন্তু পুন:গ্রহন করার অবস্থায় আনা সম্ভব না হলে পরিবেশে বর্জ্যপদার্থ দূষণ সৃষ্টি করবে । ফলে অবাঞ্ছিত আবহাওয়া মানবকূলের জীবনযাত্রায় নানারকম বিঘ্ন ঘটাবে । এবং এরসাথে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা পাবে না । পণ্য প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে মানুষের তৈরি । উৎপাদিত পণ্য ভোগের নিমিত্ত । সুতরাং পন্যদ্রব্য বাজারজাত করা দরকার । আবার উৎপাদনের স্থানে ঐ পণ্যের বাজার পাওয়া না গেলে তা অন্যত্র স্থানান্তর করতে হয় । আবার বাজার যদি কেন্দ্রীভূত হয় তবে পণ্যের ভোগকারীর কাছে তা সরাসরি পৌঁছায় না । সুতরাং বাজার ও পণ্যের বিকেন্দ্রীকরণ প্রয়োজন ।
দক্ষ প্রক্রিয়ায় এবং সুউৎপাদিত পণ্য সহজেই ব্যাপক ভোগকারীর হাতে পৌঁছাতে পারে । যথোচিত মূল্য নির্ধারণ করতে এবং বাজার ধরতে গেলে চাই মার্কেট সার্ভে বা বাজার সমীক্ষা । কোন পণ্যের বাজার কোথায় পাওয়া যাবে তা বাজার সমীক্ষক অন্বেষণ করবেন । এই কাজটি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে করা যেতে পারে । বাজার সমীক্ষক সরাসরি করতে পারেন । আবার বিজ্ঞাপন মাধ্যমেও করা যেতে পারে । বর্তমান যুগে বিজ্ঞানসম্মত অনেক উপায়ে কোন এক জায়গায় উৎপাদিত পণ্য বিজ্ঞাপিত করে আন্তর্জাতিক বাজার ধরা সম্ভব । পণ্যাদি দ্রুত পরিবহন করাও যাচ্ছে । পচনশীল পণ্য দ্রুত পরিবহন ব্যবস্থায় ভোগকারীর বাজারে পৌঁছে দিতে দ্রুতগামী যানবাহনের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে । আবার যে সকল পণ্য সংরক্ষণ করে ধীরে ধীরে বাজারে পৌঁছে দিতে হবে , সেক্ষেত্রে গোডাউন এবং হিমঘরের ব্যবস্থা করা হচ্ছে । পণ্যের আছে রকমারি স্থানিক বাজার । স্থানীয় বাজার , প্রাদেশিক বাজার , আন্তর্দেশীয় বাজার , বিশ্ববাজার । সুতরাং পণ্যের মান মানে স্ট্যান্ডার্ড সেইমত হওয়া বাঞ্ছনীয় । তাছাড়া আছে পণ্যের দাম । ক্রেতার সাধ্যায়ত্ত মূল্য নির্ধারণ করা হলে সেই পণ্যের টার্নওভার বা বার্ষিক আবর্তন ভাল হবে । এতে পণ্যের ওপর সামগ্রিক লাভ সম্ভব । অবিক্রিত পণ্যের দায় থেকে নিষ্কৃতি লাভ করাও সম্ভব ।
রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ডিপার্টমেন্ট অবিরত ক্রেতা বা ভোগকারীর দিকে নজর রেখে পণ্য উৎপাদন করতে সাহায্য করে । সুতরাং পণ্য উৎপাদন এবং বাজারজাত করনে রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ডিপার্টমেন্ট বহুজাতিক কোম্পানি থেকে পণ্য উৎপাদন এবং বাজারজাত করে বাজারব্যবস্থা সতত:ই ক্রিয়াশীল রাখে । অন্য ক্ষেত্রেও এ ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া চলছে । গ্রেড অনুযায়ী পণ্য উপভোক্তার সমাদর লাভে সমর্থ হলে সুনাম বা গুডউইল অর্জন করে । এই গুডউইল অর্থমূল্য যুক্ত হয় ।
বর্তমান যুগ প্যাকেজিং এর যুগ । প্যাকেজ অর্থাৎ মোড়কাবৃত করে পণ্যদ্রব্য বাজারজাত করাই পণ্যের বাজার ধরার অনন্য উপায় । এই প্যাকেজ ব্র্যান্ডভ্যালু প্রচারে ব্যাবহার করা হয় । ব্র্যান্ডযুক্ত পণ্য সেরা পণ্যের গ্যারান্টি অর্জনে সক্ষম । বাজারে প্রচলিত পণ্যের ব্র্যান্ড ক্রেতার চকিত দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম । সুতরাং একাধিক পণ্য পাশাপাশি অনুসারী হরেক পণ্যের বাজার খুলে দিতে পারে । বাস্কেট বা পেটি বোঝাই পণ্য পরিবহন করতে বাস্কেট বা পেটিও পণ্য স্বরূপ উৎপাদিত হয় । এবং এগুলির বাজার চাহিদা যথেষ্ট ।
পর্তুগীজ নাবিক ভাস্কো - ডা -গামা , বার্থেলোমিউ দিয়াজ , ম্যাগেলান পৃথিবীর অজানা দেশে পাড়ি দিয়ে পণ্য বিকিকিনির বাজার খুঁজতে বেরিয়ে সারা ফেলে দিয়েছিলেন । কলম্বাস আমেরিকা আবিষ্কার করতে বেরিয়ে ছিলেন । উদ্দেশ্য পণ্যের বাজার খোঁজা । উথাল পাথাল ঢেউ বিক্ষুদ্ধ সমুদ্র পথে জাহাজে ভ্রমণ করে বিশ্ব বাজারে পণ্য আমদানি রফতানি করে ব্যবসার বিস্তার করে বাণিজ্যে বসতে: লক্ষ্মী না করলে ব্যাবসা বাণিজ্য বিস্তার করত না । পণ্য চলাচলের জন্য বন্দর নির্মাণ , সড়ক পথ নির্মাণ , জাহাজ নির্মাণ , বিমান পরিবহন , এমন কি ডাকে এবং ক্যুরিয়ারে পণ্য পৌঁছে দেওয়ার ইতিহাস বর্তমানের সাক্ষী ।
পণ্যসামগ্রীর প্রতি লোভ থাকা স্বাভাবিক ।
বিষয়টি প্রসঙ্গান্তরে পাঠালে যেটা ধরা যায় সেটা হল বর্জ্যপণ্য । ভোগের পর বা ব্যাবহারের পর যা বর্জিত হয় তাহল বর্জ্যপণ্য । বর্জ্যপণ্য বাজারজাত করতে গেলে উপজাত পণ্য বা নিষ্কাশিত পণ্যে রূপান্তর প্রয়োজন । সরাসরি বর্জ্যপণ্য বাজারজাত করা সম্ভব নয় । কারণ তা বর্জন করা হয়েছে । কিন্তু পুন:গ্রহন করার অবস্থায় আনা সম্ভব না হলে পরিবেশে বর্জ্যপদার্থ দূষণ সৃষ্টি করবে । ফলে অবাঞ্ছিত আবহাওয়া মানবকূলের জীবনযাত্রায় নানারকম বিঘ্ন ঘটাবে । এবং এরসাথে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা পাবে না । পণ্য প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে মানুষের তৈরি । উৎপাদিত পণ্য ভোগের নিমিত্ত । সুতরাং পন্যদ্রব্য বাজারজাত করা দরকার । আবার উৎপাদনের স্থানে ঐ পণ্যের বাজার পাওয়া না গেলে তা অন্যত্র স্থানান্তর করতে হয় । আবার বাজার যদি কেন্দ্রীভূত হয় তবে পণ্যের ভোগকারীর কাছে তা সরাসরি পৌঁছায় না । সুতরাং বাজার ও পণ্যের বিকেন্দ্রীকরণ প্রয়োজন ।
দক্ষ প্রক্রিয়ায় এবং সুউৎপাদিত পণ্য সহজেই ব্যাপক ভোগকারীর হাতে পৌঁছাতে পারে । যথোচিত মূল্য নির্ধারণ করতে এবং বাজার ধরতে গেলে চাই মার্কেট সার্ভে বা বাজার সমীক্ষা । কোন পণ্যের বাজার কোথায় পাওয়া যাবে তা বাজার সমীক্ষক অন্বেষণ করবেন । এই কাজটি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে করা যেতে পারে । বাজার সমীক্ষক সরাসরি করতে পারেন । আবার বিজ্ঞাপন মাধ্যমেও করা যেতে পারে । বর্তমান যুগে বিজ্ঞানসম্মত অনেক উপায়ে কোন এক জায়গায় উৎপাদিত পণ্য বিজ্ঞাপিত করে আন্তর্জাতিক বাজার ধরা সম্ভব । পণ্যাদি দ্রুত পরিবহন করাও যাচ্ছে । পচনশীল পণ্য দ্রুত পরিবহন ব্যবস্থায় ভোগকারীর বাজারে পৌঁছে দিতে দ্রুতগামী যানবাহনের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে । আবার যে সকল পণ্য সংরক্ষণ করে ধীরে ধীরে বাজারে পৌঁছে দিতে হবে , সেক্ষেত্রে গোডাউন এবং হিমঘরের ব্যবস্থা করা হচ্ছে । পণ্যের আছে রকমারি স্থানিক বাজার । স্থানীয় বাজার , প্রাদেশিক বাজার , আন্তর্দেশীয় বাজার , বিশ্ববাজার । সুতরাং পণ্যের মান মানে স্ট্যান্ডার্ড সেইমত হওয়া বাঞ্ছনীয় । তাছাড়া আছে পণ্যের দাম । ক্রেতার সাধ্যায়ত্ত মূল্য নির্ধারণ করা হলে সেই পণ্যের টার্নওভার বা বার্ষিক আবর্তন ভাল হবে । এতে পণ্যের ওপর সামগ্রিক লাভ সম্ভব । অবিক্রিত পণ্যের দায় থেকে নিষ্কৃতি লাভ করাও সম্ভব ।
রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ডিপার্টমেন্ট অবিরত ক্রেতা বা ভোগকারীর দিকে নজর রেখে পণ্য উৎপাদন করতে সাহায্য করে । সুতরাং পণ্য উৎপাদন এবং বাজারজাত করনে রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ডিপার্টমেন্ট বহুজাতিক কোম্পানি থেকে পণ্য উৎপাদন এবং বাজারজাত করে বাজারব্যবস্থা সতত:ই ক্রিয়াশীল রাখে । অন্য ক্ষেত্রেও এ ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া চলছে । গ্রেড অনুযায়ী পণ্য উপভোক্তার সমাদর লাভে সমর্থ হলে সুনাম বা গুডউইল অর্জন করে । এই গুডউইল অর্থমূল্য যুক্ত হয় ।
বর্তমান যুগ প্যাকেজিং এর যুগ । প্যাকেজ অর্থাৎ মোড়কাবৃত করে পণ্যদ্রব্য বাজারজাত করাই পণ্যের বাজার ধরার অনন্য উপায় । এই প্যাকেজ ব্র্যান্ডভ্যালু প্রচারে ব্যাবহার করা হয় । ব্র্যান্ডযুক্ত পণ্য সেরা পণ্যের গ্যারান্টি অর্জনে সক্ষম । বাজারে প্রচলিত পণ্যের ব্র্যান্ড ক্রেতার চকিত দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম । সুতরাং একাধিক পণ্য পাশাপাশি অনুসারী হরেক পণ্যের বাজার খুলে দিতে পারে । বাস্কেট বা পেটি বোঝাই পণ্য পরিবহন করতে বাস্কেট বা পেটিও পণ্য স্বরূপ উৎপাদিত হয় । এবং এগুলির বাজার চাহিদা যথেষ্ট ।
পর্তুগীজ নাবিক ভাস্কো - ডা -গামা , বার্থেলোমিউ দিয়াজ , ম্যাগেলান পৃথিবীর অজানা দেশে পাড়ি দিয়ে পণ্য বিকিকিনির বাজার খুঁজতে বেরিয়ে সারা ফেলে দিয়েছিলেন । কলম্বাস আমেরিকা আবিষ্কার করতে বেরিয়ে ছিলেন । উদ্দেশ্য পণ্যের বাজার খোঁজা । উথাল পাথাল ঢেউ বিক্ষুদ্ধ সমুদ্র পথে জাহাজে ভ্রমণ করে বিশ্ব বাজারে পণ্য আমদানি রফতানি করে ব্যবসার বিস্তার করে বাণিজ্যে বসতে: লক্ষ্মী না করলে ব্যাবসা বাণিজ্য বিস্তার করত না । পণ্য চলাচলের জন্য বন্দর নির্মাণ , সড়ক পথ নির্মাণ , জাহাজ নির্মাণ , বিমান পরিবহন , এমন কি ডাকে এবং ক্যুরিয়ারে পণ্য পৌঁছে দেওয়ার ইতিহাস বর্তমানের সাক্ষী ।
ভূ - গোলকে অজানা দেশ আবিষ্কার করাও পণ্য আমদানি রফতানি করা মুখ্য উদ্দেশ্য । এর জন্য সেইসব দেশের মানুষ যাতে নতুন নতুন পণ্যের সাথে পরিচিত হতে পারে এবং কৃষ্টির পরিবর্তন ও সংসাধন করে উপযোগী উপভোক্তায় পরিনত হয় সে চেষ্টায় খামতি নেই অদ্যাবধি ।
বিজ্ঞান ও বৈজ্ঞানিক কুলের আবিষ্কারের শতসহস্র উদ্যোগ পণ্য উৎপাদন ও উপযোগিতার দিকেই ধাবিত । ব্যাবহারিক জগৎ পণ্য ছাড়া অচল । মানুষের যাবতীয় প্রয়োজন এবং সুখস্বাচ্ছন্দ প্রতিনিয়ত পণ্যকে আশ্রয় করে যুগ থেকে যুগান্তরের দিকে ধাবিত । জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সময়ের সঙ্গে তালমিলিয়ে ভোগ্যপণ্যের চাহিদা ক্রমে ঊর্দ্ধমুখী । এবং সর্বত্রগামী ।
প্রোমোদ উপকরণ সরাসরি ভোগ করা যায় না । এজন্য যে সকল পণ্য তৈরি হয় তা প্রত্যক্ষভাবে ভোগ করা না গেলেও অপ্রত্যক্ষরূপে ভোগ করা হয় বৈকি । চোখ , কান , নাক দিয়ে কি ভোগ করা যায় না । শুধু উদরপূর্তি করে ভোগ না করে শরীরের অন্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গ দিয়েও ভোগ করা যায় । যৌন সম্ভোগ দ্বারা কাম লালসা পরিতৃপ্ত করতেও ভোগ্যবস্তু দরকার । আর তার জন্য চাই ভোগ্যপণ্য । মানুষ তো মানুষকেও ভোগ্যপণ্যের মত ব্যাবহার করতে পিছপা হয় না ।
প্রোমোদভ্রমন ও বিলাস ও এক ধরনের ভোগ । সুতরাং ট্যুরিস্ট স্পট বানানো , রিসর্ট তৈরি , হোটেল ব্যবসা , ট্যুরিস্ট কার , বিমান এসবে যে পরিমান অর্থ ব্যয় হয় তাও পণ্যার্থেই ।
তাই বাজার অর্থনীতি তথা বাজার ব্যবস্থা পণ্যমুখী । আদার থিংস রিমেন কনস্ট্যান্ট ।
ভূপেন হাজারিকা গেয়েছেন , " মানুষ মানুষকে পণ্য করে, মানুষকে জীবিকা করে " । পণ্যের এই বৃহৎ জগৎ সংসারে মানুষ নিমিত্ত মাত্র । এক অদৃশ্য চালিকা শক্তি মানে এক অদৃশ্য হাত সমগ্র বাজার ব্যবস্থায় পণ্যের চাহিদা ক্রমাগত তৈরি করে চলেছে এবং পণ্যের যোগান অব্যাহত রাখছে নানা প্রক্রিয়ায়।
মানুষ পণ্যদ্রব্যের নানামুখী সম্মোহনী শক্তিকে অগ্রাহ্য করতে অপারগ । পণ্যের আছে জাদুকরী ক্ষমতা । মানুষ তার বশ । অতি কৌশলে পণ্যকে অত্যাবশ্যকীয় করে তোলার আয়োজনে রয়েছে রকমারি বৈচিত্র্য । যারা ভোগ হতে বিরত থাকতে চায় এবং নিরাসক্ত জীবন যাপন করতে বধ্যপরিকর তারাও পণ্যের সম্মোহনী শক্তিকে ঠেকিয়ে রাখতে হিমসিম খেয়ে যায় ।
কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন , " বৈরাগ্য সাধনে মুক্তি , সে আমার নয় । " পরিশেষে জগৎ জুড়ে নানাবিধ পণ্যের যে আয়োজন তাকে স্যালুট জানাই ।
বিজ্ঞান ও বৈজ্ঞানিক কুলের আবিষ্কারের শতসহস্র উদ্যোগ পণ্য উৎপাদন ও উপযোগিতার দিকেই ধাবিত । ব্যাবহারিক জগৎ পণ্য ছাড়া অচল । মানুষের যাবতীয় প্রয়োজন এবং সুখস্বাচ্ছন্দ প্রতিনিয়ত পণ্যকে আশ্রয় করে যুগ থেকে যুগান্তরের দিকে ধাবিত । জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সময়ের সঙ্গে তালমিলিয়ে ভোগ্যপণ্যের চাহিদা ক্রমে ঊর্দ্ধমুখী । এবং সর্বত্রগামী ।
প্রোমোদ উপকরণ সরাসরি ভোগ করা যায় না । এজন্য যে সকল পণ্য তৈরি হয় তা প্রত্যক্ষভাবে ভোগ করা না গেলেও অপ্রত্যক্ষরূপে ভোগ করা হয় বৈকি । চোখ , কান , নাক দিয়ে কি ভোগ করা যায় না । শুধু উদরপূর্তি করে ভোগ না করে শরীরের অন্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গ দিয়েও ভোগ করা যায় । যৌন সম্ভোগ দ্বারা কাম লালসা পরিতৃপ্ত করতেও ভোগ্যবস্তু দরকার । আর তার জন্য চাই ভোগ্যপণ্য । মানুষ তো মানুষকেও ভোগ্যপণ্যের মত ব্যাবহার করতে পিছপা হয় না ।
প্রোমোদভ্রমন ও বিলাস ও এক ধরনের ভোগ । সুতরাং ট্যুরিস্ট স্পট বানানো , রিসর্ট তৈরি , হোটেল ব্যবসা , ট্যুরিস্ট কার , বিমান এসবে যে পরিমান অর্থ ব্যয় হয় তাও পণ্যার্থেই ।
তাই বাজার অর্থনীতি তথা বাজার ব্যবস্থা পণ্যমুখী । আদার থিংস রিমেন কনস্ট্যান্ট ।
ভূপেন হাজারিকা গেয়েছেন , " মানুষ মানুষকে পণ্য করে, মানুষকে জীবিকা করে " । পণ্যের এই বৃহৎ জগৎ সংসারে মানুষ নিমিত্ত মাত্র । এক অদৃশ্য চালিকা শক্তি মানে এক অদৃশ্য হাত সমগ্র বাজার ব্যবস্থায় পণ্যের চাহিদা ক্রমাগত তৈরি করে চলেছে এবং পণ্যের যোগান অব্যাহত রাখছে নানা প্রক্রিয়ায়।
মানুষ পণ্যদ্রব্যের নানামুখী সম্মোহনী শক্তিকে অগ্রাহ্য করতে অপারগ । পণ্যের আছে জাদুকরী ক্ষমতা । মানুষ তার বশ । অতি কৌশলে পণ্যকে অত্যাবশ্যকীয় করে তোলার আয়োজনে রয়েছে রকমারি বৈচিত্র্য । যারা ভোগ হতে বিরত থাকতে চায় এবং নিরাসক্ত জীবন যাপন করতে বধ্যপরিকর তারাও পণ্যের সম্মোহনী শক্তিকে ঠেকিয়ে রাখতে হিমসিম খেয়ে যায় ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন