খাবার টেবিলে বসে ছিলেন ক্যাপ্টেন স্পীক। রহস্যপ্রিয় মানুষটা আফ্রিকায় এসেছিলেন মূলত অ্যাডভেঞ্চারের টানে। ক্রমশ স্থানীয় লোকজনের জীবনযাত্রার বৈচিত্র্য আর মাতৃভূমি ইংলন্ডের সমাজ থেকে ফারাকটায় এমনভাবে মজলেন যে দেশে ফেরা মুলতবি রেখে দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়াম্বিবি উপজাতির এই গ্রামটায় আপাতত পাকা বসত বাড়ি করে ফেলেছেন। এদের যত দেখছেন কৌতুহল তত বেড়ে যাচ্ছে। নিজের ডায়রি লিখতে গিয়ে ক্রমশ যেন নাবিক থেকে নৃতাত্বিক হয়ে যাচ্ছেন। হ্যাঁ। ক্যাপ্টেন জেরাল্ড স্পীক ইদানিং সময় পেলেই সমাজতাত্ত্বিক হার্বাট স্পেন্সরের লেখা পড়ছেন আর মিলিয়ে নিতে চাইছেন নিজের অভিজ্ঞতা।
খাবার পদ নিতান্ত আটপৌরে। প্রতিদিন এক টুকরো বিফ্ থাকলে ওয়াইন সহকারে বাকি খাবারটাও মোটামুটি পার করা যায়। গোরুর মাংসটা সহজলভ্য। মুরগিও কিছুটা। এছাড়া নিজে জিপ নিয়ে শিকারে বেরোলে মধ্যে মধ্যে হরিণ, শূয়োর জুটে যায়। তখন একটু স্বাদ বদল হয় আর কী। তবে আর একটি মাংসেরও চল আছে। তাই স্পীক সাহেব তাঁর ভৃত্যকে মাংস রান্নার দায়িত্ব দিয়ে সব সময় নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন না। মাঝে মাঝে কোনও ছুতোয় নিজে রান্নাঘরে ঢুকে চোখ বুলিয়ে আসেন।
মোকামা অনেকবারের মতো এবারও সরলভাবে বলল, “স্যর, একবার শুধু টেস্ট করে দেখো। এত ভালো স্বাদ আর কিছুতে নেই। আমি নিজে গিয়ে নিয়ে আসব, একেবারে কচি দেখে”।
মোকামা অনেকবারের মতো এবারও সরলভাবে বলল, “স্যর, একবার শুধু টেস্ট করে দেখো। এত ভালো স্বাদ আর কিছুতে নেই। আমি নিজে গিয়ে নিয়ে আসব, একেবারে কচি দেখে”।
প্রথমদিন খাবার টেবিলে এই প্রস্তাব শুনে নিজের অতি পছন্দের শূয়োরের রোস্ট মুখে না ঠেকিয়ে উঠে গিয়েছিলেন স্পীক। এখন শুনে শুনে গা সওয়া হয়ে গেছে। এদিন স্বাভাবিক গলায় একটু রসিকতার ভঙ্গীতে বললেন, “তা বাপু তোমরা রোজ রোজ মানুষের মাংস পাও কোথা থেকে? রোজই কি নিজেরা মারামারি কর?”
“না স্যর। নিজেদের লোককে মারলে গোষ্ঠী কমজোরি হয়ে যাবে না? আশপাশের গাঁ থেকে জোগাড় হয়ে যায়।”
“ওদেরকে লড়াইতে হারিয়ে বন্দী করে না নাকি ওদের ছেলেমেয়ে চুরি করে?”
“চুরির দরকার হয় না স্যর। একটা ছাগল দিলে ওখানকার মেয়ে মানুষরা নিজেদের বাচ্চাকে আমাদের হাতে তুলে দেয়।”
“সে কী! মা নিজে নরখাদকের হাতে বাচ্চা তুলে দেয়? তাও একটা মোটে ছাগলের বিনিময়ে?”
“হুঁ হুঁ। কেন দেবে না স্যর? দুধেল ছাগল হলে তো কথাই নেই। পোষার কোনও ঝামেলা নেই। ছাগল নিজেই চরে চরে ঘাসপাতা খেয়ে নেবে। বদলে যতদিন পারো দুধ দোও। তারপর মেরে খেয়ে ফেলো। নিজের বাচ্চার কাছে কি দুধ পাবে? উল্টে তাকেই খাওয়াতে পরাতে হবে। হিহি! জানো তো স্যর, অনেক সময় বাচ্চার বদলে দেওয়া ছাগলগুলো চরতে চরতে আমাদের গাঁয়ের সীমানায় চলে আসে। তখন তাদের আবার ধরে আনি। তাহলে একই ছাগলের বিনিময়ে বেশ কয়েকটা মানুষের বাচ্চা খাওয়া যায়।”
“না স্যর। নিজেদের লোককে মারলে গোষ্ঠী কমজোরি হয়ে যাবে না? আশপাশের গাঁ থেকে জোগাড় হয়ে যায়।”
“ওদেরকে লড়াইতে হারিয়ে বন্দী করে না নাকি ওদের ছেলেমেয়ে চুরি করে?”
“চুরির দরকার হয় না স্যর। একটা ছাগল দিলে ওখানকার মেয়ে মানুষরা নিজেদের বাচ্চাকে আমাদের হাতে তুলে দেয়।”
“সে কী! মা নিজে নরখাদকের হাতে বাচ্চা তুলে দেয়? তাও একটা মোটে ছাগলের বিনিময়ে?”
“হুঁ হুঁ। কেন দেবে না স্যর? দুধেল ছাগল হলে তো কথাই নেই। পোষার কোনও ঝামেলা নেই। ছাগল নিজেই চরে চরে ঘাসপাতা খেয়ে নেবে। বদলে যতদিন পারো দুধ দোও। তারপর মেরে খেয়ে ফেলো। নিজের বাচ্চার কাছে কি দুধ পাবে? উল্টে তাকেই খাওয়াতে পরাতে হবে। হিহি! জানো তো স্যর, অনেক সময় বাচ্চার বদলে দেওয়া ছাগলগুলো চরতে চরতে আমাদের গাঁয়ের সীমানায় চলে আসে। তখন তাদের আবার ধরে আনি। তাহলে একই ছাগলের বিনিময়ে বেশ কয়েকটা মানুষের বাচ্চা খাওয়া যায়।”
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন