গরমিল
==================
দেবাশিস মুখোপাধ্যায়
==================
মৃত ফুলগাছের বিকেল নীল করে দেয়
গান পড়শি ছাড়িয়ে মেঘলার কাছে
একটা ধূসর পাঁচিল দীর্ঘশ্বাসের সঙ্গ করার পর
পাতাহীন গাছের কাছাকাছি হেমন্ত পাখি ডাকে
এই যে ভাঁজ করা সন্ধ্যা তাকে নির্জনতা ধরে
স্মৃতিগুলি ক্রমশ শীত চালায় আগুনের খোঁজ
তারাদের পাঠশালায় ভুল গণিতের ভীড়
দশের সঙ্গে দশ ভাগাভাগির পর এক
ভাঙা ট্রলার শুয়ে ভাঙা চাঁদ মেখে
ভৈরবী রাত্রির শরীরে শুনছে বসন পরো
বসন পরো
২.
চক্ষু নির্মাণ পর্ব
==================
তোমার পাথর চোখে স্কুলের ছুটির ঘন্টা
গ্রীষ্মের দিন কিছু ফুলের জন্মদিন
এই যে হঠাৎ খুঁজে পাওয়া গেল শূন্যতা কাটিয়ে
সজল অশ্রুর পথে গানগুলো খুশি খুশি গায়
গড়ে ওঠে ভাঙা সম্পর্ক যেন ছিল যারা
আবার ফিরেছে পুরনো ঘরের গমগমে
ঘাম তেল দিতে দিতে এই যে প্রতিমা জ্যান্ত
যে কটা দিন কাছে পাওয়া ধন্য হৃদমন্ডপ
অন্ধমানুষের গল্প ফুরিয়ে আসে আমাদের চোখে
পাতায় পাতায় বৈশাখীর নাচ বর্ষার আগে
৩.
নিষিদ্ধ কথাগুলি
==================
রাতের কাছে আশ্রয় চাওয়া নিশ্চয়ই ভুল
একটা শহর কতটা উপোসী কেউ জানে না
যে জলাশয় শুধু তারা বুকে ধারনের কথা বলেছিল
এখন মোষ হয়ে দেহ ভাসিয়েছে কালো মেঘ
বোবা হলে কিছুই বলা সম্ভব না , অন্ধ হলেও
তবুও কখনো কখনো ঝরে পড়ে সঞ্চিত আগুন
গোপনে মধু খাওয়া ঠিক ফাঁস হয়ে পড়ে
নিশাচর ফিরে গেলে বাসায় শুধু আঁশগন্ধ
৪.
নিজস্ব পদ্ধতি
==================
দেবাশিস মুখোপাধ্যায়
১টা পাখি বিকেলকে একলা করে ফিরছে
আকাশ ক্রমশ রক্ত রঙ ছড়াচ্ছে বৃত্ত ধরে
এই পার্কের ঘাসে দুজনের চিহ্ন রাখা ছিল
সময়কে লেখা হচ্ছিল উষ্ণ কালির রেখায়
ফুলগাছের কাছাকাছি কিছু ছেঁড়া পালক
দৃশ্যের শরীরে পরিয়ে দিল পাতাহীন গাছ
পাখি ঘাস ফুলের কথা ফুরোলেই ১ঘর
কঙ্কাল নিয়ে পড়ে আছে বন্ধ ফ্ল্যাট
কিছু কিছু পথ নিজেই তৈরি করে নেয়
আত্মহত্যার কৌশল আর শান্তি যাত্রা
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন