জাফর পাঠানের দুইটি কবিতা
=====================
যাপিত যন্ত্রণা
===========
শৈশব- কৈশোর থেকে- বৃক্ষটি
ছিল একাকী নিঃস্প্রাণ নিঃস্পন্দ,
ছিলনা- ছন্দানন্দের- আনন্দ
ছিল দুঃখ আবৃত- নিরানন্দ।
হঠাৎ কবিতার মত বৃষ্টি
জাগালো চিত্রকল্প নিরঞ্জন,
একটু ছোঁয়া- একটু পরশ
বৃক্ষটির জাগালো গুঞ্জরণ।
বৃষ্টির- অযাচিত- বিমুখতা
ভাঙ্গে- বৃক্ষটির লালিত স্প্ন,
গগনে উঠে- রক্তলাল রবি
ভূমে আশারা বিপন্ন আপন্ন।
ধরাকে নিয়ে ব্যস্ত থাকে যারা
হৃদবিবর্জিত, বোঝেনা তারা,
কি অব্যক্ত- সুপ্ত ব্যথার ধারা
বৃক্ষটিকে নিয়ত দিচ্ছে নাড়া।
####
ওরা অন্ধ
===========
অর্থ- বিত্ত- বৈভব, আর বাহুবল
এমনভাবে ওদের করেছে অন্ধ,
ওরা চোখে দেখে, সব কর্মই করে
শুধু- বিবেকের কপাট রাখে বন্ধ।
যায় দিন, যায় মাস, যায় বছর
ভাবে-ওরা সত্য, বাকিরা মিথ্যা সব,
কেন কাঁদে মা-কাঁদে বাবা-কাঁদে শিশু
ভাবেনা ওসব, ধরেছে ওরা ভব।
কেবা দেখে- মাটি ফেলে দীর্ঘ নিশ্বাস
বুকে বাড়ছে- বহমান রক্ত নদী,
বাতাসে ভাসে বিন্দু বিন্দু অশ্রু বিন্দু
কাঁদে লুকিয়ে, কেউ দেখে ফেলে যদি।
আকাশে মেঘ, গুমট দুঃখ পাহাড়
দেখে- মানবতার অসহায় ক্ষয়,
দিক-দিগন্তে- শয়তানী ঢামাঢোল
শুধু অমানুষদের- প্লাবনী জয়।
দিকে দিকে শুধুই ভয় আর ভয়
মনুষ্যত্বের ভয়াবহ অবক্ষয়,
এতেই খুশি, বাজায় বিষের বাঁশি
ওরা থাকবে নাকি! অমর-অক্ষয়!
=====================
যাপিত যন্ত্রণা
===========
শৈশব- কৈশোর থেকে- বৃক্ষটি
ছিল একাকী নিঃস্প্রাণ নিঃস্পন্দ,
ছিলনা- ছন্দানন্দের- আনন্দ
ছিল দুঃখ আবৃত- নিরানন্দ।
হঠাৎ কবিতার মত বৃষ্টি
জাগালো চিত্রকল্প নিরঞ্জন,
একটু ছোঁয়া- একটু পরশ
বৃক্ষটির জাগালো গুঞ্জরণ।
বৃষ্টির- অযাচিত- বিমুখতা
ভাঙ্গে- বৃক্ষটির লালিত স্প্ন,
গগনে উঠে- রক্তলাল রবি
ভূমে আশারা বিপন্ন আপন্ন।
ধরাকে নিয়ে ব্যস্ত থাকে যারা
হৃদবিবর্জিত, বোঝেনা তারা,
কি অব্যক্ত- সুপ্ত ব্যথার ধারা
বৃক্ষটিকে নিয়ত দিচ্ছে নাড়া।
####
ওরা অন্ধ
===========
অর্থ- বিত্ত- বৈভব, আর বাহুবল
এমনভাবে ওদের করেছে অন্ধ,
ওরা চোখে দেখে, সব কর্মই করে
শুধু- বিবেকের কপাট রাখে বন্ধ।
যায় দিন, যায় মাস, যায় বছর
ভাবে-ওরা সত্য, বাকিরা মিথ্যা সব,
কেন কাঁদে মা-কাঁদে বাবা-কাঁদে শিশু
ভাবেনা ওসব, ধরেছে ওরা ভব।
কেবা দেখে- মাটি ফেলে দীর্ঘ নিশ্বাস
বুকে বাড়ছে- বহমান রক্ত নদী,
বাতাসে ভাসে বিন্দু বিন্দু অশ্রু বিন্দু
কাঁদে লুকিয়ে, কেউ দেখে ফেলে যদি।
আকাশে মেঘ, গুমট দুঃখ পাহাড়
দেখে- মানবতার অসহায় ক্ষয়,
দিক-দিগন্তে- শয়তানী ঢামাঢোল
শুধু অমানুষদের- প্লাবনী জয়।
দিকে দিকে শুধুই ভয় আর ভয়
মনুষ্যত্বের ভয়াবহ অবক্ষয়,
এতেই খুশি, বাজায় বিষের বাঁশি
ওরা থাকবে নাকি! অমর-অক্ষয়!
আপনাদের এই উদ্যেগে আমি আন্তরিক একাত্বতা প্রকাশ করছি । অন্যমনে সাহিত্য পরিবারের- সবার প্রতি রইল আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা , ভালোবাসা ও শুভাশীর্বাদ ।
উত্তরমুছুন