অন্যমনে সাহিত্য. অন্য রকম দৃষ্টিকোন থেকে দেখা একটি প্রতিবিম্ব ভাবনা .. অন্যমনে সাহিত্য.

বৃহস্পতিবার, ১২ আগস্ট, ২০২১

কবিতায় পরাগ ভট্টাচার্য্য


  

 

একা ছায়াপথে
===================



বৃষ্টি সেবার তখনও উঁকিঝুঁকি
এদিকে পুজোর গন্ধে মাতছে চারিদিক
হঠাৎ করে বৃষ্টি যদি আসে
পথে যেতে যেতে ভাবছি আমি মনে
গন্তব্য তখনও দশটা মিনিট
হঠাৎ তোমায় সামনে দেখে
মেঘ, বৃষ্টি, পুজো সব একাকার
সমস্ত মুছে গিয়ে আলোকময়, অন্যরকম
তোমার চলে যাওয়ার চেনা ছন্দে
তোমার মোহময় ঘনকুন্তল কটিদেশ পেড়িয়ে
সাদা শাড়ির পাড়ে বসেছে নহবত
পুজোর প্যান্ডেলে মান্না দের গান
চেষ্টা করেও পারিনি আসতে ছাতার নীচে
তোমার ছায়াপথ দিয়ে যেতে যেতে
ভিজে গেছিলাম ঝমঝম বৃষ্টিতে
কিন্তু তোমায় দেখার ইচ্ছে হারাতে চাই নি
যখন কোন সঙ্গীত হেঁটে যায়
কে বিরক্ত করে বা পথরোধে দাঁড়ায়!
আমি পারিনি সেরকম কেউ হতে!
অন্তরালে, নীরবে, সুন্দরতায় ডুবে ছিলাম;

তারপরও দেখা হয়েছিল কয়েকবার
কিন্তু নহবত আর কখনও বসেনি
এখনও ওই রাস্তা দিয়ে যেতে সুরসঙ্গমে
শুনতে পাই, সব কিছু বদলে গেলেও
আসলে, আমি যে বদলাতে পারি নি
আজও উপলব্ধি হয়, সেটাই আমার চরম প্রাপ্তি।







মেঘের কথায় বৃষ্টি হতো
===================




তুমি কি জানতে তোমার নাম ছিল মেঘ
ঈশান কোনে বাদল এসে জমতো
তোমার আঁচল যখন, হাওয়ায় উড়ে যেতো
জলফড়িং হঠাৎ এসে বসতো, তোমার পাশে!
আকাশের মেঘ আসতো তখন নেমে
কাজল ঘন চুলের বাঁধন খোলা
বৃষ্টির দেখা না হলে না হবে
বুকের শব্দে জানা অজানা কথা বলা;
মন বলতো হারিয়ে দিতে রঙীন চুলের ফিতে,
সীমানা ছাড়িয়ে উড়িয়ে দিতে দিগন্তে
পুঞ্জীভূত মেঘ যেমন ছাড়িয়ে উড়ে যায়
পাহাড়ের বুকে জমে, কেমন থমকায়
ডুবিয়ে নদী ঝিল, পেড়িয়ে মোহনায়,
তেমনই দুটো রঙীন পাখা হয়ে উড়ে যেতে!
তোমার নামে সেই , বৃষ্টির কি উচ্ছ্বাস
তোমার কন্ঠে রাগ মল্লারে সুরাহত!
তুমি কি বুঝতে পারতে , যত সব পাগলামো
কখনো নদীর জলে বুকসম ছুঁয়ে যেতো,
আমি ছিলাম মাটির গন্ধ নিয়ে,
বৃষ্টি মেঘে উদ্বেলিত, কিন্তু অসহায়!
কখন জানি হারিয়ে গেল, মেঘ বৃষ্টির খেলা,
শূন্য রাস্তা বৃষ্টিতে ভেজে, রাতের বিষন্নতায়। 


 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন