সেই দিনটা ছিল ২৪শে মার্চ ২০২০, আগামী লেখার এক সম্ভাবনাময় দিন। পৃথিবীর লং মার্চে আমার ভারত পায়ে পা মিলিয়ে ঘোষণা করল লকডাউন। করোনা ভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারীর প্রতিরোধ মূলক ব্যবস্থা। ১৩০ কোটির ভারতবাসীকে স্তব্ধ করে ভাইরাসের অগ্রগতিকে প্রতিহত করতে উদ্যত আমরা প্রবল উৎসাহে থালা বাজিয়ে প্রদীপ জ্বালিয়ে গো মূত্র সেবন করে বরণ অথবা তাড়ন প্রক্রিয়ায় স্বাগত জানালাম লকডাউন।
স্বপ্নের আচ্ছে দিনের মতন শুরু হলো জনতা কার্ফু কোভিড -১৯ এর বিরুদ্ধে স্বঘোষিত লড়াই।
এরপর মঙ্গল পৃথিবী থেকে বহু কোটি কিলোমিটার দূরে সরে গেল। পারসিভিয়ারেন্স রোভার থেকে পৃথিবীতে আসা সংকেতও ক্ষীণতর হলো। তবুও কান পাতলে শোনা যায় হাজার হাজার কিলোমিটার জুড়ে কোটি কোটি পরিযায়ী শ্রমিকের লাবডুব। রাস্তায় বিক্ষিপ্ত পরে থাকা শ্রমিকের জীবন্ত রক্তে ভেজা রুটির টুকরো আর চলন্ত ট্রেনের তলায় ছিন্ন বিছিন্ন মানুষের দেহাংশ।
তখন এই আমরাই কিন্তু ফেসবুক জুড়ে লাইভ করছিলাম। নাচ দেখিয়ে গান শুনিয়ে গল্প বলে কবিতা আবৃত্তি করে সহ নেটিজেনদের লকডাউনের গৃহবন্দী জীবনে আনন্দের জোগান দিচ্ছালাম নাগরিক ও মানবিক কর্তব্যে। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের নির্বাচিত সরকারের সুচিন্তিত বিবেচনায় নেওয়া সঠিক সিদ্ধান্তে। তখন আমাদের রাতের ঘুম দিনের শান্তি কিন্তু একচুলও নষ্ট হয় নি।
এরপর মঙ্গল পৃথিবী থেকে বহু কোটি কিলোমিটার দূরে সরে গেল। পারসিভিয়ারেন্স রোভার থেকে পৃথিবীতে আসা সংকেতও ক্ষীণতর হলো। তবুও কান পাতলে শোনা যায় হাজার হাজার কিলোমিটার জুড়ে কোটি কোটি পরিযায়ী শ্রমিকের লাবডুব। রাস্তায় বিক্ষিপ্ত পরে থাকা শ্রমিকের জীবন্ত রক্তে ভেজা রুটির টুকরো আর চলন্ত ট্রেনের তলায় ছিন্ন বিছিন্ন মানুষের দেহাংশ।
তখন এই আমরাই কিন্তু ফেসবুক জুড়ে লাইভ করছিলাম। নাচ দেখিয়ে গান শুনিয়ে গল্প বলে কবিতা আবৃত্তি করে সহ নেটিজেনদের লকডাউনের গৃহবন্দী জীবনে আনন্দের জোগান দিচ্ছালাম নাগরিক ও মানবিক কর্তব্যে। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের নির্বাচিত সরকারের সুচিন্তিত বিবেচনায় নেওয়া সঠিক সিদ্ধান্তে। তখন আমাদের রাতের ঘুম দিনের শান্তি কিন্তু একচুলও নষ্ট হয় নি।
অতীতের এই সব দেখতে প্রয়োজন হয় না জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের।মহাজাগতিক পথে বিন্দু বিন্দু শ্বেদ জমে জমে গড়ে ওঠে আগামীর মহাকাব্য।
বর্তমানের অনুভবে অতীতের অভিজ্ঞতা সিঞ্চিত সচেতন উপলব্ধি আর ভবিষ্যতের ভাবনা এই দুইয়ের সাহিত্যিক মেলবন্ধন ঘটিয়ে আমাদের চেতন অবচেতন মনের আঙিনায় আমাদের সৃষ্টিই পারে আমাদেরকে মানববোধের মন্ত্রে উদ্ভাসিত করে তুলতে ।
আমাদের সৃষ্টি অর্ঘ অর্পণ করে জীবনবোধের গভীরতায় সুস্পষ্ট জীবন প্রশ্নের অভিমুখী করে গড়ে তুলতে পারি আমাদেরকে। আর তখনই আমাদের আমিত্বগুলি অর্থবহ হয়ে ওঠে।
বর্তমানের অনুভবে অতীতের অভিজ্ঞতা সিঞ্চিত সচেতন উপলব্ধি আর ভবিষ্যতের ভাবনা এই দুইয়ের সাহিত্যিক মেলবন্ধন ঘটিয়ে আমাদের চেতন অবচেতন মনের আঙিনায় আমাদের সৃষ্টিই পারে আমাদেরকে মানববোধের মন্ত্রে উদ্ভাসিত করে তুলতে ।
আমাদের সৃষ্টি অর্ঘ অর্পণ করে জীবনবোধের গভীরতায় সুস্পষ্ট জীবন প্রশ্নের অভিমুখী করে গড়ে তুলতে পারি আমাদেরকে। আর তখনই আমাদের আমিত্বগুলি অর্থবহ হয়ে ওঠে।
খুব সুন্দর হয়েছে সম্পাদকীয়। অভিনন্দন!
উত্তরমুছুন