এক ভীষণ অস্থির টালমাটাল অবস্থার ভেতর দিয়ে এগিয়ে চলেছি আমরা। সুস্থির অর্থনৈতিক পরিকাঠামো গঠনের বদলে মেতে উঠেছি বর্ণ বর্ণ ধর্ম ধর্ম খেলায়। যদি ইতিহাসের দিকে তাকাই আমরা দেখবো বিবর্তনের চাকা ঘুরছে আর তার ধুলোয় ধুলোয় মিশে আছে তীব্র লড়াই এর ইতিহাস।লড়াই কখনো শ্রেষ্ঠতার শিরোপার জন্য কখনো শ্রেষ্ঠতর উত্তরণের জন্য।
কখনো লড়াই হয় প্রতিবাদের সব ভাষা মিশে কখনো লড়াইয়ে মিশে যায় জীবনের গান। কখনো লড়াই হয় খালি পায়ে হেঁটে কখনো উদ্ধত বেয়নেটের মাঝে স্বেদ আর কুমকুম লাল রঙে মেখে।
বর্তমান লড়াইয়ের ময়দানে সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক এবং চর্চিত দুটি শব্দ শব্দবন্ধনীতে নিয়ে যুযুধান সব শিবির “গণতন্ত্র” ও “ফ্যাসিবাদ”।
ইদানীং লক্ষ্য করা যায়, “গণতন্ত্র”র পরিসর গেরস্তের কাপড় হাঁটুর ওপরে ওঠার মত কিঞ্চিৎ খাটো হয়েছে এবং খোল-করতাল বাদ্য ও ধ্বনি সহকারে “ফ্যাসিবাদ”-এর উচ্চারণ অনেক বেশি শোনা যাচ্ছে। সেই সাথে উঠে এসেছে অনেক অনেক প্রশ্ন। গণতন্ত্র তাহলে কী এবং তার পরিণতিই বা কি? আর ফ্যাসিবাদই বা কোন প্রেক্ষিতে কোন প্রয়োজনে উঠে এলো? বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে আর্থ সামাজিক এই অবস্থান এটা উত্তরণ না অবতরণ?
পথ চলতি মাঠের মানুষ আর গ্রামে গঞ্জের সাধারণ মানুষের চলিত ধারণা হল “মেজরিটি মাস্ট বি গ্রান্টেড”। গড়ে ওঠা পঞ্চায়েতের ফলে আজ মানুষের মনে এই ধারনা অনেকটা শক্তপোক্ত। নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত নানাবিধ কাজ এরপর – জয়, পরাজয় এবং প্রাপ্ত সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রতিনিধির অংশগ্রহণের ভিত্তিতে ‘সরকার’ গঠন এবং শাসন পরিচালনা – তত্ত্বগত ভাবে যা হল জনগণের, জনগণ দ্বারা, জনগণের জন্যে শাসন পরিচালনা।“গভর্নমেন্ট ইজ অব দ্যা পিপল, বাই দ্যা পিপল, ফর দ্যা পিপল।” অর্থাৎ জনগণের, জনগণের দ্বারা এবং জনগণের স্বার্থে পরিচালিত হবে সরকার।
তাই কী হচ্ছে বা হতে পারছে? গ্রীক দার্শনিক অ্যারিস্টটল বলেছিলেন যে ব্যবস্থায় প্রত্যেকের অংশগ্রহণ নিশ্চিত নয় তা কুলীনতন্ত্র এবং যেখানে প্রত্যেকের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়েছে তা গণতন্ত্র। এতকাল পরে বলা যাবে তো বর্তমান ব্যবস্থায় প্রত্যেকের অংশগ্রহণ নিশ্চিত? নাকি আজও ‘কুলীনতন্ত্র’র রকমফের চলছে?
গরিবরা চায় শান্তি, রুটি রুজির অন্বেষণ এবং সঙ্গে গণতন্ত্র চায়। কারণ সাধারণ জনগণ মনে করে যে গণতন্ত্র তাদের স্বাধীনতা, সাম্য, সমান অধিকার প্রতিষ্ঠায় ক্ষমতা দেবে। ধনীরাও গণতন্ত্র চায়। ক্ষমতা ও শাসন প্রণালীর উপর নিয়ন্ত্রণ, সম্পদ আরও কুক্ষিগত করার জন্য ধনীরা ‘গণতন্ত্র’র পাঠ চায়। তাই ধনীদের ‘গণতন্ত্র’ আর গরিবদের গণতন্ত্র এক নয় আর এখানেই যত দ্বন্দ্ব, বিরোধ, সংঘর্ষ ।
তাই সংখ্যার গরিষ্ঠতা খুব সহজেই গণতন্ত্র নিধন করতে সক্ষম, কোনও আয়াস লাগে না। কিন্তু সত্য সংখ্যা লঘুর সাথেও সবস্থান করতে পারে। গণতন্ত্রের একমাত্র মূল শর্ত স্বাধীনতা, সাম্য, সমানাধিকার প্রতিষ্ঠা। এই শর্ত পূরণ জনগণের লক্ষ্য আমাদের লক্ষ্য । এই লক্ষ্য অর্জন পূরণ ও প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন দীর্ঘস্থায়ী লড়াই যা এই পরিস্থিতিতে এক এবং একমাত্র অনিবার্য সত্য।
প্রিয় বন্ধু আসুন এই তীব্র লড়াইয়ে আমাদের কলম আমাদের হয়ে কথা বলুক।আমাদের চেতনা এঁকে দিক লড়াইয়ে নতুন অধ্যায়।
কখনো লড়াই হয় প্রতিবাদের সব ভাষা মিশে কখনো লড়াইয়ে মিশে যায় জীবনের গান। কখনো লড়াই হয় খালি পায়ে হেঁটে কখনো উদ্ধত বেয়নেটের মাঝে স্বেদ আর কুমকুম লাল রঙে মেখে।
বর্তমান লড়াইয়ের ময়দানে সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক এবং চর্চিত দুটি শব্দ শব্দবন্ধনীতে নিয়ে যুযুধান সব শিবির “গণতন্ত্র” ও “ফ্যাসিবাদ”।
ইদানীং লক্ষ্য করা যায়, “গণতন্ত্র”র পরিসর গেরস্তের কাপড় হাঁটুর ওপরে ওঠার মত কিঞ্চিৎ খাটো হয়েছে এবং খোল-করতাল বাদ্য ও ধ্বনি সহকারে “ফ্যাসিবাদ”-এর উচ্চারণ অনেক বেশি শোনা যাচ্ছে। সেই সাথে উঠে এসেছে অনেক অনেক প্রশ্ন। গণতন্ত্র তাহলে কী এবং তার পরিণতিই বা কি? আর ফ্যাসিবাদই বা কোন প্রেক্ষিতে কোন প্রয়োজনে উঠে এলো? বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে আর্থ সামাজিক এই অবস্থান এটা উত্তরণ না অবতরণ?
পথ চলতি মাঠের মানুষ আর গ্রামে গঞ্জের সাধারণ মানুষের চলিত ধারণা হল “মেজরিটি মাস্ট বি গ্রান্টেড”। গড়ে ওঠা পঞ্চায়েতের ফলে আজ মানুষের মনে এই ধারনা অনেকটা শক্তপোক্ত। নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত নানাবিধ কাজ এরপর – জয়, পরাজয় এবং প্রাপ্ত সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রতিনিধির অংশগ্রহণের ভিত্তিতে ‘সরকার’ গঠন এবং শাসন পরিচালনা – তত্ত্বগত ভাবে যা হল জনগণের, জনগণ দ্বারা, জনগণের জন্যে শাসন পরিচালনা।“গভর্নমেন্ট ইজ অব দ্যা পিপল, বাই দ্যা পিপল, ফর দ্যা পিপল।” অর্থাৎ জনগণের, জনগণের দ্বারা এবং জনগণের স্বার্থে পরিচালিত হবে সরকার।
তাই কী হচ্ছে বা হতে পারছে? গ্রীক দার্শনিক অ্যারিস্টটল বলেছিলেন যে ব্যবস্থায় প্রত্যেকের অংশগ্রহণ নিশ্চিত নয় তা কুলীনতন্ত্র এবং যেখানে প্রত্যেকের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়েছে তা গণতন্ত্র। এতকাল পরে বলা যাবে তো বর্তমান ব্যবস্থায় প্রত্যেকের অংশগ্রহণ নিশ্চিত? নাকি আজও ‘কুলীনতন্ত্র’র রকমফের চলছে?
গরিবরা চায় শান্তি, রুটি রুজির অন্বেষণ এবং সঙ্গে গণতন্ত্র চায়। কারণ সাধারণ জনগণ মনে করে যে গণতন্ত্র তাদের স্বাধীনতা, সাম্য, সমান অধিকার প্রতিষ্ঠায় ক্ষমতা দেবে। ধনীরাও গণতন্ত্র চায়। ক্ষমতা ও শাসন প্রণালীর উপর নিয়ন্ত্রণ, সম্পদ আরও কুক্ষিগত করার জন্য ধনীরা ‘গণতন্ত্র’র পাঠ চায়। তাই ধনীদের ‘গণতন্ত্র’ আর গরিবদের গণতন্ত্র এক নয় আর এখানেই যত দ্বন্দ্ব, বিরোধ, সংঘর্ষ ।
তাই সংখ্যার গরিষ্ঠতা খুব সহজেই গণতন্ত্র নিধন করতে সক্ষম, কোনও আয়াস লাগে না। কিন্তু সত্য সংখ্যা লঘুর সাথেও সবস্থান করতে পারে। গণতন্ত্রের একমাত্র মূল শর্ত স্বাধীনতা, সাম্য, সমানাধিকার প্রতিষ্ঠা। এই শর্ত পূরণ জনগণের লক্ষ্য আমাদের লক্ষ্য । এই লক্ষ্য অর্জন পূরণ ও প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন দীর্ঘস্থায়ী লড়াই যা এই পরিস্থিতিতে এক এবং একমাত্র অনিবার্য সত্য।
প্রিয় বন্ধু আসুন এই তীব্র লড়াইয়ে আমাদের কলম আমাদের হয়ে কথা বলুক।আমাদের চেতনা এঁকে দিক লড়াইয়ে নতুন অধ্যায়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন