অন্যমনে সাহিত্য. অন্য রকম দৃষ্টিকোন থেকে দেখা একটি প্রতিবিম্ব ভাবনা .. অন্যমনে সাহিত্য.

শনিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০

দ্য নিউ নর্মাল নেশন







সম্পূর্ণা

===============

একদিন বছর উনিশের একটি ছেলে সকালে হঠাৎ ঘুম ভাঙার পর সামনের আয়নায় দেখল তার চামড়া গেছে কুঁচকে, দৃষ্টিশক্তি ভীষণ কমে চোখে চেপে বসেছে হাইপাওয়ার চশমা! এমনকি যে কাঁধটা ছোট থেকে দশ বিশ কিলো ওজনের বই ভরতি ব্যাগ বয়েছে না ঝুঁকে, সেই কাঁধও বহু চেষ্টার পর আজ আর নুয়ে থাকা থেকে সোজা হচ্ছেনা!

সুমনের কথা বলছি মানে আমাদের সুমন। এখনও চিনতে পারছেন না! চারিদিকে তাকিয়ে দেখুন এমন অসংখ্য সুমনকে দেখতে পাবেন। সুমন কোনোদিন প্রথম ছাড়া দ্বিতীয় হয়নি। প্রত্যেক বার সব্বাইকে টপকে গিয়েছে অনায়াসে। কিন্তু একটা জিনিস কিছুতেই বুঝতে পারেনি নব্বই শতাংশের অনেক বেশি পাওয়ার পরও যখন আত্মীয় ,অনাত্মীয় বা প্রতিবেশী বলেছে "আরও ভালো করতে হবে কিন্তু। তোমার দিকে আমরা সবাই চেয়ে আছি! " মানে আর কতটা উঠলে যে "ভালো"র সংজ্ঞাটা সহজ হতে পারে জানতে পারেনি বা জানার চেষ্টাই করেনি। কিন্তু দেখেছে ওর চেয়েও বেশি নম্বর পাওয়া সিনিয়রকে বেরোজগেরে হয়ে বসে থাকতে। কাউকে দেখেছে হাতের শিরা কেটে নিজের ঘরে পড়ে থাকতে! তবুও চেষ্টা করে গেছে কিভাবে সবাইকে টপকে নম্বর পাওয়া যায় ! পড়াশোনা মানে শুধু নম্বর আর কয়েকগুচ্ছ ডিগ্রী তার সাথে জ্ঞান অর্জনের কোনো মিল নেই! পড়াশোনা ছাড়া আর কিসে তোমার দক্ষতা, প্রতিভা আছে তা আর যাইহোক সাফল্য বলা চলেনা, গ্রহনযোগ্যও নয় ।আর শিক্ষা, চাকরি বা নতুন ভবিষ্যত দেয়ার দায় বহন করেনা।শিক্ষার এটুকুই সরল ব্যাখ্যা। এর বেশি চাওয়া বা পাওয়া কিছুই থাকতে পারেনা।তাই বরাবর ঘোড়দৌড়ের ওই "ভালো"র ফিনিশিং লাইনটা থেকেই "আরও ভালো"র আরেকটা দৌড় শুরু করেছে। কোনোদিন অবসাদগ্রস্ত হয়নি।

অন্যদিকে বস্তির বছর বারোর গণেশ সে কখনও শূন্যের আগে সংখ্যা বসতে দেখেনি। অঙ্ক খাতায় দুইয়ের সাথে দুই যোগ করলে কি সুন্দর চার হয়ে যায়। কিন্তু ওর জীবনের চারপাশে শুধু রয়েছে শূন্য বা বিয়োগের ধারবাকি। আজ স্কুলে গিয়ে হঠাৎই দেখছে বইয়ে সাজানো কালো কালো অক্ষরগুলো ওই শূন্যের মতো ক্রমশ হয়ে উঠছে গোল গোল রুটির মতো! ভাতের গন্ধ ক্লাস রুম জুড়ে! রুটি আর ভাত বারবার চাইছে গোগ্রাসে গিলতে কিন্তু কিছুতেই ধরতে ছুঁতে পারছেনা।পুরো ক্লাস রুমটা আস্তে আস্তে ওর ওই ছাদ ভাঙা বাড়ির মতো হয়ে যাচ্ছে। বাড়িতে খিদের চোটে দুগাল বেয়ে নেমে আসা জলে বইয়ের শব্দগুলো ঝাপসা হয়ে যায়,তখন একটুও ইচ্ছে করেনা পড়তে।আর এখন ছাদ ভাঙা বৃষ্টিতে আস্তে আস্তে মুছে যাচ্ছে কালো বোর্ডের ওপর করা অঙ্কগুলো!

এই দুজনই খেয়াল করছে চারপাশের দেয়ালগুলো আশ্চর্যজনক এক কান হয়ে উঠেছে। নিজেদের ভেতর অদ্ভুত এক মাইকিং চলছে, "বিগ বস" বলে একজন তিনি জানাচ্ছেন এমন অবস্থা বা দুরবস্থা থেকে একমাত্র উদ্ধার করতে পারেন শুধুমাত্র তিনি ও তার অনুগত প্রতিনিধি দল।ফিসফিসে কথা এমনকি মন যা সোচ্চারে ভাবছে অথচ বলতে পারছেনা ,তা শুধুমাত্র তিনিই শুনতে পান!হঠাৎ চোখ তুলতেই সামনেই একদল মানুষ, কিন্তু আদপে তারা মানুষের মতো নন! ওরা হিউম্যান ডেভলপার এবং এসেছেন এই দুজনকে একটা সুন্দর দেশে নিয়ে যেতে! যেখানে বহু বছর ধরে প্রচুর উন্নতি হয়েছে অথচ সপ্তাহের পর সপ্তাহে কোনো পরিবর্তন, বদল ঘটেনি। সেই উন্নত ও স্বাধীন দেশ তৈরি হয়েছে শুধুমাত্র বিগ বসের সুতীক্ষ্ণ বুদ্ধি ও চোখা বুলি! শর্ত একটাই, যে যুগ বা দেশ তারা দেখতে যাচ্ছে সেখানে প্রশ্ন করা নিষিদ্ধ কিন্তু স্বাধীনতা প্রচুর। সে যুগ এমন সব জিনিস তৈরি করেছে, যেখানে মানুষের দরকার নেই, কিন্তু তারপরেও তারা শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় জিনিসের জন্যই তৈরি হবে।আসলে "কাল্পনিক চাহিদা" বলে কিছু হয়না। সবটাই "বাস্তব চাহিদা" ।তাই সেখানে জিজ্ঞাসাসূচক ও বিস্ময়বোধক যেকোনো যতিচিহ্ন বা বোধ মুছে দেয়া হয়েছে।

যেতে যেতেই দেখেছে তারা ,রাস্তার পাশে মরে পড়ে আছে খেলার মাঠ , নদী পুকুর,হাওয়া-বাতাস এমনকি অমলকান্তি বলে যে ছেলেটি রোদ আনতে গেছিল তার ফিরে আসার আকাশও বন্ধ করা হয়েছে । কিন্তু শর্তে আছে প্রশ্ন করা নিষিদ্ধ, তাই অবাক হয়ে সুমন ও গণেশ দুজনে দুজনকে দেখছে কিন্তু একটি শব্দও করছেনা। আর সাথে থাকা হিউম্যান ডেভেলপাররা কিভাবে যেন না বলা প্রশ্নও বুঝে যাচ্ছে তারা ভাবার আগেই,তাই প্রত্যেকটি দৃশ্যকে বোঝাতে বোঝাতে চলেছে। তারা অমলকান্তির না ফেরার কারণ হিসেবে জানাচ্ছেন যে, ওর আনা আলোয় দু চোখ খোলা ,ঠোঁট কাটা, নিজের কথা নিজে বলা এবং ব্যতিক্রমী মানুষ জন্মাবে, কিন্তু সে যুগের দরকার বিভিন্ন পার্টসে চালিত অমেরুদণ্ডী, যদিও তাদের মানুষই বলা হবে। আগের রিসার্চ বলছে, যারা রোজ হারে, অসফলতার মুখোমুখি হয়, হাজার খানেক প্রত্যাখ্যান সহ্য করে, তারাই অবশেষে মেরুদন্ডী হয়ে ওঠে। তাই ওই নিউ নর্মাল নেশনে ছোট ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে সবাই শুধুমাত্র শিখবে জিততে, অপ্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠতে। হারা বা ব্যর্থতা এখানে চরম ভাবে নিষিদ্ধ।

সার সার গাছ মেরে ফেলা হয়েছে যদি সেগু‌লো বই হয়ে ওঠে এবং নতুন প্রজন্মকে স্বপ্ন দেখতে শেখায়! কারণ স্বপ্ন দেখা মানেই তার পেছনে ছোটা। তাই সেই ছোটাও নিষিদ্ধ তালিকায়। তারও কারণ হল, আগের সমস্ত যুগ ঘেঁটে বিজ্ঞানীরা দেখেছেন মানুষ তৈরির থেকে যান্ত্রিক মানুষ তৈরি করা বেশি প্রয়োজন। কারণ একটা যন্ত্রই পারে ভাবার আগে কাজ সেরে ফেলতে। যেখানে লাইটের গতি ৩*১০^৮ মিটার পার সেকেন্ড ইন ভ্যাক্যুম, তার চেয়েও কম সময়ে সামনের মানুষটির ফাঁকা অন্ধকার মগজ ঘেঁটে আর ভেবে তিনি যে কথাটা বলতে যাচ্ছেন তার আগেই পাল্টা উত্তর তৈরি করে ফেলতে পারছে যান্ত্রিক মানুষ। এর ফলে তর্ক বিতর্ক, মতভেদ, ভিন্ন দৃষ্টি বা বিরোধী পক্ষ তৈরি হয়নি। শান্তির এক নতুন পৃথিবী জন্মেছে।

উঁচু মল, সাজানো রাস্তা, আধুনিক পোষাক ছেয়ে গেছে! কম্পিউটার মানুষের চেয়ে বেশি বিশ্বস্ত! বেশি কাজের! স্কুল কলেজ বন্ধ। কারণ আগের যুগের বেঠিক পড়াশোনা সাহস, স্পর্ধা, আর ব্যতিক্রমী চিন্তার জন্ম দিয়েছিল । সবাই "গাহি সাম্যের গান" গাইলে বিগ বসের দেশে আবারও মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আঙুল তোলার মতো বোকামি করবে। উচ্চস্বরে করা প্রশ্ন থেকে আবারও অশান্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হবে এবং শান্তি বিঘ্নিত হবে।

সেখানে রয়েছে উন্নয়নের মাধ্যমে যারা বিপ্লবে যুক্ত, তারা শুধু ওই বিগ বসের হয়ে চিৎকার করে। প্রত্যেকের গলার বেল্ট প্রভুর হাতে ধরা! বাবা-মাদের জিভ কেটে হাত পা বেঁধে দেয়া হয়েছে। কারণ মনস্তাত্ত্বিক ল্যাবরেটরি বলেছে ,অনেক শতাব্দী আগে পড়াশোনার চাপ থেকে অবসাদ জন্ম নিত, প্রতি পঞ্চান্ন মিনিটে একটি করে অবসাদগ্রস্ত পড়ুয়া আত্মহত্যা করত। তাদের এমন মৃত্যুর জন্য শিক্ষা,পাঠক্রম সর্বোপরি শিক্ষা ব্যবস্থা কেউই দায়ী নয়। দায়ী একমাত্র বাবা - মা। অনেক ক্ষেত্রে তাদের ফাঁসিও বরাদ্দ হয়েছে। দেশীয় গবেষণাগারে ছোট থেকে বড় গিনিপিগের মতো দেখতে পড়ুয়াদের সহজ সরল মগজ বিশ্লেষণ করে পেরেক আর হাতুড়ির বারিতে ঠুকে ঠুসে দেয়া হয়েছে, তোমাদের ইঁদুর দৌড়ে সামিল করেছে এক ও একমাত্র বাবা -মা। একমাত্র এ অবস্থা থেকে বাঁচাতে পেরেছে বিগ বস। তিনি এমন এক প্রোডাকশন সিস্টেম আবিষ্কার করেছেন যেখানে বেশিমূল্যের মেশিনে ছাত্রছাত্রী, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার থেকে কেরানি, এ্যাকাউন্টট্যান্ট বানিয়ে বাজারে কমমূল্যে ছাড়া হয়।


"ছেলে ঘুমালো পাড়া জুড়ালো বর্গী এল দেশে,

বুলবুলিতে ধান খেয়েছে খাজনা দেব কিসে?....."


মা ঘুম পাড়াতে গিয়ে গণেশকে ছোটবেলায় এই ছড়াটা শোনাত। খুব জানতে ইচ্ছে করত ওই বর্গী কে? খাজনা কাকে দেবে? কিন্তু প্রতিবারই জিজ্ঞেস করার আগেই ঘুমটা এসে যেত! হঠাৎ আজ এই ছড়াটা মনে পড়ল কেন? ওর মনের কথা নিমেষে ধরে ফেলেই একজন হিউম্যান ডেভলপার বলল, এ দেশে যেকোনো কারখানাই বন্ধ করা হয়েছে। রোজের চাহিদার যোগান কারখানা দেবেনা। এক মাঠ ধান ফলানোও নিষিদ্ধ। কারণ সঠিক দাম না পেলে একজন শ্রমিক বা কৃষক ন্যায্য মূল্যের দাবী করবে,শান্তি বিঘ্নিত হবে অথচ কোষাগার ভরবেনা। এটা দেশের ক্ষতি।


একজন কৃষক বা শ্রমিকের ছেলে পড়াশোনা শিখে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাইবে। এর ফলে খিদে নামক অপ্র‌য়োজনীয় জিনিসটা রয়েই যাবে। বিগ বসের যান্ত্রিক মানুষদের নিজে থেকে খিদে পায়না। বিগ বস যখন যেমন চান তাদের খাবারও সেভাবেই মেলে। তারা একদল স্লেভ দেখতে বিগ বসের মতন, তাদের হাত চলেনা, পা চলেনা, মস্তিস্কহীন, শুধু মুখ ডুবিয়ে খেতে পারে। তাও খেতে হচ্ছে এ ওর মুখ থেকে সাপ ব্যাঙে চুমু খেয়ে!!


একটা অফিস রয়েছে পাশে।কাজের জায়গার থেকে ভিড় সেখানে বেশি। সেখানে বেশ কয়েকটা মাথা আর হাত, তাও আবার সবসময়ই হাত পাতা! উপুড় হয়না। কাজ করেনা। বিগ বসের বিরুদ্ধে তারা কখনও কোনো ষড়যন্ত্র করেনি। কারণ যন্ত্রাংশের সূক্ষ্মাগ্র জুড়ে চোখ, মন, কান, মস্তিস্কে বসে থাকা একামদ্বেতীয়ম বিগ বস এতটুকু বিরুদ্ধতার আঁচ পেলেই যন্ত্র মানবটি এক মুহূর্তে লুপ্ত হবে। তাই মেরুদন্ড, গলা, পা, মানে পুরো শরীর নেই কারুরই! তারা শুধু উঁচু দরের কথা বলছে নিজেদের নিয়ে। একটু আগেই খুব বন্ধু অথচ লেগপুলিংয়ে এ ওকে কি সুন্দর টেনে নামিয়ে ইশারা করছে ঠাট্টা ইয়ার্কির। সবটাই করা হচ্ছে শান্তির পুনর্জন্মের জন্য।


বাইরের চাপরাশি বা কোনো সাধারণ মানুষ তাদের অসুবিধার কথা যখনই অফিসঘরে এসে বলছেন, তখন আগে জানা হচ্ছে ওই "ওয়ান নেশনের" কোথায় তারা বাস করেন? এ প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখা ভালো বিগ বস এবং তার প্রতিনিধি দলই শুধু পারে সে দেশে প্রশ্ন করতে।বেশিরভাগকেই বলা হচ্ছে মানচিত্র এক হলেও তারা নির্দিষ্ট করে দেয়া সীমারেখার বাইরে পা দিলেই বহিরাগত।সম্প্রীতির সুরে সমবেত ভাবে শেয়ালের রব উঠছে এবং আশ্বাস সূচক প্রীতি বিনিময়ের পর তারা চলে যেতেই আবার সেই আড় চোখে হাসা ট্রিক! আকাশ যেমন বন্ধ করা হয়েছে। তেমনই পাখিদের মেরে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে ক্যান্টিনের কিচেনে। কাঁটায় ডানা,আর তার পাঁজর কাঁচাই খেয়ে নিচ্ছে আরাম সে। কারণ পাখিই একমাত্র যাদের ওড়ার সীমারেখা থাকেনা,খাঁচায় ভরলেও তা ভেঙে উড়ে যায়।আর পাখি মাত্রেই সীমানা বিশেষে পরিযায়ী। যদি ভিনদেশ থেকে ডানায় ভরসা করে অবাধ সাহস নিয়ে ফেরে তাতেও এই ওয়ান নেশনের শান্তি নষ্ট হবে। চারিদিকে উৎসব অনুষ্ঠান স্তব স্তুতির নতুন বিনোদনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাতে আবারও কি আছে, কি নেই এসব ভাবারও সময় না পায় কেউ। কারণ আবারও সেই শান্তি, আসলে বেশি ভাবলে বেশি বুঝলে দেশের শান্তি ভঙ্গ হয়।


সুমন, গণেশ দুজনেই আর অবাক হচ্ছেনা । কোনো দ্বিধা দ্বন্দ্ব প্রশ্ন মনে আসছেনা। আসতে আসতে সুমন আর গণেশ দুজনেই বুঝেছে এমন স্বাধীনতা, এতো আনন্দ উল্লাস আগের জীবনে কোথাও ছিলনা। গণেশও ভীষণ খুশি আর খিদে তাকে কাঁদাবে না।

এ এক সত্যিই শান্তির নতুন দেশ।

হঠাৎই পাশ থেকে সেই হিউম্যান ডেভলপাররা উধাও। এক ত্রিশোর্ধ্ব তরুণ এগিয়ে এসে বলল, 'আপনারা এখন পুরো তৈরি এই নতুন দেশের জন্য, ওয়েলকাম টু আওয়ার নিউ নর্মাল নেশন।'


ছেলেটির সাথে যেতে গিয়ে দেখল একগাল দাড়ি, উস্কোখুস্ক চুল ধুতি পরা একটা মানুষ দূরে দাঁড়িয়ে ডেমোক্রেটিক বিগ বসের ওড়া পতাকাটা দেখছে। পাশের তরুণটি বলল, ওর নাম উদয়ন পন্ডিত। পেশায় শিক্ষক। বহু চেষ্টা করেও বিগ বস ওকে লুুপ্ত করতে পারেনি। শান্তির এই নতুন দেশে ওই লোকটা ছাড়া বিপদ বা অশান্তির কোনো ভয় নেই।



1 টি মন্তব্য:

  1. প্রিয় লেখিকা, প্রিয় শব্দসৈনিক , অন্যমনে সাহিত্য সময়ের ইতিবৃত্ত সংখ্যায় আপনাকে পেয়ে গর্বিত ও আশান্বিত । আমরা আপনাকে শুভকামনা ও শুভেচ্ছা জানাই।

    উত্তরমুছুন