চিত্তরঞ্জন গিরি
=================
সেই যে কবে থেকে পলাশ বকুলের আত্মচরিত কথার আলোচনা ,মাটিতে তা কান পাতলে শোনা যায়।
ছায়া ছায়া নিঘু নিঘু উতল হাওয়া জ্যোৎস্নায় বেঁধে নেয় গোপন চাওয়া।
তোমার আমার এই পাশাপাশি মুখোমুখি যতই রসের উৎস্রোত ,চাপাচাপির খেলায় মেঘ মেঘে আড়াল করি না কেন ,বাড়ির উঠানে চাঁপা গাছটি সুগন্ধি ছড়িয়ে সকলকে জানিয়ে দেয় ,আমাদের আত্মাহুতির ভ্রুনো মূলের কথা ।
কথাতো কথার মতোই ব্যাকুল হয়। ধূপ, তার গন্ধ চরাচর কে জাগায়। সে তো ধ্যানির নীরবতা। সে কি সত্যের বধিরতা না আলোর উৎকর্ষতা।
শরতের কাশফুলই জানে ভাগাড় থেকে রং তুলে নিয়ে চন্দ্রমল্লিকা সাজাতে।
দুচোখে শ্রাবন রেখা চিরকালই ব্যস্ত থাকে আয়ুষ ক্ষেতে উষ্ণতা মাখাতে।
সূর্যের তেজ থেকে আদিম প্রক্রিয়ায় যে ধারা আজও বয়ে যায়
অনাদিকাল থেকে গঙ্গোত্রী অমৃত সুধা পললে পললে জীর্ণ কুটিরের দীর্ঘশ্বাসে আজও বাড়ির উঠান সাজায়।
তারায় তারায় চুঁইয়ে পড়া আলো ছুঁতে যাওয়া যে গাছগুলো এখনো অঙ্গীকারে দাঁড়িয়ে । তারাও একটার পর একটা পাতা ফেলে মাটিকে চুম্বন করে গেছে আজ অবধি।
তারা শুধু কি সোনালী আলোর উৎকর্ষতা বাড়ানোর জন্য ?
মাটি আসুক মাটির কাছে কাছাকাছি।
কিশলয়ের জয়ধ্বনি নিয়ে আগামী পৃথিবী দুর্গম পৃথিবী তোমারি অনুপ্রেরণায় শীতলতার প্রাঙ্গণ খোঁজে দৃষ্টির উজাড় করা সঙ্গম এঁকে।
হিয়ার উর্বরতায় পললে পললে জেগে উঠুক শত সহস্র প্রদীপ নিয়ে শস্যের মেঘমালা।
হাতে হাত রেখে উষ্ণতা ছড়াই অনন্ত পদচারণায় প্রেমের লাবণ্য মেখে।
প্রিয় কবি, প্রিয় শব্দসৈনিক , অন্যমনে সাহিত্য সময়ের ইতিবৃত্ত সংখ্যায় আপনাকে পেয়ে গর্বিত ও আশান্বিত । আমরা আপনাকে শুভকামনা ও শুভেচ্ছা জানাই।
উত্তরমুছুন