আজ বিভাসের বিয়ে । বিভাস অনন্যার স্কুল ও কলেজজীবনের বান্ধবী সীমার দাদা । দুই বান্ধবীর বাড়ি ভিন্ন ভিন্ন গ্রামে হলেও একে ওপরের বাড়িতে যাতায়াত ছিল । সেই সূত্রে সীমার বাবা মা যেমন অনন্যাকে চেনে , তেমনই অনন্যার বাবা মাও সীমাকে ভালোভাবে চেনে ।
সীমা আর অনন্য স্কুলে পড়ার সময় সীমার দাদা বিভাস কলেজে পড়ত, তখন অনন্যা বিভাসকে দেখে থাকলেও তাদের মধ্যে সরাসরি কথাবার্তা হয়নি । সীমা আর অনন্যা কলেজে পড়ার সময়েই সীমার এক জন্মদিনে অনন্যার সাথে বিভাস এর আলাপ পরিচয় হয় তখন বিভাস পাশের গ্রামের একটা মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষকতার চাকরি পেয়ে গেছে ।
অনন্যার সাথে বিভাস এর আলাপ হওয়ার পরেই একে অপরকে পছন্দ করতে শুরু করেছিল কিন্তু কেউই সেটা প্রকাশ করেনি । মাস কয়েক পরে এক অনুষ্ঠানে হটাৎ দুজনের দেখা হয়ে যায় এবং একে অপরকে তাদের মনের কথা বলে ফেলে । এর পরে মাঝে মধ্যেই সীমার অজান্তে অনন্যার সাথে বিভাস দেখা সাক্ষাৎ করতে থাকে এবং এর ফলে দুজনেই একে অপরকে জীবনসাথী করে নেওয়ার কথা ভাবতে থাকে ।
ওদের দুজনের মেলামেশার কথাটা অবশ্য সীমার কাছে গোপন থাকেনি । অনন্যা যে বিভাসকে ভালোবাসে এই কথাটা গোপন করায় সীমার মনে অভিমান হলেও সে তাদের মেলামেশায় আপত্তিও করেনি । সীমার কাছ থেকেই অনন্যা একদিন জানতে পারল তাদের পরিবার নাকি বিভাস এর বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে ।
সীমার বাবা মা বেশ কয়েকটি পাত্রী দেখেও ফেলেছে । একথা শুনে অনন্যার মনে গভীর অভিমান জেগে উঠল - এতদিন ধরে তার সাথে মেলামেশা করার পরেও বিভাস কিভাবে অন্য একটি মেয়েকে বিয়ে করতে পারে । অভিমানে সে বিভাস এর সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিল । আরো কয়েকদিন পরে সীমা খবর দিল বিভাস এর বিয়ের কথাবার্তা পাকা হয়ে গেছে ।
দু সপ্তাহ পরে ম্যারেজ রেজিস্টারের অফিসে পাত্র পাত্রীর বিয়ের রেজিস্ট্রেশন হবে , তারপরে একটি রেস্টুরেন্টে উপস্থিত সকলে খাওয়াদাওয়া করবে । দিন দশেক পরে সীমা অনন্যাদের বাড়ি এসে বিভাস এর রেজিস্ট্রেশন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য অনন্যাকে আমন্ত্রন জানাল । অভিমানী অনন্যা সেকথার কোন জবাব না দিয়ে নিজের ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিল । এরপরে সীমা অনন্যার মায়ের সাথে একান্তে কিছু আলোচনা করে নিজের বাড়ি ফিরে গেল ।
আজ সেই রেজিস্ট্রেশনের দিন । অনন্যা সকাল থেকে বিষন্ন মনে নিজের ঘরে বসে আছে । দুপুর বারোটায় রেজিস্ট্রেশন হবে । অনন্যার বাবা মা তাকে দশটার মধ্যে তৈরি হয়ে নিতে বলল , তারাও নাকি রেজিস্টারের অফিসে উপস্থিত থাকবে । অনন্যা বিভাস এর বিয়ের রেজিস্ট্রেশনে উপস্থিত থাকতে রাজি নয় বলে জানাল । কিন্তু বাবা মার জোরাজুরিতে অনন্যা একটি সাধারন শাড়ি পরে তাদের সঙ্গে গেল ।
রেজিস্টারের অফিসে বিভাস এর বাড়ির লোকজন ছাড়াও তার কয়েকজন বন্ধুকেও দেখা গেল , কিন্তু পাত্রী পক্ষের কাউকে দেখা গেল না । এদিকে বারোটা বাজতেই রেজিষ্টার তার কাজ শুরু করে দিলেন । তিনি কয়েকটি ফর্মে ও খাতায় পাত্র হিসাবে বিভাস কে সই করতে বলল । বিভাস এর সই হয়ে যাওয়ার পরে পাত্রী হিসাবে সই করার জন্য অনন্যাকে ডাকা হলে সে আশ্চর্য হয়ে গেল ।
আসলে বিভাস এর বাবা মা অনন্যার সাথেই তাদের ছেলের বিয়ে ঠিক করেছিল । এর পিছনে অবশ্য সীমার হাত ছিল । সেই তার বাবামাকে বুঝিয়েছিল যে বিভাস আর অনন্যা পরস্পরকে ভালোবাসে । তারই ইচ্ছায় বিভাস এর বাবা মা অনন্যার বাবা মায়ের সাথে যোগাযোগ করে বিয়ের কথা পাকা করেছিল । সীমার ইচ্ছা অনুসারে অনন্যার বাবা মা বিভাস এর সাথে বিয়ের ব্যাপারটা অনন্যার কাছে গোপন করে রেখেছিল ।
সমস্ত কথা জানার পরে অনন্যা হাসিমুখেই রেজিস্টারের খাতায় আর ফর্মে সই করে দিল ।

সীমা আর অনন্য স্কুলে পড়ার সময় সীমার দাদা বিভাস কলেজে পড়ত, তখন অনন্যা বিভাসকে দেখে থাকলেও তাদের মধ্যে সরাসরি কথাবার্তা হয়নি । সীমা আর অনন্যা কলেজে পড়ার সময়েই সীমার এক জন্মদিনে অনন্যার সাথে বিভাস এর আলাপ পরিচয় হয় তখন বিভাস পাশের গ্রামের একটা মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষকতার চাকরি পেয়ে গেছে ।
অনন্যার সাথে বিভাস এর আলাপ হওয়ার পরেই একে অপরকে পছন্দ করতে শুরু করেছিল কিন্তু কেউই সেটা প্রকাশ করেনি । মাস কয়েক পরে এক অনুষ্ঠানে হটাৎ দুজনের দেখা হয়ে যায় এবং একে অপরকে তাদের মনের কথা বলে ফেলে । এর পরে মাঝে মধ্যেই সীমার অজান্তে অনন্যার সাথে বিভাস দেখা সাক্ষাৎ করতে থাকে এবং এর ফলে দুজনেই একে অপরকে জীবনসাথী করে নেওয়ার কথা ভাবতে থাকে ।
ওদের দুজনের মেলামেশার কথাটা অবশ্য সীমার কাছে গোপন থাকেনি । অনন্যা যে বিভাসকে ভালোবাসে এই কথাটা গোপন করায় সীমার মনে অভিমান হলেও সে তাদের মেলামেশায় আপত্তিও করেনি । সীমার কাছ থেকেই অনন্যা একদিন জানতে পারল তাদের পরিবার নাকি বিভাস এর বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে ।
সীমার বাবা মা বেশ কয়েকটি পাত্রী দেখেও ফেলেছে । একথা শুনে অনন্যার মনে গভীর অভিমান জেগে উঠল - এতদিন ধরে তার সাথে মেলামেশা করার পরেও বিভাস কিভাবে অন্য একটি মেয়েকে বিয়ে করতে পারে । অভিমানে সে বিভাস এর সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিল । আরো কয়েকদিন পরে সীমা খবর দিল বিভাস এর বিয়ের কথাবার্তা পাকা হয়ে গেছে ।
দু সপ্তাহ পরে ম্যারেজ রেজিস্টারের অফিসে পাত্র পাত্রীর বিয়ের রেজিস্ট্রেশন হবে , তারপরে একটি রেস্টুরেন্টে উপস্থিত সকলে খাওয়াদাওয়া করবে । দিন দশেক পরে সীমা অনন্যাদের বাড়ি এসে বিভাস এর রেজিস্ট্রেশন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য অনন্যাকে আমন্ত্রন জানাল । অভিমানী অনন্যা সেকথার কোন জবাব না দিয়ে নিজের ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিল । এরপরে সীমা অনন্যার মায়ের সাথে একান্তে কিছু আলোচনা করে নিজের বাড়ি ফিরে গেল ।
আজ সেই রেজিস্ট্রেশনের দিন । অনন্যা সকাল থেকে বিষন্ন মনে নিজের ঘরে বসে আছে । দুপুর বারোটায় রেজিস্ট্রেশন হবে । অনন্যার বাবা মা তাকে দশটার মধ্যে তৈরি হয়ে নিতে বলল , তারাও নাকি রেজিস্টারের অফিসে উপস্থিত থাকবে । অনন্যা বিভাস এর বিয়ের রেজিস্ট্রেশনে উপস্থিত থাকতে রাজি নয় বলে জানাল । কিন্তু বাবা মার জোরাজুরিতে অনন্যা একটি সাধারন শাড়ি পরে তাদের সঙ্গে গেল ।
রেজিস্টারের অফিসে বিভাস এর বাড়ির লোকজন ছাড়াও তার কয়েকজন বন্ধুকেও দেখা গেল , কিন্তু পাত্রী পক্ষের কাউকে দেখা গেল না । এদিকে বারোটা বাজতেই রেজিষ্টার তার কাজ শুরু করে দিলেন । তিনি কয়েকটি ফর্মে ও খাতায় পাত্র হিসাবে বিভাস কে সই করতে বলল । বিভাস এর সই হয়ে যাওয়ার পরে পাত্রী হিসাবে সই করার জন্য অনন্যাকে ডাকা হলে সে আশ্চর্য হয়ে গেল ।
আসলে বিভাস এর বাবা মা অনন্যার সাথেই তাদের ছেলের বিয়ে ঠিক করেছিল । এর পিছনে অবশ্য সীমার হাত ছিল । সেই তার বাবামাকে বুঝিয়েছিল যে বিভাস আর অনন্যা পরস্পরকে ভালোবাসে । তারই ইচ্ছায় বিভাস এর বাবা মা অনন্যার বাবা মায়ের সাথে যোগাযোগ করে বিয়ের কথা পাকা করেছিল । সীমার ইচ্ছা অনুসারে অনন্যার বাবা মা বিভাস এর সাথে বিয়ের ব্যাপারটা অনন্যার কাছে গোপন করে রেখেছিল ।
সমস্ত কথা জানার পরে অনন্যা হাসিমুখেই রেজিস্টারের খাতায় আর ফর্মে সই করে দিল ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন