সম্পাদকীয়.....
=======================
ঋতুরাজ বসন্তের আগমন যেন ভালোবাসার আগাম বার্তা নিয়ে বাঙালি মনকেও নাড়া দিয়ে যায় ফুলে রাঙা আর বাসন্তী মোহে আবিষ্ট এই সময় বাঙালিদের মনের উচ্ছ্বাসকেও যেন বাড়িয়ে দেয় কয়েকগুণ। ফাল্গুনের শুরুতেই কচি পাতার সবুজ রঙ আর গাছে গাছে পাখিদের কিচিরমিচির শব্দ যেন বলে দিয়ে যায় এ যে ভালোবাসার, কাছে ডাকার দিন দ্বারে সমাগত। সত্যিকার অর্থে কখন, কীভাবে, কোন মুহূর্তে ভালোবাসা মানুষকে ছুঁয়ে যায়, তা হয়তো মানুষ নিজেও পুরোপুরি বুঝে উঠতে পারে না। কোনো বাধা বা শাসনে তাই এই অনুভূতি আটকে থাকে না। এক চিরন্তন, শাশ্বত সুন্দরের নামই তাই ভালোবাসা।
ভালোবাসা এমন এক তীব্র অনুভতি যা দুটি হৃদয়কে এক সুতোয় বেঁধে ফেলে। রূপ, রস, গন্ধবিহীন এই আবেগকে সঙ্গে নিয়ে মানুষ একসঙ্গে পথচলার শপথগ্রহণ করে। এ এমন এক আবেগের নাম, যার কারণে মানুষ ছুটে যায় অসমুদ্র হিমাচল পর্যন্ত অথবা পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে।
ভালবাসা হচ্ছে এক নির্ভরতা। মন দিয়ে মনকে ছুঁয়ে দেয়ার নামই ভালবাসা। জীবনে কাউকে ভালবাসার নামই সমর্পণ, কিন্তু সেখানে কোন গ্লানি নেই। প্রকৃত প্রেমের সমর্পণে মানুষ হৃদয়ের বৃহৎকেই উপলব্ধি করতে পারে।
ভালোবাসা এমন এক আবেগ, যেটি আমাদের নতুনভাবে ভাবতে শেখায়, স্বপ্ন দেখতে শেখায়, ত্যাগ-তিতিক্ষা-ধৈর্য শেখায়। ভালবাসা মানে শ্রদ্ধা, সমর্পণও। ভালবাসা মানে আত্মসুদ্ধিও।
প্যান্ডেমিক পরবর্তী পৃথিবী যখন নতুন নতুন প্যান্ডেমিক তৈরি করার জায়গা করে দিচ্ছে, সেই কঠিন সময় একমাত্র মানুষই পারে ভালোবাসার কথা বলতে। ভালবাসার তাগিদে, ঘরে ফেরার তাগিদেই মানুষ হেঁটেছে কিলোমিটারের পর কিলোমিটার। মানুষই পারে গান বাঁধতে, কবিতা লিখতে। এমনকি গল্পও। তাই গল্পের অক্ষরে অক্ষরে মানুষ খুঁজতে থাকে বেঁচে থাকার রশদ, ঘুরে দাঁড়ানোর সাহস।এই ভালোবাসাই পারে বন্ধুকের নলে গুঁজে দিতে ভালোবাসার লাল গোলাপ।মিশাইলের মনে গেঁথে দিতে শ্বেত পতাকা। রাজনৈতিক সীমানা মুছে দিয়ে হাতে হাত ধরে গাইতে পারে বিশ্বমানবতার গান।
শুভ্র, সুন্দর আর শ্বাশত ভালবাসা যুগে যুগে বেঁচে থাকুন মানুষের মাঝে। ভালোবাসার রঙে রাঙা হোক পৃথিবী। এই ভালোবাসা বছর জুড়ে থাকুক, জীবনজুড়ে থাকুক। ভালোবাসার শক্তিতে জয় হোক সব শুভ চেতনার।
খুব সুন্দর সম্পাদকীয়, মন ভরে গেল।
উত্তরমুছুন