অন্যমনে সাহিত্য. অন্য রকম দৃষ্টিকোন থেকে দেখা একটি প্রতিবিম্ব ভাবনা .. অন্যমনে সাহিত্য.

শনিবার, ১২ মার্চ, ২০২২

ভালোবাসায় বিধান চন্দ্র

 

 


প্রেম - ১
==================
বিধান চন্দ্র নস্কর
==================



যদি ভৎসনা করো

আমি তোমাকে চুম্বন দেব।

যদি আলিঙ্গন করো

সূর্যকে প্রদক্ষিণ করাব তোমার চারদিকে।

সেই অবসরে এক পার্থিব আকুতি ;বন্ধন

ছিঁড়বে অলৌকিক আবেগে।

ধৃষ্টতা মেপে, প্রলম্বিত বাসনার

আপাত অন্তিমে প্রস্তুতি থাকবে

তোমার আগমন প্রত্যাশের –

রকমারী সৌমিক জিজ্ঞাসায়।

যদি আমি পারতাম

একটা কবিতা অন্তত

লিখতে , তোমার জন্য!

ভাবনা ঘনিয়েছে বারবার,

লৌকিক বাসনার স্থির সমারোহে-

তা - সমাধি নিরন্তর।

আর কি কি করতে পারা যায়

তার ক্রমান্বয় সারণি ঘিরে

শুধুই প্রত্যাঘাত চিহ্নের সমারোহ।

আমি অধিকার চাইনি,

ভালোবাসা!

দৃড় প্রত্যয়ে বলতে বাধ্য হয়েছি

যা- হয়েছে ,বেশ হয়েছে।

যা-হবে তাকে নিয়ে একটু

ভাবনার —

জানি প্রত্যাশা কখনো মিথ্যে

হয় না।

বাতাস প্রবাহে যেমন বোঝা যায়

সহমর্মিতায় তার রসাস্বাদন।

এ-এক প্রললিত সংগা।

বোধদয় এখন নবিশ।

টুকরো শান্তি দূরে কোথাও ঘাটি গেড়ে–

মন নিগড়ে কথা কয়।

একবার ক্লান্ত করো আমাকে

সস্তি দেবার আগে,

সাস্তি দাও আমার!

দাওনা সর্বসময়ের করিডর

বাসাবাঁধি ,একা!

যদি কোনদিন ––

 



প্রেম ২
==================


আমি ভালো থাকব বলে

তোমার জন্য হতাশা ধরেছি।

রেখেছি অন্তরালে, মনস্তাপে ধীরে

অধিকারের কাছি টেনেছি

নড়েনি একটুও

শুধু এক- আধবার পরিচর্যা

করার কথা ভাবলে ও

তা- প্রত্যাঘাতে জীর্ন।

ভেবেছিলাম, অগত্যার গ্রন্থিতে

নতুন করে প্রত্যাশার পরব সাজাব,

অনুভুতির মালা পরিয়ে

ভেজাব নয়ন।

সে - আশায় আমিত্বের পরাজয়!

ক্লান্তিতে জীর্নতা মেপে

অজানিত আত্যপ্রত্যয়ের সারণিতে

দীর্ঘ পরিকল্পনার নৈতিক চিত্র

এক পলকের মিমাংসাধীন।

সর্বপরি নবিশ সার্থ, কিছু একটা করবে

ভেবে রূপকতার সরগম শৈলীতে

উচ্চাঙ্গের রেওয়াজ করার প্রত্যাশে

ধরাশায়ী।

 

 

 

 
 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন