বাঁচবো আবার বাঁচবোই
****************************
মিলি দাস
****************************
রক্তেরা আজ পান্ডুর হয়ে গেছে
আগুন জ্বলে না স্তব্ধ জানালায়
চেতনার রঙে বৃষ্টি ভেজা ঠোঁট
ছাপ পড়েনি আমার আঙিনায়।
চোরাবালিতে সিন্ধুর জল খুঁজেছি
দেখা হল এক শিশির ফোঁটার সাথে
সূর্য্যের গায়ে জ্যোৎস্নামাখা সন্ধ্যা
আশঙ্কাতে হাতটি পড়েনি হাতে
বোমাবাজি আর ধর্ষণ ভুলে গেছি
ফুল ফুটেছে রঙিন পথের ধারে
দিশাহীন এক নেশার আবেশে মানুষ
সঙ্কটে আজ মিথ্যে আবিষ্কারে।
ভুমিষ্ট শিশু গন্ধ মেখেছে দূষণের
নিশ্বাসে আর প্রশ্বাসে লেগে জীবাণু
বন্দিবেশে আক্রান্ত গুনে চলেছি
কিশোর ছেলেটা বাঁধতে ভুলেছে পরমাণু
ঠাকুমার আজ আত্মশুদ্ধি হয়েছে
মঙ্গলময়ী দেব দেবী সব ডাক্তার
মৃত্যুমিছিলে ধর্ম লুকিয়ে পড়েছে
দেশটা যেন শ্মশানে কবরে ছারখার
দিশাহীন হয়ে আটকে অন্ধকূপে
সভ্যতাও বহুদিন বেপরোয়া
বসন্তের সাথে সাক্ষাৎ কালবৈশাখীর
বর্ষাতে এবার তোমায় হয়নি ছোঁয়া।
নীলনদে ডুবে গ্রহ পেরোব গোপনে
পিরামিড হবে সাক্ষ্মী এই জনমের
ভারতবর্ষ অনাহারে পথে নেমেছে
কোথায় দিশা কেউ জানেনা মারণের।
চৈত্রে এবার শিব ও ছিল চুপচাপ
দন্ডিতে বাধ্য করেনি শীতলা মাতা
নীল বাতি সব মায়েরা জ্বেলেছে ঘরে
বন্ধ হয়েছে গণেশের হালখাতা।
আবীর মেখেই গুটিয়ে গেছে মানুষ
নববর্ষেতে পুরোনো বসন গায়ে
বস্তিগুলো প্রথম হেসে বলছে
পুরাতন দিয়েই জীবন কেটে যায়
উৎসবহীন প্রথম বর্ষবরণ
আম্রপল্লবে পড়েনি সিঁদুর ফোঁটা
করমর্দনে স্বাগত জানাতে এলে
নিষেধ মেনে দূরে ক্রমশ ছোটা
মানব সভ্যতা অসুস্থতায় ভুগছে
পৃথিবী জুড়ে বাড়ছে মহামারী
অন্নভাবে ধুকছে দিন দরিদ্র
রেশন লাইনে জনগণ সারিসারি।
সংস্কার ভুলে আঁকড়ে ধরেছি বিজ্ঞান
পৃথিবীটা আজ হয়েছে দূষণ মুক্ত
মৃত্যুপুরীতে জীবনের গান হোক
বেঁচে থাক সব থাকবেনা কেউ অভুক্ত।
বন্ধ হয়েছে তারাপীঠ তিরূপতি
যীশুও আজ ক্রুশ বিঁধে বেশ ক্লান্ত
মসজিদে কোন আজান ধ্বনি নেই
পৃথিবীর সব ঈশ্বর আজ ঘুমন্ত।
গাছে গাছে কত পরিযায়ী সব পাখি
মেরে ফেলেছি আমরা হয়েছি যন্ত্র
অভিশাপ গুলো এতদিন তোলা ছিল
বাঁচবো আবার বাঁচবোই মূল মন্ত্র।
****************************
মিলি দাস
****************************
রক্তেরা আজ পান্ডুর হয়ে গেছে
আগুন জ্বলে না স্তব্ধ জানালায়
চেতনার রঙে বৃষ্টি ভেজা ঠোঁট
ছাপ পড়েনি আমার আঙিনায়।
চোরাবালিতে সিন্ধুর জল খুঁজেছি
দেখা হল এক শিশির ফোঁটার সাথে
সূর্য্যের গায়ে জ্যোৎস্নামাখা সন্ধ্যা
আশঙ্কাতে হাতটি পড়েনি হাতে
বোমাবাজি আর ধর্ষণ ভুলে গেছি
ফুল ফুটেছে রঙিন পথের ধারে
দিশাহীন এক নেশার আবেশে মানুষ
সঙ্কটে আজ মিথ্যে আবিষ্কারে।
ভুমিষ্ট শিশু গন্ধ মেখেছে দূষণের
নিশ্বাসে আর প্রশ্বাসে লেগে জীবাণু
বন্দিবেশে আক্রান্ত গুনে চলেছি
কিশোর ছেলেটা বাঁধতে ভুলেছে পরমাণু
ঠাকুমার আজ আত্মশুদ্ধি হয়েছে
মঙ্গলময়ী দেব দেবী সব ডাক্তার
মৃত্যুমিছিলে ধর্ম লুকিয়ে পড়েছে
দেশটা যেন শ্মশানে কবরে ছারখার
দিশাহীন হয়ে আটকে অন্ধকূপে
সভ্যতাও বহুদিন বেপরোয়া
বসন্তের সাথে সাক্ষাৎ কালবৈশাখীর
বর্ষাতে এবার তোমায় হয়নি ছোঁয়া।
নীলনদে ডুবে গ্রহ পেরোব গোপনে
পিরামিড হবে সাক্ষ্মী এই জনমের
ভারতবর্ষ অনাহারে পথে নেমেছে
কোথায় দিশা কেউ জানেনা মারণের।
চৈত্রে এবার শিব ও ছিল চুপচাপ
দন্ডিতে বাধ্য করেনি শীতলা মাতা
নীল বাতি সব মায়েরা জ্বেলেছে ঘরে
বন্ধ হয়েছে গণেশের হালখাতা।
আবীর মেখেই গুটিয়ে গেছে মানুষ
নববর্ষেতে পুরোনো বসন গায়ে
বস্তিগুলো প্রথম হেসে বলছে
পুরাতন দিয়েই জীবন কেটে যায়
উৎসবহীন প্রথম বর্ষবরণ
আম্রপল্লবে পড়েনি সিঁদুর ফোঁটা
করমর্দনে স্বাগত জানাতে এলে
নিষেধ মেনে দূরে ক্রমশ ছোটা
মানব সভ্যতা অসুস্থতায় ভুগছে
পৃথিবী জুড়ে বাড়ছে মহামারী
অন্নভাবে ধুকছে দিন দরিদ্র
রেশন লাইনে জনগণ সারিসারি।
সংস্কার ভুলে আঁকড়ে ধরেছি বিজ্ঞান
পৃথিবীটা আজ হয়েছে দূষণ মুক্ত
মৃত্যুপুরীতে জীবনের গান হোক
বেঁচে থাক সব থাকবেনা কেউ অভুক্ত।
বন্ধ হয়েছে তারাপীঠ তিরূপতি
যীশুও আজ ক্রুশ বিঁধে বেশ ক্লান্ত
মসজিদে কোন আজান ধ্বনি নেই
পৃথিবীর সব ঈশ্বর আজ ঘুমন্ত।
গাছে গাছে কত পরিযায়ী সব পাখি
মেরে ফেলেছি আমরা হয়েছি যন্ত্র
অভিশাপ গুলো এতদিন তোলা ছিল
বাঁচবো আবার বাঁচবোই মূল মন্ত্র।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন