===============================
একা বুদ্ধ সামলে যাচ্ছে চন্দনের ঘ্রান ===============================
একা বুদ্ধ সামলে যাচ্ছে চন্দনের ঘ্রান
বৈঠা হাতে চাঁদবেনে হরিনীর নাভি চিড়ে
কস্তুরি নিয়েছে কাল গ্রহনের মাঠে।
তুমি একা দীপকরাগের সাথে হৃদয়ের আগুন
ছড়িয়ে দিয়ে গেছো পাহাড়ের গায়ে।
আমি কি মেঘমল্লারে বৃষ্টি নিয়ে ফিরে যাবো হরতকি বনে?
চিবুক স্পর্শ করেছে যারা তারা আজ নিভন্ত মোমবাতী
স্বপ্নের কাছাকাছি ফেলে রেখে গেছে।
মাজারের কাছে পোড়া মোমবাতি সবুজ কাপড়ে ঢাকা
বাঁকা চাঁদ জ্যোৎস্নায় খেলেছিল লুকোচুরি খেলা।
তুমি আগুন ছড়িয়ে দিলে পাখিদের গানে,
শপথের নামে যারা চলে গেছে বহুদূরে
তাদের জন্য নৌকার পালে বাঁধা বাতাসচুম্বনে
রাতচড়া পাখি রোদ নিয়ে উড়ে গিয়ে বহুদিন আগে।
এতকাল চাঁদবেনে মাধুকরী ডিঙ্গা নিয়ে
গেয়েছিলো ভাসানের গান।
সূর্যস্নানে একা বুদ্ধ সামলে যাচ্ছে চন্দনের ঘ্রান
তুমি কি যাবে সেই অমৃতমন্থনে যেখানে সাপুড়েরা
বিষচুষা গাছের শেকড়ে রেখে গেছে জীবনের গান।
তুমি কি যাবে সেইখানে অমারাতে বাসুকির ফণা ছিঁড়ে চন্দনের বনে
যেখানে রাতচড়া পাখি জ্যোৎস্নায় ফিরে গেছে বহুদিন আগে?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন