ঘরে আমার ঝগড়া করার সাথী সকাল থেকে ঘটি বাটি আর রান্নাঘরের ঝুলে তার বকম বকম চলতেই থাকে একা সব কষ্ট বাঁধে হৃদয়ে, ছেলে আর স্বামীকে পালঙ্কে বসায় বসে বসে তারা দেখে কেমন করে চাঁদ ওঠে মাঝে অমাবস্যায় ভরে যায় দুপুর,তারা খসে পরে দূঃখের বাজার থেকে ঝুলিয়ে আনে আশার ঝুলি সব কাজ দশভূজার হাতে ভিড় করে আসে একে একে তারা ফোটে তখনও রান্নাঘরে খাওয়ার জোগাড়ে ব্যস্ত ঝগরাটে বউটা বাপের বাড়ি গেলে ঘরে আঁধার ঘনায় আশার তারাগুলো ফুলের মত ঝরে পড়ে লেখার কথা মাথায় আসে না স্বার্থপর এক অসহায় বধির হয়ে শুনি গতকালের তার ঝগড়ার অমৃত বাণী, আমাকে বাঁচিয়ে রাখে, আশার আলো দেখায় আমার ঝগরাটে রোগা বউটা কষ্টগুলো জমিয়ে আমরা দুজনে একটা জাহাজবাড়ি কিনেছি কল্পনার জলে তরতরিয়ে ভাসে জাহাজ আমার ঝগরাটে বউটা বলে, আমি গভীরতা মাপি তুমি আকাশ হও, আমি জাহাজের গতি মন্থর করি তুমি কলমে আলো ফোটাও আমি কি করে বলি সমস্ত মনজুড়ে আলো হয়ে আছ তুমি শুধু তুমি...
বিমলা নিজে পছন্দ করে এক বেকার ছেলেকে বিয়ে করে। তার নাম সুমন। তার ঘরবাড়ি কিছুই নেই। শেষে কাটোয়ার এক জঙ্গলঘেরা জায়গা নন্দনপাড়। কাটোয়ার একপ্রান্তে তারা একটা ঘর বাড়ি তৈরি করল।কোনরকমে থাকার মতো। বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে তারা সেই ঘরে থাকতো। বেড়া দিয়ে ঘেরা ঘরের ঘেরা ঘরের চারধার।খড়ের চালে কত শান্তি। দুইজনের ঘর সংসার করত চুটিয়ে।তারপর তাদের কোলে এলো পুত্রসন্তান। কিভাবে তারা কষ্ট করে কুড়ি বছর কাটাল সেখানে, ভগবান জানেন।খোলা মাঠে কত রকমের সাপ ঘরে ঢুকে পড়ত। কত দূরে বাজার। সেই দূর থেকে বাজার করতে হতো। টিউশনি করতে যেতে হত দশ মাইল দূরে। দুজনেই ছাত্র পড়িয়ে পরিশ্রম করে তবে সংসার চলত। ছেলের দুধ, খাবার আনা সবকিছু সোমার ওপর নির্ভরশীল ছিল। এত কষ্ট হতো যে ভাষায় বর্ণনা করা যায় না।
কুড়ি বছর পরে যখন কোন রাস্তা হল না। তখন তারা সেই কষ্টের দিনগুলোর বিনিময়ে সুখ কিনল। বাড়িটা বিক্রি করে দেওয়া র কথা ভাবল। আরও কিছু টাকা জোগাড় করে শহরে বাড়ি কেনার কথা ভাবল।
এতদিনে তিলে তিলে জমানো কষ্টগুলো জমিয়ে তারা স্বপ্ন দেখল একটা জাহাজের মত বড় বাড়ি তৈরি করেছে। অভাবের ঘরে মন্থর গতিতে জীবন চলত। তার স্বামী আবার ঠিকমতো কলমে আলো ছড়াতে শুরু করল, আর সে আকাশ হতে পারল সোমার জ্ঞানের জ্যোৎস্নার বিনিময়ে। তার স্বামীর লেখক জীবনে আকাশ হওয়ার স্বপ্নে সোমা কোনদিন বাধা দেয় নি।শুধু ভাবে যে সে শুধু তার স্বামী ও সন্তানের সুখের কথা। তবু তারি মাঝে কত দুখসুখ মিলেমিশে একাকার। আজ তারা সমস্ত জমানো টাকার বিনিময়ে তাদের নতুন বাড়ি কিনেছে, গাড়ি কিনেছে। কম্পিউটার কিনেছে। নিজের ছেলের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করেছে।
বাড়ির নাম রেখেছে জাহাজবাড়ি।
এতদিনে তিলে তিলে জমানো কষ্টগুলো জমিয়ে তারা স্বপ্ন দেখল একটা জাহাজের মত বড় বাড়ি তৈরি করেছে। অভাবের ঘরে মন্থর গতিতে জীবন চলত। তার স্বামী আবার ঠিকমতো কলমে আলো ছড়াতে শুরু করল, আর সে আকাশ হতে পারল সোমার জ্ঞানের জ্যোৎস্নার বিনিময়ে। তার স্বামীর লেখক জীবনে আকাশ হওয়ার স্বপ্নে সোমা কোনদিন বাধা দেয় নি।শুধু ভাবে যে সে শুধু তার স্বামী ও সন্তানের সুখের কথা। তবু তারি মাঝে কত দুখসুখ মিলেমিশে একাকার। আজ তারা সমস্ত জমানো টাকার বিনিময়ে তাদের নতুন বাড়ি কিনেছে, গাড়ি কিনেছে। কম্পিউটার কিনেছে। নিজের ছেলের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করেছে।
বাড়ির নাম রেখেছে জাহাজবাড়ি।
বৃষ্টি
===================
সুদীপ ঘোষাল
===================
ধনী পিতার একমাত্র সুন্দর ছেলেকে পরিবার যেমন নজর বন্দী করে রাখে পাছে ছেলে ভালোবাসা র খপ্পরে পরে পর হয়ে না যায় । ঠিক তেমনিভাবেই রেনকোট, ছাতার আড়াল করে আমরা নিজেদের বাঁচাতে চেষ্টা করেও বৃষ্টির ভালোবাসা থেকে নিজেদের বাঁচাতে পারি না ।বৃষ্টি বলে সুন্দরী যেমন একমাত্র সুন্দর ছেলেকে পরিবারের নজর থেকে নিজের করে নেয় ,ঠিক একইভাবে বৃষ্টি আমাদের. একমাত্র সুন্দর দেহ জামার কলারের ফাঁক গলে ঢুকে পড়ে অন্দরমহলে । তারপর হাঁটা পথে চলার রাস্তায় জল পরম মমতায় পায়ে জলের শে কল পরিয়ে রাখতে চায় । বৃষ্টির সময় চোখে মুখে জল আদরের প্রলেপ লাগায় । ঠোঁট চুম্বন করে শীতল স্পর্শকাতর জল । তার আদরে প্রেমজ্বরে পড়তে হয় মাঝে মাঝে । আমি ভালোবেসে তাকে বলছি, তুমি আমার জ্বরের মাঝে ঝরঝর ঝাঁপিয়ে পড়ো । আমিও বৃষ্টি হয়ে যাই ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন