হে রবীন্দ্র
=====================
গৌতম কুমার গুপ্ত
=====================
তোমার নামে পাখি ডাকে
তোমার নামে সকাল হয়
তোমার নামে প্রদীপ জ্বলে
তোমার নামে সন্ধ্যা হয়
তোমার নামে রাত্রি হয়
তোমার নামে চাঁদ ওঠে
তোমার নামে নিদ্রা আসে
তোমার নাম জেগে উঠি
তোমার নামে কথা হয়
তোমার নামে গান শুনি
তোমার নামে কান্না ভুলি
তোমার নামে হেসে উঠি
তোমার নামে আঁধার যায়
তোমার নামে আলো ফোটে
তোমার নামে আনন্দ হয়
তোমার নামে শোক ভুলে যাই
তোমার নামে গল্প হয়
তোমার নামে কবিতা হয়
তোমার নামে স্বপ্ন আসে
তোমার নামে আশা ভাসে
একদিন
====================
একটি গাছের সঙ্গে একদিন
আলাপ করার ইচ্ছে হলো আমার
নাম জিগগেস করলাম ধাম জিগ্গেস করি নি
কারণ এই ধামেই তো দাঁড়িয়ে আছি
আমি ও গাছটি একসাথে
গাছটি বললো দ্যাখো
আমার দু একটি সবুজ টিকে আছে
বাকী সব হলুদ পাতার আড়ম্বর
আমি নিরাশা বুনি না কখনো
বৃষ্টিমেঘে ধন্য হবো আবার জানি
এই যে চুল পেকে যাচ্ছে তোমার অসময়ে
তুমি পাংশুবর্ণ হচ্ছো ত্বকে ফি-দিন
মনে করি এ তোমার নিরানন্দ নয় অমোঘ আনন্দ
আমিও সবুজ হবো পত্রপুষ্পে দেখো
তোমাকে কুশল শুধোবো আবার
ততোদিনে তুমিও সবুজ হবে নিশ্চয়
আমার কাছে দাঁড়াবে কি আর?
শুধোবে সম্ভাষণ?
আমার সবুজে তুমি চিরকাল অন্নজল পেলে
তোমার শরীরে তখন হাজার জ্যোৎস্নার
প্রজাপতি
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন