রবি
=============
সুতপা পূততুণ্ড
=============
একজন রবি আকাশে
একজন রবি ক্যলেন্ডারে,
আরেকজন জোড়াসাকোয়,
কাব্য, অফুরন্ত ভাণ্ডারে!
একজন রবি শষ্য
চারিদিকে তাজা সবুজ!
আরেকজন শান্তিনিকেতনে,
যে জন বোঝে না, সে অবুঝ।
বিস্ময় আরো অনেক আছে
এক তারা তে সুর সে বাঁধে
গীতিনাট্য নৃত্যনাট্য
একাই সে তুলেছে কাঁধে!
জানলার ধারে একলা আমি
রবি ঠাকুর গুনগুন
রবির খোঁজে মেঘে চলেছে
তেতে পুড়ে আগুন!
রশ্মিগুলো ঝলমলে খুব
মাঝে আলোর রেখা
সকাল সকাল কবির নামে
সূর্যটাকে দেখা।
ক্ষিদে
===============
জ্যোৎস্নায় মিশেছে বিষ
শব্দহীন সব আলোর ঘাতক,
ছায়াদেহ বদলে যাচ্ছে
যে রক্ষক সেই হস্তারক!
পুড়ে যায় স্তব্ধ শালবন
পুড়ে যায় পলাশবন,
পুড়ে যায় প্রেমিক মন
পুড়ে যায় ভালোবাসার জন।
কারা ঢালে নীল বিষ
কারাই বা ঘটায় বিপ্লব?
সভায় যোগ দেওয়া বাধ্যতামূলক
ট্রিগারে চাপ দিলে জাগে পুলক।
ক্ষিদের বদলে তুলছে অস্ত্র
খুলছে বস্ত্র, লক্ষ তুমি
হিংস্র মুখে ছুচ্ছে দেখো
জমাটবাঁধা রক্তভূমি!
অস্ত্র বুঝি পারে দখল নিতে?
এসো আমরাই ঘটাই,
আদার সাথে কাঁচকলার মিতে!
বোঝাপড়া
================
নিজের সাথে নিজের সঙ্গতি
দাও, একলা
গাছপালা যেমন থাকে! থাকে
এঁদো পুকুরের শাপলা।
ভরা শহর দাঁড়িয়ে থাকে অনতিদূর,
যেমন থাকে নিস্তব্ধ,তপ্ত দুপুর।
যেমন থাকে,যৌণতাহীন মাঠ,
উদাসীন পাগল,ছেড়ে যায়,
রাজ্য পাট।
তেমন একটা বোঝাপড়া!
সারাটি জগৎ নির্বিকার,
শুধু নিজের সাথে কথা,সজল
চোখ,
ফোঁটা ফোঁটা গড়িয়ে পড়া।
মনে হবে বেচে আছি!
এইত দাঁড়িয়ে আছে নীল নিরাকার,
ধ্বংসাবশেষ, ঘোর অসফল,
হঠাৎ মেঘের চিঠি এলো!
পাঠালো একফোঁটা বৃষ্টিজল।
সব বোঝাপড়া তরল।
সমাধিস্থ
===========
তুমি যে ইতিহাস জড়ো করো
জীবন ঘেঁটে ঘেঁটে,
সেখানে যে রক্তের দাগও লেগে
থাকে পটে!
এক টুকরো সাদা কাগজ নাও
তাতে নাম লেখো উত্তর পুরুষের।
যাকে মৃত্যু কখনো ছুঁতেও পারে নি!
পারে নি পোড়াতে মুখোষ।
জানি একদিন সভ্যতা মুছে দেবে
সমস্ত অসুখ,
পড়ে থাকবে পৃথিবীর ইতিহাসের পথ পরিক্রমার যুগ।
মাটির বুক থেকে মুছে যাবে কান্না,
উঠে আসবে স্বপ্ন দেখার গান।
যাই,......... সমাধিস্থ করে আসি
স্মৃতির ক্যনভাস,
নিজেকে ফিরে পেতে,
ফিরে পেতে, হারানো আকাশ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন