রবীন্দ্র- নজরুল দুই-ই মহান
=====================
তপা ব্যানার্জি
=====================
জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি কলিকাতার এক নাম-
জন্মেছিলেন রবিঠাকুর পেয়েছে বাঙালি ধাম ।
বাংলা সাহিত্যে এক উজ্জ্বল জোতিষ্ক অবধারিত-
বিরাজমান হয়ে রয়েছে মহাকাশ জুড়ে প্রস্ফুটিত।
'সহজপাঠে' হাতেখড়ি দিয়ে শুরু হয় স্কুলে পড়া-
'হাট ,'ছুটি','সাধ','প্রশ্ন' কত না মুখস্থ করা ।
'দেনাপাওনা','পোষ্টমাস্টার','অতিথি' কত গল্প-
'কথা ও কাহিনী' ,'সঞ্চয়িতা','ভানুসিংহের পদাবলী"
কবিতা সকলেই পড়েছে অল্পসল্প ।
'ঘরে বাইরে','চোখের বালি','বৌঠাকুরাণীর হাট'-
উপন্যাস আছে কত তাঁর লেখা সম্ভার বিরাট ।
'গীতাঞ্জলি'কাব্যগ্রন্থ লিখে 'নোবেল'জয়ে ভূষিত।
হয়েছেন 'বিশ্বকবি' নামে খ্যাত তিনি অলংকৃত ।
তাঁর লেখ "জনগণমন'' আমার সোনার বাংলা'
দুই বাংলার জাতীয় সঙ্গীত অনবদ্য শিরোধার্য ।
দেশের স্বাধীণতা আন্দোলনে ইংরেজ কতৃক
'নাইট' উপাধি প্রত্যাখ্যান তাঁর মহৎ কৃতকার্য ।
'রাখীবন্ধন'উৎসব তাঁর অপর উল্লেখযোগ্য কীর্তি
"আমরা সকলে এক, নই ভিন্ন"হয়েছে স্বীকৃতি ।
'শান্তিনিকেতন' তৈরি রবিঠাকুরের অনবদ্য সৃষ্টি -
পাঠকবর্গ গুণমুগ্ধ হয়েছে তাঁর চারিত্রিক কৃষ্টি ।
বর্ধমান জেলার একটি গ্রাম নাম চুরুলিয়া -
জন্মেছিলেন এক বালক নাম দুঃখু-মিঞা ।
বিদ্রোহী কবি তুমি বাংলা সাহিত্যের এক নাম-
যৌবনের মূর্ত প্রতীক , তুমি নজরুল ইসলাম ।
দীন-দুঃখী রে হৃদয়ে ঠাঁই দিয়ে ,দুখুমিঞা তুমি-
সাম্যের জয়গান গেয়ে হয়েছ সাম্যবাদী ।
দেশের স্বাধীণতায় তুলেছ ঝড় "কারার ঐ লৌহকপাট",
তুমি বীর , তোমারে কুর্নিশ ।
"একই বৃন্তে দুইটি কুসুম হিন্দু-মুসলমান "
তুমি চেয়েছো ঘুচাতে যত ব্যবধান ।
'লোটো' দলে লিখে নাম বেঁধেছ মুক্ত প্রাণের গান ।
'বিষের বাঁশি' বাজাও তুমি সহ্য করে সব অপমান।
'সর্বহারা'য় ছিলে কবি , 'ফনীমনসা'য় তব নব উত্থান ।
তোমার রচিত রাগাশ্রী ,কখন শ্যামাসঙ্গীত,
বসাতে চেয়েছো এক আসনে রাম আর রহিম।
'চির উন্নত' তোমার 'শির' মানবতার পূজারী লহ প্রণাম ।
"দুই মহানের আবির্ভাবে ধন্য বাংলা হয়ে মহীয়ান ।
তব সম্পদে বিত্তশালী হয়েছি মোরা বলীয়ান ।
শতকোটি প্রণাম তব পায়ে করি মিনতি ,হে প্রভু
ভুলিব না কভু তব লেখনী রবে মননে অধিষ্ঠান।"
=====================
তপা ব্যানার্জি
=====================
জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি কলিকাতার এক নাম-
জন্মেছিলেন রবিঠাকুর পেয়েছে বাঙালি ধাম ।
বাংলা সাহিত্যে এক উজ্জ্বল জোতিষ্ক অবধারিত-
বিরাজমান হয়ে রয়েছে মহাকাশ জুড়ে প্রস্ফুটিত।
'সহজপাঠে' হাতেখড়ি দিয়ে শুরু হয় স্কুলে পড়া-
'হাট ,'ছুটি','সাধ','প্রশ্ন' কত না মুখস্থ করা ।
'দেনাপাওনা','পোষ্টমাস্টার','অতিথি' কত গল্প-
'কথা ও কাহিনী' ,'সঞ্চয়িতা','ভানুসিংহের পদাবলী"
কবিতা সকলেই পড়েছে অল্পসল্প ।
'ঘরে বাইরে','চোখের বালি','বৌঠাকুরাণীর হাট'-
উপন্যাস আছে কত তাঁর লেখা সম্ভার বিরাট ।
'গীতাঞ্জলি'কাব্যগ্রন্থ লিখে 'নোবেল'জয়ে ভূষিত।
হয়েছেন 'বিশ্বকবি' নামে খ্যাত তিনি অলংকৃত ।
তাঁর লেখ "জনগণমন'' আমার সোনার বাংলা'
দুই বাংলার জাতীয় সঙ্গীত অনবদ্য শিরোধার্য ।
দেশের স্বাধীণতা আন্দোলনে ইংরেজ কতৃক
'নাইট' উপাধি প্রত্যাখ্যান তাঁর মহৎ কৃতকার্য ।
'রাখীবন্ধন'উৎসব তাঁর অপর উল্লেখযোগ্য কীর্তি
"আমরা সকলে এক, নই ভিন্ন"হয়েছে স্বীকৃতি ।
'শান্তিনিকেতন' তৈরি রবিঠাকুরের অনবদ্য সৃষ্টি -
পাঠকবর্গ গুণমুগ্ধ হয়েছে তাঁর চারিত্রিক কৃষ্টি ।
বর্ধমান জেলার একটি গ্রাম নাম চুরুলিয়া -
জন্মেছিলেন এক বালক নাম দুঃখু-মিঞা ।
বিদ্রোহী কবি তুমি বাংলা সাহিত্যের এক নাম-
যৌবনের মূর্ত প্রতীক , তুমি নজরুল ইসলাম ।
দীন-দুঃখী রে হৃদয়ে ঠাঁই দিয়ে ,দুখুমিঞা তুমি-
সাম্যের জয়গান গেয়ে হয়েছ সাম্যবাদী ।
দেশের স্বাধীণতায় তুলেছ ঝড় "কারার ঐ লৌহকপাট",
তুমি বীর , তোমারে কুর্নিশ ।
"একই বৃন্তে দুইটি কুসুম হিন্দু-মুসলমান "
তুমি চেয়েছো ঘুচাতে যত ব্যবধান ।
'লোটো' দলে লিখে নাম বেঁধেছ মুক্ত প্রাণের গান ।
'বিষের বাঁশি' বাজাও তুমি সহ্য করে সব অপমান।
'সর্বহারা'য় ছিলে কবি , 'ফনীমনসা'য় তব নব উত্থান ।
তোমার রচিত রাগাশ্রী ,কখন শ্যামাসঙ্গীত,
বসাতে চেয়েছো এক আসনে রাম আর রহিম।
'চির উন্নত' তোমার 'শির' মানবতার পূজারী লহ প্রণাম ।
"দুই মহানের আবির্ভাবে ধন্য বাংলা হয়ে মহীয়ান ।
তব সম্পদে বিত্তশালী হয়েছি মোরা বলীয়ান ।
শতকোটি প্রণাম তব পায়ে করি মিনতি ,হে প্রভু
ভুলিব না কভু তব লেখনী রবে মননে অধিষ্ঠান।"
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন