প্রবহমান শঙ্খ
===============
মিলি দাস
===============
যদি চলেই যাবে তবে বলে গেলে না কেন?
যদি জানতেই দেখা হবে না আর
তবে আর একটু থেকে গেলে না কেন?
সময় হয়েছে তোমার ভীষণ তাড়া।
তবে বেঁধে বেঁধে কেন রাখলে দুটি হাত?
মৃত্যুপথে যাবার সময় ও বলছো
ভালো থেকো।
এমন করে কি ভালো থাকা যায় কবি?
স্বর নিচু করে কথা বলতে শিখেছি
সেই শঙ্খ বেলায়।
আবেগের মধ্যে এই ভিখিরী দেশটাকে ভাসিয়ে দিয়ে গেলে,
পাহাড় সাগর নদী জঙ্গল আর নষ্ট সবুজের মাঝে বন্ধ হয়ে আসছিল তোমার শ্বাস।
ভালোবাসার বাংলা অক্ষরগুলোকে ফেলে রেখে চলে গেলে কবি?
আমি দেখতে পারছি -
প্রাচীনের ভস্মের মাঝে তুমি চোখ বুজে আছো।
এই মহাক্রান্তিকালেও তোমার মনের অন্দরে এত খেদ?
জীবনের সমস্ত মুদ্রা থেকে সব চিন্হ মুছে দিয়ে ,
মৃত্যুপথে মর্যাদা নিয়ে নিরুদ্দেশ হয়ে গেলে,
এই নদীর বুকে হাত রেখে দেখো,
রক্তিম লগ্নে অনন্ত রক্তের মধ্যে বয়ে চলেছে তোমার আজীবন সৃষ্টির ধারা।
এই পাহাড়ের দিকে তাকিয়ে দেখো দুপুরের তপ্ত রোদে রুক্ষ্ম পাতাগুলির মাঝে কোমল হয়ে আছে প্রবহমান শঙ্খের ভালোবাসা।
===============
মিলি দাস
===============
যদি চলেই যাবে তবে বলে গেলে না কেন?
যদি জানতেই দেখা হবে না আর
তবে আর একটু থেকে গেলে না কেন?
সময় হয়েছে তোমার ভীষণ তাড়া।
তবে বেঁধে বেঁধে কেন রাখলে দুটি হাত?
মৃত্যুপথে যাবার সময় ও বলছো
ভালো থেকো।
এমন করে কি ভালো থাকা যায় কবি?
স্বর নিচু করে কথা বলতে শিখেছি
সেই শঙ্খ বেলায়।
আবেগের মধ্যে এই ভিখিরী দেশটাকে ভাসিয়ে দিয়ে গেলে,
পাহাড় সাগর নদী জঙ্গল আর নষ্ট সবুজের মাঝে বন্ধ হয়ে আসছিল তোমার শ্বাস।
ভালোবাসার বাংলা অক্ষরগুলোকে ফেলে রেখে চলে গেলে কবি?
আমি দেখতে পারছি -
প্রাচীনের ভস্মের মাঝে তুমি চোখ বুজে আছো।
এই মহাক্রান্তিকালেও তোমার মনের অন্দরে এত খেদ?
জীবনের সমস্ত মুদ্রা থেকে সব চিন্হ মুছে দিয়ে ,
মৃত্যুপথে মর্যাদা নিয়ে নিরুদ্দেশ হয়ে গেলে,
এই নদীর বুকে হাত রেখে দেখো,
রক্তিম লগ্নে অনন্ত রক্তের মধ্যে বয়ে চলেছে তোমার আজীবন সৃষ্টির ধারা।
এই পাহাড়ের দিকে তাকিয়ে দেখো দুপুরের তপ্ত রোদে রুক্ষ্ম পাতাগুলির মাঝে কোমল হয়ে আছে প্রবহমান শঙ্খের ভালোবাসা।
ভালোবেসে সন্ন্যাস
===================
সেই তুমি তো প্রথম চেনা সুখ
মাথা নোয়ানো চিরযৌবন বুক।
সেই তুমি তো বর্ষার জলধারা
ভেজা আঁচলে নিমেষে স্বর্বহারা।
সেই তুমি তো বটবৃক্ষের ছায়া
বাতাবরণে হৃদয়হরণ মায়া।
সেই তুমি তো দুহাত বাড়িয়েছিলে
ক্ষতজ্বালা নিয়ে নদীর শুকনো বিলে।
সেই তুমি তো বুনেছো স্বপ্নরাশি
মুহূর্তে ভরা অকৃপণ ভালোবাসি।
সেই তুমি কি দেখেছো কলঙ্ক রেখা?
নাকি পলার পাশে তোমার পড়ানো শাখা?
সেই তুমি কি দেখেছো প্লাবন রাত,
স্রোতের মাঝে মিলেছে ধারাপাত?
গানের সুরে পেয়েছো দীর্ঘশ্বাস,
ভাটার টানে পড়েছে কি নিঃশ্বাস?
রক্তপ্রবাহে বয়ে যায় স্মৃতি ছন্দ,
দেখো পাপড়িগুলো ঝরছে মৃদুমন্দ।
অবশেষে তুমি পেয়েছো কি ভালোবাসা?
নাকি বেদনায় ভরা চির নিরাশার আশা
সেই তুমি আজ নিষ্প্রাণ শিল্যান্যাস
জীবন যুদ্ধে ভালোবেসে সন্ন্যাস।
===================
সেই তুমি তো প্রথম চেনা সুখ
মাথা নোয়ানো চিরযৌবন বুক।
সেই তুমি তো বর্ষার জলধারা
ভেজা আঁচলে নিমেষে স্বর্বহারা।
সেই তুমি তো বটবৃক্ষের ছায়া
বাতাবরণে হৃদয়হরণ মায়া।
সেই তুমি তো দুহাত বাড়িয়েছিলে
ক্ষতজ্বালা নিয়ে নদীর শুকনো বিলে।
সেই তুমি তো বুনেছো স্বপ্নরাশি
মুহূর্তে ভরা অকৃপণ ভালোবাসি।
সেই তুমি কি দেখেছো কলঙ্ক রেখা?
নাকি পলার পাশে তোমার পড়ানো শাখা?
সেই তুমি কি দেখেছো প্লাবন রাত,
স্রোতের মাঝে মিলেছে ধারাপাত?
গানের সুরে পেয়েছো দীর্ঘশ্বাস,
ভাটার টানে পড়েছে কি নিঃশ্বাস?
রক্তপ্রবাহে বয়ে যায় স্মৃতি ছন্দ,
দেখো পাপড়িগুলো ঝরছে মৃদুমন্দ।
অবশেষে তুমি পেয়েছো কি ভালোবাসা?
নাকি বেদনায় ভরা চির নিরাশার আশা
সেই তুমি আজ নিষ্প্রাণ শিল্যান্যাস
জীবন যুদ্ধে ভালোবেসে সন্ন্যাস।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন