অন্যমনে সাহিত্য. অন্য রকম দৃষ্টিকোন থেকে দেখা একটি প্রতিবিম্ব ভাবনা .. অন্যমনে সাহিত্য.

শনিবার, ১২ জুন, ২০২১

কবিতায় সাহানুকা

  

 শ্রাবণের ধারা
===================
সাহানুকা হাসান শিখা
===================


শ্রাবণের অঝোর ধারা বহে

তোমার বিহনে হৃদয় ঝরে।

জোসনার আলোয় আলোকিত ঘর,

শীতল বারিধারা ঝরে ঝরঝর।

এমনি মহালগনে এলে ধরার পরে,

হে মহারথী বিশ্বকে অবাক করে।

তোমার নেই তুলনা পৃথিবীতে,

বারবার আসবে ফিরে এই তিথিতে।

জীবনের সব সুধা ভরি,

সাজিয়েছিলে সোনার তরী।

বাঙালী জাতির জন্য তুমিই অনন্য,

নোবেল জয় করে হলে ধন্য।

প্রেমের মায়ায় রচিলে চারুলতা,

তারপর শেষের কবিতা।

মহাজ্ঞানী তুমি কবিতার সৌরভ,

তোমাকে নিয়ে মোদের কত গৌরব।

যদি না আসিতে এই ধরনীর পরে

সাহিত্য চর্চা হতো না প্রাণ ভরে।

আজ কোন এক মহান দিবসে,

পরম শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা পরিশেষে।






বাগিচার বুলবুলি
==================


সাম্যের কবি তুমি হে নজরুল

রচে ছিলে দোলনচাঁপা ঝিঙ্গেফুল।

উঠেছিলো অগ্নিবীনার সুর।

বিষের বাঁশী যে কি সু-মধুর।

মানুষের কবি তুমি হে বালক দুখু,

চোখের চাতক আর চন্দ্রবিন্দু।

রিক্তের বেদন,দিয়েছিলে ব্যথার দান

এ জগৎ জুড়ে তুমি মহিয়াণ।

বিদ্রাহী কবি তুমি লিখেছিলে কত পাঠ,

ভেঙ্গেছিলে কারার ঐ লৌহ কপাট,

আকাশে উড়িয়েছিলে ধুমকেতু,

গড়েছিলে বাধঁনহারার সেতু।

তুমি তো ছিলে গানের বুলবুলি,

শরৎ কালে ভোরের মালা শিউলি।

সাত ভাই চাম্পা এসে দাও দেখা।

লিখেছিলে কাব্য নারী কুহেলিকা।



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন