গৌতম কুমার গুপ্তের দুইটি কবিতা
===============================================================
টিপ
একটি বাসন্তিকা টিপের ভ্রমে
হঠাৎ স্মরণিকা ফুল ফুটেছে আ্যালবামে
শ্বেত পীত মোহিনী যাপন চাই
মুখের লাবণ্য চিনি তার ঠোঁটের স্বরলিপি
চিবুকে দিয়েছে মোনালিসা মোহ ঢল
চমকাই, এ তো আগুনের ফলাফল
এ নন্দিনী অথবা তটিনী সে হয় যদি
শরীরে বহে তরঙ্গাকুল নদী
ডুবের সাঁতারে নিমিত্তটুকু হোক তবু বাঁচি
অ গ ত্যা
তারপর হেসে উঠলে খিলখিল করে চাঁদের ভগ্নাংশ তোমাকে দেখে মুখ ঢাকলো।লজ্জারুণ পাখিরা আরো মনোযোগী হল উড়ানে।আমার ভেতর নেমে এলো উৎসাহী ঠোঁটের নিশপিশ।
তুমি ক্ষণে ক্ষণে ভে্ঙে ফেলছো নিজেকে।দেখছো নদীটির পাড়ভাঙা উচ্ছ্বাস। স্রোতস্বিনী হয়ে উজান দিল তোমার বিনুনীর কল্লোল।আমি শুধু দেখি।কিভাবে ভাঙতে হয় বুঝি না।
শুধু আয়াসের আড়মোড়া ভাঙি।সাদাকালো ম্যাঁদামারা একবগ্গা।না আছে জলীয় বিন্যাস না আছে বহতা স্রোতের ঝরণা।নিচু হয়ে দেখি ওই শরীরের ঐশ্বর্যীয় লাবণ্য।
হাতে শুধু আছে ঝরণাকলম।দু এক পিস কবিত্ব ফলানো অক্ষরের খসখস।সারস্বত কাগজের বন্ধুতা। অকাল শ্রাবণের তুলনায় তোমাকে দেখে তোমার খিলখিল লিখে ফেলি অগত্যা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন