দেবাশিস মুখোপাধ্যায়
============================================================
#১.
দুপুর জড়িয়ে ধরে ঘুমে। জেগে থাকি
বিকেল অবধি যখন সন্ধ্যা নামো নামো
দেবতাদের লুকোচুরি চলে ছায়ার আলোতে। প্রদীপের তেলের গন্ধ ভাসে।
কিছু কিছু শব্দ বিনিময় করে পাখিরা।
ঘুম চোখে চায় । গেরস্থ বাড়ির ঝগড়ার পর ঝুপ করে নৈঃশব্দ্য আসে বাঘ পায়ে।
জানালা দেখে পূর্নিমা নামের মেয়ে
সন্তানসম্ভবা দেহ টেনে টেনে আসে।
শীত আর কুয়াশার সঙ্গমের পরে
ম্রিয়মান এক পুকুর পুরুষ চিত শুয়ে আছে সবুজ শরীরে যার একটি সুতোও নেই
অন্ধকার টুকরো করে প্রিয় নারী শরীর
জোছনার সমুদ্রের কাছাকাছি দেখছি আর দেখছি। জলের গর্জনেও স্থির আছে
চোখের মণি। অতীত ধ্যান জমে উঠেছে
খন্ড খন্ড রাত্রির দিকে তাকিয়ে। ছুরির
ফলায় যে রক্ত ব্যঙ্গ করছে তীব্র আঘাতে। ক্ষরণ হচ্ছে অথচ দেখতে পাচ্ছে না কেউ
এই নির্জন বেলাভূমিতে। বিভাজিত অংগ
প্রত্যংগ নয় উত্তেজনা বাড়ছে জ্যান্ত দেহের। প্রবল জোছনার বিপন্নতা নড়িয়ে
দিচ্ছে শীতের হাড়। সাদা আর কালোর এক সংঘাত অনুভূত হয়ে দৌড় করাচ্ছে
অনির্দিষ্টের দিকে। পাশে এখন সমুদ্রের স্বর নিস্কম্প্র, নিটোল।
#৩.
একটা সকাল শুয়ে আছে শুকনো পাতার উপর
অনেক জীবন চলে গেল উড়ে উড়ে কোথাও
শূন্যতার ভিতর বসে আছে রঙবেরঙের পাখি
তাদের ছায়া পড়েছে মাটিতে দীর্ঘ নাগালের বাইরে
সংগীতের পর একটু স্তব্ধতা দখল করছে
যেন শীতঘুম
হঠাৎ বিচ্ছেদ এসে ওলটপালট করেছে বিছানা
ছানাদের কাতর আর্তনাদ পৌঁছে গেলেও
বেরনো হচ্ছে না
গন্ডীর বাইরে যাওয়ায় অজস্র নিষেধ
গীতা আঁকড়ায়
শ্লোকের অর্থ ভিন্ন ভিন্ন ভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বদলায়
রাত্রির কাছে কোনো বদলা নেই শুধু বদল ভাবনায় চাঁদ ওঠে ডোবে
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন