শুভশ্রী নায়েক
=============================================================================
কাশফুলের চেনা সাজে দেবী বন্দনার সুর।
মহামায়ার রূপে রেঙে ওঠে রুবীনা।
মালতী,বকুল,কমলার সাথে-
নদীর ধারের কাশবনে দেবীর অসুর নিধন মহড়া।
আশ্বিনের শারদ প্রাতে' -জাতের বালাই ভুলে
কিশোরী মনে জগন্মাতার বিনাশিনী রূপ ।
কাজল সুখে, গভীরতায় ভরা দৃষ্টি -
লাঠি ভেঙে ত্রিশূল বানিয়েছে অসুর হননে।
কৈলাসে চলেছে মানব পুতুলের অভিনয়ের দৃশ্য -
তৃপ্তি ফুটে উঠছে, রুবীনার চোখে মুখে।
দরজার কোনে দাঁড়িয়ে এমন অসুরকে
বার বার দমন করার ইচ্ছে সেধেছিলো মনে-
মায়ের সাথে হওয়া আসুরিক মত্ততাকে
এমন ভাবেই শূলবিদ্ধ করতে চেয়েছে সে।
মালতী,বাবার অসুর মূর্তি দেখেছে অনেক বার-
বকুল ও কম দেখেনি এসব নাটক।
কমলের পিঠে মাষ্টারমশাই এর কোমল হাত
কত বার ঘুরেছে সুযোগে সুবিধে করে।
সমস্ত কিছুই আগুন হয়ে বেরোচ্ছে কিশোরী শ্বাসে-
অসুর সাজানো দেবীর ই কুশপুত্তলিকায়।
দহন চলেছে প্রাণশক্তির,নীরব নিপীড়নের-
গর্জে উঠছে নারী শক্তি প্রবল হুংকারে।
রুবীনা,মালতি,বকুল,কমলা,ঘর ছেড়ে রাস্তায়-
প্রতিবাদের নিঃশব্দ গত হারিয়ে জবাব চাইছে।
ভোগ্য পন্য নই,মাতৃত্ব ধারণ করার ক্ষমতা রাখি-
সমাজ তুমি স্রষ্টা হতে পারোনা আমার আধার ভুলে।
হিংস্রতা নিয়ে চোখ রাঙাতে পারতে না-
যদি আমার জঠর কক্ষে তোমার চোখ না ফুটতো॥
আপনার প্রাঞ্জল লেখনী আমাদের সমৃদ্ধ করেছে। অন্যমনে সাহিত্য আপনাকে শারদ শুভেচ্ছা জানায়।
উত্তরমুছুন