সাহিন আক্তার কারিকর
=======================================================
#১.
কাঠ কয়লার ভিতরে জীবাশ্ম রেখে নিরুদ্দেশ ধোঁয়া
প্রিয় মানুষের কাছে রোজই পৌঁছায়
এক বুক আক্ষেপ নিয়ে...
আর রাত রজনীগন্ধা বাতাসে ভাসে উচ্ছিষ্ট ভালোবাসা
আমি ওই মোহাবিষ্ট হাসি নিয়ে কিছু লিখতে পারি না।
#২.
অমাবস্যার সন্ধ্যায় নিজেকে বিক্রি করে
একটি বুনো পায়রা কিনেছি
তারপর হাতুরি দিয়ে ভেঙে ফেলছি পরিযায়ী পৃথিবীর
কাঁধে তুলে নিয়েছি জীবন্ত মানুষ
বেঁচে থাকার মস্ত বড় সংসার...
#৩.
নাবিকের নেশা জাগে নক্ষত্রের আলোয়
নিয়মিত ঘোরাঘুরি করছে
আমাকে কেন্দ্র করে
বহুদিন হল উত্তেজনার বশে স্পর্শ করিনি স্বাক্ষর সঙ্গিনীর সে আমার থেকে পেয়েছে প্রয়োজন টুকু।
#৪.
অপেক্ষায় পুরাতন পরিত্যক্ত কুটিরে আঘাত হানে
পরিনত মস্তিষ্ক নাট্যের ধাঁচে
ভুলে যাবে মুক্ত জীবনের শতাব্দী উন্মুক্ত আশ্রয়,
খুঁজে নেবে আদ্র কোনো আস্তানা।
লবন ঝরা ক্ষত দেওয়ালের অসাম্য চাঁদ মুখ
বিপ্লব আনতে পারেনি।
#৫.
অরণ্য গুণতে গিয়ে সমগ্র অরণ্যের সন্ধান তুমি হারিয়েছো
দস্তাবেজ ঘেটেছি এত এত যে
মিথের ময়দানে মাথানত করে ধ্বংসের নাটক দেখেছি।
প্রমোদস্রোতে গা ভাসিয়েছি, সঞ্চিত ঐশ্বর্য উড়িয়েছি, তোমার পায়ে ঢেলেদিয়েছি শক্তিময় আবেগ
সৃষ্টির গর্ভযন্ত্রনা পীড়া দিচ্ছিল।
#৬.
অর্থহীন তোমাকে পেতে নষ্ট করে ফেলেছি প্রলয়গর্ভ
অন্তিম জয়।
মুখোসের মাঝামাঝি তোমার মুখ
বিপ্লবের ছায়ায় দেখছি আর একটি বিপ্লব
পুতুলের মত খেলছে নগন্য শরীরের সাথে ।
অন্ধকার বুকের মধ্যে হারিয়ে যায় রোজ
শীতল হাত মুখের উপরে বুলিয়ে
সঙ্গিনী বলছে কবে প্রিয় হব?
আপনার প্রাঞ্জল লেখনী আমাদের সমৃদ্ধ করেছে। অন্যমনে সাহিত্য আপনাকে শারদ শুভেচ্ছা জানায়।
উত্তরমুছুন