অন্যমনে গুচ্ছকবিতায় পিয়াংকী
======================
চৌকাঠ
১.
নিভে গেছে একপশলা দুইপশলা বহু পশলা পশলা আলো
আমি ছুঁতে পারিনি
চৌকাঠ পেরিয়ে একটা ঘর ,
পৌছনোর আগের মুহূর্তেই দরজা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল
আমি নিভন্ত আলোর পাশে তাই জ্বালিয়ে রেখেছি আস্ত একটা গনগনে উনুন
প্রতিটা ব্যথার একটা করে নাম থাকা জরুরি
নইলে ফুলছাপ জর্জেট শাড়ি হয়ে উঠতে তোমার এ জন্মটাই হয়তো কেটে যাবে।
২.
ডুবতে এসে কোন কৌশলে তুমি ভেসে যাচ্ছ ?
কেউ বলছে খড়কুটো কেউ চিত্কার করে বলছে শ্যাওলা
আমি মাছদের চিনি
নৌকাও চিনি
আঁশওয়ালা মাছকে বড্ড ভয় পেতো আমার মা
তাই নৌকা টাঙিয়ে লুকিয়ে থাকত বরাবর
যেদিন চৌকাঠ ডিঙিয়ে আস্ত একটা নদী ঢুকে এলো শোবার ঘরে
সেদিন মা আর টাল সামলাতে না পেরে খুলে ফেলেছিল নিজের যাবতীয় পোশাক ।
৩.
থমকে যাওয়া পথের দুটো পাশই ভরে গেছে আগাছাতে
ভাবছি একটা দিক আমি পুড়িয়ে দেব ।
উনুন বিছিয়ে দেবো প্রচুর
অন্যপাশে দেবো বৃষ্টি
ছাই দেখে তামাম দুনিয়া যখন হিসেব কষবে,
রাজনীতি রণনীতি আর দুর্নীতি আঁকবে মেঝেতে
আমি তখন ইঁদুরের বিষ খুঁজছি আর ব্যাঙের জন্য কুয়ো খুঁড়তে খুঁড়তে পৌঁছে গেছি তোমার বাড়ির সদর দরজায় ।
আলপথ আটকে রাখতে পারেনি চৌকাঠ
ভীড় ঠেলতে ঠেলতে অবশেষে শোবার ঘর চোখ ক্রমশ বন্ধ হয়ে আসছে
হাই উঠছে
উথলে উঠছে নিঃশ্বাস
আমি বিছানার একপাশে ধর্মকে শুইয়ে রেখে
বিপরীতে তোমাকেই চুম্বন করে চলেছি আজন্মকাল ।
অপূর্ব পিয়া❤️
উত্তরমুছুন