অন্যমনে গুচ্ছকবিতায় দেবলীনা চক্রবর্তী
=============================
=============================
শুধু তোমার’ই জন্য
এক অপার্থিব আলো নিয়ে এলো আজকের ভোর
বহুদিন বাদে এই আলোর মাঝে তোমার সাথে দ্যেখা, বিসমিল্লার সানাইয়ের মতো
রেখাবের বাদি স্বর যেভাবে আঁকড়ে ধরলো মনে হল ,
মর্মমূল থেকে ঝরে পরা সমস্ত সম্বাদি স্বর ভেঙে ফেলি এক নিমেষে ,
ভেঙে ফেলি তাকে অলীক ভ্রমের মতো, ব্যর্থ প্রেমের মতো , মিথ্যে আশ্বাসের মতো, অন্ধ বিশ্বাসের মতো !
যেভাবে যেটুকু জড়িত টুনকো জীবাণু সংক্রমণ সবটুকু ছিঁড়ে ফেলতে চাই যেন।
চির ধরেছে মাত্র , এখনও নিঃশেষ করা যায় নি।
এসমস্ত আকাঙ্ক্ষার সহজ ফলাফল আসে না
মোটেও ।
কিন্তু কি সহজে ভেঙে পরে বিরহী রোদবেলা তোমার-আমার কাঁচের জানলা ছুঁয়ে , জ্যামিতিক আকারে। বেলা পরে আসে,তলানি আশ্বাসটুকু নিয়ে কেঁপে ওঠে পোয়াতী পায়রা, নতুন বাসা গড়ার আশায়।
এ ভাঙা গড়ার খেলায় কি আশ্চর্য মৌজে মেতেছি আজ , শুধুমাত্র শব্দবন্ধের জন্য , মাত্রা বিন্যাসের জন্য , ধ্বনি তরঙ্গের জন্য, অনিত্য সুখের জন্য !
জানি আমার সিঁদুর-গোধূলিবেলা দিগন্ত সূর্যকে শুনিয়ে যাবে ব্যক্তিগত সানাই-এর ধুন
যা তোমাকে ছুঁয়ে যাবেই , যে সুর শুধু তোমারই জন্য।
নিরাময় চেয়ে...
বহুদিন যাবৎ অদ্ভুত ব্যামো ধরেছে এই শিরায় উপশিরায়
অক্ষরে অক্ষরে জ্বরভাব -
আলো কমে এলে রুগ্ন শ্রমিকের মতো বোধের বাগানে খুপরি চালাই
শব্দ হাতড়াই !
শেষে নিজস্ব প্রলাপ লিখি , নিরাময় চেয়ে।
সে এক যুবতী কন্যা এসে কানে কানে বলে যায় - ‘এমন কিছু লেখো যা পড়লে চমক জাগে’
শুনে নিজেকে ভাঙ্গতে থাকি , তিলে তিলে
রোদে পোড়া জলে ভেজা পড়ে থাকা বাঁশের মতো খণ্ডিত হই।
বোধি আলো দ্যেয় , আপ্তবাক্য ভোর
শপথে ওড়ে রঙিন দিন , উজ্জ্বল ফাৎনা ফড়ফড়ে
ছয়ানট বেজে যায় এসরাজে, ঘুম জেগে ওঠে!
রোমন্থন ....
এ মন খুশি করার মতো তেমন কোন সামগ্রী প্রয়োজন হয় না
দু’ফোঁটা আলো জল আর দু’মুঠো নীল আকাশই যথেষ্ট।
তবুও দিন ও রাতের শেষ প্রহর অব্দি অপেক্ষা ছিলো মুহূর্ত খুশির!
উৎসব শেষ হলো ----
দলে দলে ফিরে গেলো প্রাচীন সারস,বনময়ূর
আরও যে যেখানে ছিলো।
আমারও যে ফেরার পালা---
ফিরে এসে মুখ গুঁজে বসি গোপন কোটরে
একে একে তুলে রাখি এক আনা- দু’আনা প্রাপ্তি, অনাবিল স্মৃতি!
নিবিড় জমানো বোধ রিফু করে রাখি!
রোমন্থনের আশায়!
এক অপার্থিব আলো নিয়ে এলো আজকের ভোর
বহুদিন বাদে এই আলোর মাঝে তোমার সাথে দ্যেখা, বিসমিল্লার সানাইয়ের মতো
রেখাবের বাদি স্বর যেভাবে আঁকড়ে ধরলো মনে হল ,
মর্মমূল থেকে ঝরে পরা সমস্ত সম্বাদি স্বর ভেঙে ফেলি এক নিমেষে ,
ভেঙে ফেলি তাকে অলীক ভ্রমের মতো, ব্যর্থ প্রেমের মতো , মিথ্যে আশ্বাসের মতো, অন্ধ বিশ্বাসের মতো !
যেভাবে যেটুকু জড়িত টুনকো জীবাণু সংক্রমণ সবটুকু ছিঁড়ে ফেলতে চাই যেন।
চির ধরেছে মাত্র , এখনও নিঃশেষ করা যায় নি।
এসমস্ত আকাঙ্ক্ষার সহজ ফলাফল আসে না
মোটেও ।
কিন্তু কি সহজে ভেঙে পরে বিরহী রোদবেলা তোমার-আমার কাঁচের জানলা ছুঁয়ে , জ্যামিতিক আকারে। বেলা পরে আসে,তলানি আশ্বাসটুকু নিয়ে কেঁপে ওঠে পোয়াতী পায়রা, নতুন বাসা গড়ার আশায়।
এ ভাঙা গড়ার খেলায় কি আশ্চর্য মৌজে মেতেছি আজ , শুধুমাত্র শব্দবন্ধের জন্য , মাত্রা বিন্যাসের জন্য , ধ্বনি তরঙ্গের জন্য, অনিত্য সুখের জন্য !
জানি আমার সিঁদুর-গোধূলিবেলা দিগন্ত সূর্যকে শুনিয়ে যাবে ব্যক্তিগত সানাই-এর ধুন
যা তোমাকে ছুঁয়ে যাবেই , যে সুর শুধু তোমারই জন্য।
নিরাময় চেয়ে...
বহুদিন যাবৎ অদ্ভুত ব্যামো ধরেছে এই শিরায় উপশিরায়
অক্ষরে অক্ষরে জ্বরভাব -
আলো কমে এলে রুগ্ন শ্রমিকের মতো বোধের বাগানে খুপরি চালাই
শব্দ হাতড়াই !
শেষে নিজস্ব প্রলাপ লিখি , নিরাময় চেয়ে।
সে এক যুবতী কন্যা এসে কানে কানে বলে যায় - ‘এমন কিছু লেখো যা পড়লে চমক জাগে’
শুনে নিজেকে ভাঙ্গতে থাকি , তিলে তিলে
রোদে পোড়া জলে ভেজা পড়ে থাকা বাঁশের মতো খণ্ডিত হই।
বোধি আলো দ্যেয় , আপ্তবাক্য ভোর
শপথে ওড়ে রঙিন দিন , উজ্জ্বল ফাৎনা ফড়ফড়ে
ছয়ানট বেজে যায় এসরাজে, ঘুম জেগে ওঠে!
রোমন্থন ....
এ মন খুশি করার মতো তেমন কোন সামগ্রী প্রয়োজন হয় না
দু’ফোঁটা আলো জল আর দু’মুঠো নীল আকাশই যথেষ্ট।
তবুও দিন ও রাতের শেষ প্রহর অব্দি অপেক্ষা ছিলো মুহূর্ত খুশির!
উৎসব শেষ হলো ----
দলে দলে ফিরে গেলো প্রাচীন সারস,বনময়ূর
আরও যে যেখানে ছিলো।
আমারও যে ফেরার পালা---
ফিরে এসে মুখ গুঁজে বসি গোপন কোটরে
একে একে তুলে রাখি এক আনা- দু’আনা প্রাপ্তি, অনাবিল স্মৃতি!
নিবিড় জমানো বোধ রিফু করে রাখি!
রোমন্থনের আশায়!
ভীষণ সুন্দর প্রতিটা লেখা খুব ভালো লাগলো
উত্তরমুছুনধন্যবাদ তন্ময় 🌹
মুছুন