অন্যমনে সাহিত্য. অন্য রকম দৃষ্টিকোন থেকে দেখা একটি প্রতিবিম্ব ভাবনা .. অন্যমনে সাহিত্য.

মঙ্গলবার, ১২ জানুয়ারী, ২০২১

অন্যমনে গুচ্ছকবিতায় অসিত কুমার পাল


 


অন্যমনে গুচ্ছকবিতায় অসিত কুমার পাল
==============================

অনুভূতি


আমিই আমার মানসিক

অনুভূতিকে নিয়ন্ত্রন করি ;

যখন যে মুডে থাকতে ইচ্ছা হয়

তখন সে মুডেই থাকতে পারি ।


যখন খুশী থাকতে ইচ্ছা করে

তখন আমি খুবই খুশী থাকি ;

সেই সব মুহূর্তে দুঃখ আমার

ত্রিসীমানায় ঘেঁষতে পারে না ।


আবার কখনো কখনো

দুঃখ আমাকে পেয়ে বসে ;

তখন দুনিয়ার কোন খুশীই

আমাকে আনন্দ দিতে পারে না ।


এমনকি আমার মুড দ্বিতীয় কোন

মানুষের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় না ;

তাদের সুখ দুঃখ হাসি কান্না

আমার হৃদয়কে স্পর্শও করে না ।




মহাশিল্পীর আঁকা এক নৈসর্গচিত্র


সন্ধ্যে হয় হয় ।

পানসীর ছাদে বসে প্রকৃতির শোভা দেখছি ।

আকাশের পশ্চিম দিকটা লাল আভায় রঞ্জিত ।

অস্তগামী সূর্যটা টকটকে লাল সিঁদুরের ফোঁটার মত

আকাশের গায়ে লেগে আছে ।

নদীর নীল জলে লাল আকাশের ছায়া পড়ে

এক অপূর্ব বর্ণ সুষমার সৃষ্টি করেছে ।


দূরে নদীর পাড়ে সারিবদ্ধ গাছগুলির মাথা

অস্তমিত সূর্যের শেষ কিরণ মেখে লজ্জায় লাল হয়ে আছে ।

নীড়মুখী পাখির ডানা বিদায়ী সূর্যের

রক্তিম পরশে উদ্ভাসিত ।

সব মিলিয়ে আমি যেন কোন এক মহাশিল্পীর আঁকা

অপূর্ব একখানি নৈসর্গচিত্র দেখছিলাম ।




ঈশ্বর বড়ই একচোখা


ঈশ্বর বলে যদি কেউ কোথাও থেকে থাকেন

থাকলে বলতেই হয়- তিনি বড়ই একচোখা ।

বোধ হয় তার চক্ষুলজ্জা বলতে কিছু নেই ।


ঈশ্বর তেলা মাথায় তেল দিতে পছন্দ করেন ।

তিনি কিছু ভাগ্যবানকে ছপ্পর ফাঁড়কে দিয়ে থাকেন

আর অভাগাদের জন্য মরার উপর খাঁড়ার ঘা দেন ।


আমি এরকম কোন ঈশ্বরকে মানি না । বরং

রেগে গেলে বা উত্তেজিত হলে আমি সেই ঈশ্বরকে

আমার প্রতিপক্ষ হিসাবে খাড়া করে নিই ।


কখনো আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি,

অনুগ্রহ ভিক্ষা করি আবার কখনো সেই ঈশ্বরের

কাছেই অভিযোগ করি বা কৈফিয়ত তলব করি ।



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন