অন্যমনে গুচ্ছকবিতায় অসিত কুমার পাল
==============================
==============================
অনুভূতি
আমিই আমার মানসিক
অনুভূতিকে নিয়ন্ত্রন করি ;
যখন যে মুডে থাকতে ইচ্ছা হয়
তখন সে মুডেই থাকতে পারি ।
যখন খুশী থাকতে ইচ্ছা করে
তখন আমি খুবই খুশী থাকি ;
সেই সব মুহূর্তে দুঃখ আমার
ত্রিসীমানায় ঘেঁষতে পারে না ।
আবার কখনো কখনো
দুঃখ আমাকে পেয়ে বসে ;
তখন দুনিয়ার কোন খুশীই
আমাকে আনন্দ দিতে পারে না ।
এমনকি আমার মুড দ্বিতীয় কোন
মানুষের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় না ;
তাদের সুখ দুঃখ হাসি কান্না
আমার হৃদয়কে স্পর্শও করে না ।
মহাশিল্পীর আঁকা এক নৈসর্গচিত্র
সন্ধ্যে হয় হয় ।
পানসীর ছাদে বসে প্রকৃতির শোভা দেখছি ।
আকাশের পশ্চিম দিকটা লাল আভায় রঞ্জিত ।
অস্তগামী সূর্যটা টকটকে লাল সিঁদুরের ফোঁটার মত
আকাশের গায়ে লেগে আছে ।
নদীর নীল জলে লাল আকাশের ছায়া পড়ে
এক অপূর্ব বর্ণ সুষমার সৃষ্টি করেছে ।
দূরে নদীর পাড়ে সারিবদ্ধ গাছগুলির মাথা
অস্তমিত সূর্যের শেষ কিরণ মেখে লজ্জায় লাল হয়ে আছে ।
নীড়মুখী পাখির ডানা বিদায়ী সূর্যের
রক্তিম পরশে উদ্ভাসিত ।
সব মিলিয়ে আমি যেন কোন এক মহাশিল্পীর আঁকা
অপূর্ব একখানি নৈসর্গচিত্র দেখছিলাম ।
ঈশ্বর বড়ই একচোখা
ঈশ্বর বলে যদি কেউ কোথাও থেকে থাকেন
থাকলে বলতেই হয়- তিনি বড়ই একচোখা ।
বোধ হয় তার চক্ষুলজ্জা বলতে কিছু নেই ।
ঈশ্বর তেলা মাথায় তেল দিতে পছন্দ করেন ।
তিনি কিছু ভাগ্যবানকে ছপ্পর ফাঁড়কে দিয়ে থাকেন
আর অভাগাদের জন্য মরার উপর খাঁড়ার ঘা দেন ।
আমি এরকম কোন ঈশ্বরকে মানি না । বরং
রেগে গেলে বা উত্তেজিত হলে আমি সেই ঈশ্বরকে
আমার প্রতিপক্ষ হিসাবে খাড়া করে নিই ।
কখনো আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি,
অনুগ্রহ ভিক্ষা করি আবার কখনো সেই ঈশ্বরের
কাছেই অভিযোগ করি বা কৈফিয়ত তলব করি ।
আমিই আমার মানসিক
অনুভূতিকে নিয়ন্ত্রন করি ;
যখন যে মুডে থাকতে ইচ্ছা হয়
তখন সে মুডেই থাকতে পারি ।
যখন খুশী থাকতে ইচ্ছা করে
তখন আমি খুবই খুশী থাকি ;
সেই সব মুহূর্তে দুঃখ আমার
ত্রিসীমানায় ঘেঁষতে পারে না ।
আবার কখনো কখনো
দুঃখ আমাকে পেয়ে বসে ;
তখন দুনিয়ার কোন খুশীই
আমাকে আনন্দ দিতে পারে না ।
এমনকি আমার মুড দ্বিতীয় কোন
মানুষের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় না ;
তাদের সুখ দুঃখ হাসি কান্না
আমার হৃদয়কে স্পর্শও করে না ।
মহাশিল্পীর আঁকা এক নৈসর্গচিত্র
সন্ধ্যে হয় হয় ।
পানসীর ছাদে বসে প্রকৃতির শোভা দেখছি ।
আকাশের পশ্চিম দিকটা লাল আভায় রঞ্জিত ।
অস্তগামী সূর্যটা টকটকে লাল সিঁদুরের ফোঁটার মত
আকাশের গায়ে লেগে আছে ।
নদীর নীল জলে লাল আকাশের ছায়া পড়ে
এক অপূর্ব বর্ণ সুষমার সৃষ্টি করেছে ।
দূরে নদীর পাড়ে সারিবদ্ধ গাছগুলির মাথা
অস্তমিত সূর্যের শেষ কিরণ মেখে লজ্জায় লাল হয়ে আছে ।
নীড়মুখী পাখির ডানা বিদায়ী সূর্যের
রক্তিম পরশে উদ্ভাসিত ।
সব মিলিয়ে আমি যেন কোন এক মহাশিল্পীর আঁকা
অপূর্ব একখানি নৈসর্গচিত্র দেখছিলাম ।
ঈশ্বর বড়ই একচোখা
ঈশ্বর বলে যদি কেউ কোথাও থেকে থাকেন
থাকলে বলতেই হয়- তিনি বড়ই একচোখা ।
বোধ হয় তার চক্ষুলজ্জা বলতে কিছু নেই ।
ঈশ্বর তেলা মাথায় তেল দিতে পছন্দ করেন ।
তিনি কিছু ভাগ্যবানকে ছপ্পর ফাঁড়কে দিয়ে থাকেন
আর অভাগাদের জন্য মরার উপর খাঁড়ার ঘা দেন ।
আমি এরকম কোন ঈশ্বরকে মানি না । বরং
রেগে গেলে বা উত্তেজিত হলে আমি সেই ঈশ্বরকে
আমার প্রতিপক্ষ হিসাবে খাড়া করে নিই ।
কখনো আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি,
অনুগ্রহ ভিক্ষা করি আবার কখনো সেই ঈশ্বরের
কাছেই অভিযোগ করি বা কৈফিয়ত তলব করি ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন