অন্যমনে গুচ্ছকবিতায় চিরঞ্জিব হালদার
============================
ক.
দামি ল্যাম্প শেড মিথ্যে কথা বলে না।
তার চার পাসে থ্রি ডাইমেনসান ঘুমের আরক।
কল্পনার বিমূর্ত অশরীরী স্বর ।
হেসে ওঠে মধ্য রাতে অনড় স্থাপত্যে।
ইনভার্টার তাকে আজ নিয়ে যাবে সানাই শোনাতে ।
সে জানে বিশমিল্লায় কত গুলো গোধূলি থাকে।
তাকে চেনে পদ্মবিল।
কেন আজ মুখ ভার ।
এই ঘর প্রতিমা পাথর।
ওড়না ও পতঙ্গের মতো সারা ঘরে মেলে দেয়
গুনগুন ঋতু।
দামি ল্যাম্পশেড জ্বলে উঠলে সব তরল
তরল অধিক।
তুমি জানো চাপা স্বর ছলনা জানেনা।
তোমার হত্যাকারী তোমাকেই গল্প শোনায়।
খ.
পুরুষ পাথর চেপে বসো পুরুষে পুরুষে।
চেপে বসো যুদ্ধ কাম নারী ফুল।
তোমাদের এজমালি ঘর।
কোথাও নিজস্ব রচনা নেই।
শুধু হেলে পড়া উকিল তার গা থেকে খুলে নেওয়া কালো পোশাকের মাদল বাহার।
দেহটা নারীর।
ঘরে বাস পুরুষ পাথর।
আলো জ্বলে
আলো দ্যাখো কতটা পুরুষ।
নারী তার সিংহের বাহন।
চার হস্ত অনন্ত পাওয়া।
বিসর্গের পর চন্দ্রবিন্দু তে সব আলো আলো।
পুরুষ পাথর চেপে বসো পুরুষ নারীতে।
গ.
গড়পড়তা পুরুষ
তুমি আজ ঠিকানা খুঁজেছো চন্দনবনে।
বাঘিনী দেখে ভয় পাও কিষান রমণী।
কোথাও কি ঘন্টা বাজে।
চারপাশে সাঁতার উৎসব।
হেরে যাওয়া রমণী পুরুষ
একা একা ভিজে ওঠে ক্লেদ রক্ত-ঘামে।
এই যে ক্ষুধার জ্বলন।
মেহগনি কাঠ।
অশ্ব মেলার দেশে মিলিয়ে নাও অন্তর প্রদাহ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন