অন্যমনে গুচ্ছকবিতায় সাকিব জামাল
===========================
বাটখারা
দুর্জনের বাজারে- সজ্জন ওজনে হালকা!
মর্যাদাবোধের বাটখারা তাই নিজের কাছে রেখো,
মাঝেমাঝে নিজেকে নিজে মেপো।
বিশেষত, ঘুমোতে যাবার পূর্বে-
যখন রাত গভীর হয়, নেমে আসে নিস্তব্ধতা-
সরব করো তখন নিউরন সমস্ত।
নিক্তি নাঁচাও-
দোলে কোন দোলে? দেখো।
ঝুল দুর্জনে হলে বেশি-
পরিশুদ্ধবোধে, সরিয়ে ফেলো-
যতসব ময়লা জমেছিল তোমার সজ্জন মনে।
ওজন বাড়াও নিজের!
প্রতিটি ভোর হোক-
শুভ্রতায় নির্মিত এক নতুন 'তুমি' নিয়ে।
ছায়াজ্ঞান
ক্ষুদ্রজ্ঞানে, কম আলোয়- কেবল 'ভ্রান্তিরা' বড় হয়!
ছায়া-আলোর খেলা নিদর্শন।
আলো যখন তির্যকে পরে-
'দেহ' কম আলো পায়, 'ছায়া' হয় অপেক্ষাকৃত বড়।
অথচ, সরাসরি আলোর নিচে-
'দেহ' প্রায় পূর্ণ আলোকময়, কিন্তু 'ছায়া' ছোট!
জ্ঞানের আলোও তেমন পরে মনের অঙ্গনে।
'আলোকিত মানুষ' তাই, ঠিকই, নিজের 'ক্ষুদ্রতা' রাখে স্মরণে।
বিপরীত বোধে- 'অহম' বড়। মানুষ নয়, আলোও নয়।
ক্ষুদ্রজ্ঞানে, কম আলোয়- কেবল 'ভ্রান্তিরা' বড় হয়!
হরিণী নয়, সিংহী হও নারী!
গাণিতিক হিসাব ধরো-
অথবা, ধরো, বাস্তুতন্ত্রের খাদ্যচক্র-
বাঘের ভয়ে দৌড়ে বেড়ানো- হরিণী, বাঁচতে পারে?
বেঁচে থাকা যায়!
উপায়?
হরিণী নয়, সিংহী হও নারী।
দ্রোহকে ভালোবেসে-
আমি হলফ করে বলতে পারি,
ধর্ষণ, নিপীড়ন, নির্যাতন- সেসব দূরের কথা!
তোমার দেহে-
নখের আঁচড়ও কাটতে পারবে না কেউ!
নিজেকে রূপান্তরে-
নিউরন মাঝে যদি তুলতে পারো ঢেউ।
বাঘের সাথে সমানতালে-
তুমিও চলতে পারো সবখানে, সবসময়।
হরিণী নয়, সিংহী হও নারী।।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন