অন্যমনে গুচ্ছকবিতায় অশোক রায়
========================
========================
নতুন বছর
সে এসে জানলার সুমুখে দাঁড়ায়
তিনশ পঁয়ষট্টি পাতার উপন্যাসটা সবে শেষ হল
সুখ দুঃখ জরা ব্যাধি মৃত্যুর ঘুরপাকে
চলন্ত ট্রেনের কামরায় দুলতে দুলতে কখন বুঝিবা
অচেনা অজানা নতুন স্টেশনে গাড়ি দাঁড়ায়
বাঁচবার বড় সাধ তাইতো কবর খুঁড়ে দুরাশার প্রত্যাগমন
ঘুরতে থাকা গ্রহের ফেরে
বিবর্ণের বঞ্চনা ফোটে রক্তাক্ত গোধুলিতে
দ্রিম দ্রিম আদিম বন নাচে গায় বর্ণময় সোহাগে
তখন কি মনে থাকে টাইরানোসোরাসদের তান্ডব
জীবনোপন্যাসের প্রতিটি পাতা জুড়ে
তবু সে এসে জানলায় দাঁড়ায় ঠিক বারোটায়।।
আবার এসো
বছরটা কেটে গেল শম্বুক স্রোতে
তোমায় ছুঁতে পারলাম না এতো কাছে ছিলে তাও
স্মৃতির ঢেউগুলো ভেঙ্গে পড়ছে অদূরে
তবু তোমার কাছে যেতে পারছি না
শ্মশানে শ্মশানে শবদেহের বারবিকিউ
আমি বসে আছি তোমার আশায়
ফিরে যাব শুধু সেই শরীরি ঘ্রাণে
যেখানে হলুদ মেশে নীলের অভ্রান্ত কোণে
নতুবা আবছায়া সন্ধ্যা-গাছের ডাল
ছোয়াঁর খুব কাছে হৃদয় বেসামাল
চুল পেকেছে তবু ফুল ফোটেনি
আমি ঘুরে ঘুরেও পাইনি আমার ছাউনি
তুমি সবুজ তুমি মিল
অনাবৃত স্বপ্ন গান্ডীব বুকের ভেতর ভীষ্মের পণ...
কাঁটায় কাঁটায়
অনাবিষ্কৃত কোনো গুহায় মিলেনিয়ামের মিছিল
পথ খুঁজে পৌঁছে গেছি ভীমবেঠকার পাশের এক শিবির
হরিণের মত চতুষ্পদী তখনো দৌড়াত লেজ তুলে
এখনো দৌড়ায় এশিয়া থেকে ইউরোপ থেকে আফ্রিকা
পাথরের থালায় চাঁদের হাট কিছু পরে সিডনি অপেরা
ঝরে পড়া শুকনো পাতায় নবেন্দুর আগমনী
নতুন বই ছেপে বেরোচ্ছে একুশ-শতক-তিনশ-পয়ঁষট্টি কপি
বর্ফিলি উপত্যকায় নিষেধের বেড়াজালে
বিশালদেহি বিকৃতমনা কিম্ভুত-কিমাকার
দেয়ালে দেয়ালে প্রস্রাবের কারুকৃতি
কাঁটায় কাঁটায় আলোককণা মিলবে পথের বাঁকে
নিরন্তর গভীর কালো গহ্বর, নিরন্তর অফুরান মধুবন।।
সে এসে জানলার সুমুখে দাঁড়ায়
তিনশ পঁয়ষট্টি পাতার উপন্যাসটা সবে শেষ হল
সুখ দুঃখ জরা ব্যাধি মৃত্যুর ঘুরপাকে
চলন্ত ট্রেনের কামরায় দুলতে দুলতে কখন বুঝিবা
অচেনা অজানা নতুন স্টেশনে গাড়ি দাঁড়ায়
বাঁচবার বড় সাধ তাইতো কবর খুঁড়ে দুরাশার প্রত্যাগমন
ঘুরতে থাকা গ্রহের ফেরে
বিবর্ণের বঞ্চনা ফোটে রক্তাক্ত গোধুলিতে
দ্রিম দ্রিম আদিম বন নাচে গায় বর্ণময় সোহাগে
তখন কি মনে থাকে টাইরানোসোরাসদের তান্ডব
জীবনোপন্যাসের প্রতিটি পাতা জুড়ে
তবু সে এসে জানলায় দাঁড়ায় ঠিক বারোটায়।।
আবার এসো
বছরটা কেটে গেল শম্বুক স্রোতে
তোমায় ছুঁতে পারলাম না এতো কাছে ছিলে তাও
স্মৃতির ঢেউগুলো ভেঙ্গে পড়ছে অদূরে
তবু তোমার কাছে যেতে পারছি না
শ্মশানে শ্মশানে শবদেহের বারবিকিউ
আমি বসে আছি তোমার আশায়
ফিরে যাব শুধু সেই শরীরি ঘ্রাণে
যেখানে হলুদ মেশে নীলের অভ্রান্ত কোণে
নতুবা আবছায়া সন্ধ্যা-গাছের ডাল
ছোয়াঁর খুব কাছে হৃদয় বেসামাল
চুল পেকেছে তবু ফুল ফোটেনি
আমি ঘুরে ঘুরেও পাইনি আমার ছাউনি
তুমি সবুজ তুমি মিল
অনাবৃত স্বপ্ন গান্ডীব বুকের ভেতর ভীষ্মের পণ...
কাঁটায় কাঁটায়
অনাবিষ্কৃত কোনো গুহায় মিলেনিয়ামের মিছিল
পথ খুঁজে পৌঁছে গেছি ভীমবেঠকার পাশের এক শিবির
হরিণের মত চতুষ্পদী তখনো দৌড়াত লেজ তুলে
এখনো দৌড়ায় এশিয়া থেকে ইউরোপ থেকে আফ্রিকা
পাথরের থালায় চাঁদের হাট কিছু পরে সিডনি অপেরা
ঝরে পড়া শুকনো পাতায় নবেন্দুর আগমনী
নতুন বই ছেপে বেরোচ্ছে একুশ-শতক-তিনশ-পয়ঁষট্টি কপি
বর্ফিলি উপত্যকায় নিষেধের বেড়াজালে
বিশালদেহি বিকৃতমনা কিম্ভুত-কিমাকার
দেয়ালে দেয়ালে প্রস্রাবের কারুকৃতি
কাঁটায় কাঁটায় আলোককণা মিলবে পথের বাঁকে
নিরন্তর গভীর কালো গহ্বর, নিরন্তর অফুরান মধুবন।।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন