অন্যমনে গুচ্ছকবিতায় সাহানুকা হাসান শিখা
================================
চাই মুক্তি
চাই মুক্তি দাও শক্তি
তোমায় করি ভক্তি।
বিগত দিনের জ্বালা যন্ত্রনা
প্রাণে তো আর সহ্য হয় না
পুরো বছর জুড়েই জরা আর জরা
বিষাদে কেবল মনটি ভরা।
হারিয়েছি কত আপনজন
বিষন্নতায় ভরা এই মন।
আর চাই না মৃত্যুর মিছিল
বেদনায় শরীর হয়ে আছে নীল।
এই শেষ বিকেলের অন্তিম কালে
মুছে যাক সব যা ছিলো ভালে।
ক্ষমা করে দাও হে প্রভু,
শান্তি চাই সুস্থতা চাই তবু।
অন্যায় অত্যাচার চাই না আর,
খুলে দাও এবার সোনার দ্বার।
শুনো হে নতুন উড়াও কেতন,
এবার করো আদর যতন।
চাই নতুনের সকল স্বাদ
করবো আমরা সুখের আবাদ।
বিশ চলে যাক বুকে নিয়ে বিষ
একুশ হাসুক বাজিয়ে শিস।
আমি যে মেঘবালিকা
শরত গেলে শীতও যাচ্ছে।
বর্ষার অপেক্ষায়।
মেঘের রঙ্গে ধুসর হবো ,
তোমার মনের আয়নায়।
শ্রাবণ মেঘের ভেলায় চড়ে,
আসবো তোমার বুকে।
আষাঢ়ের ঢল নামাবো
আমি ভালোবাসার সুখে।
শ্রাবণের ধারা চৈত্রের খরা,
প্রতি বছর আসে এ ধরা।
নদীর স্রোত, সাগরের ঢেউ
কখনও জীবিত কখনও মরা।
আমার ঘন কালো এলো চুলে
সাজাবো কদম ফুল।
তুমি শুধু ছোয়ে দিও এবার
মায়া কানন দুল।
নীলাম্বরী শাড়ি আর কৃষ্ণ কালো টিপ।
আদরে সোহাগে জ্বালাবো আমি ভালোবাসার দীপ।
সবুজের মাঝে লুকিয়ে আছে কত যে অজানা কথা।
কাছে এসো না জেনে যাবে তুমি আমার মনের ব্যথা।
চঁাপার ডালে কনক চাঁপাI রইবো আমি ফুটি।
বসন্ত এলে মনের আনন্দে করবো শুধু লুটোপুটি।
আমি বীরাঙ্গনা
আমি তো নয় কোন পরিযায়ী আমার আছে যুদ্ধ শিশু।
আমি বীরাঙ্গনা,আমি সতী সাবিত্রী আমার সন্তান এক যীশু।
আমার ঠাঁই আমার বাসস্থান এই বাংলার প্রতিটি ঘরে।
আমার চুল শুকাবে এই উঠোনের সোনালী রোদ্দুরে।
আমার কাবিন নামায় আছে এই সোনার বাংলাদেশ।
আমি ধর্ষিতা হই নি তো, কবুল করেছি মুক্তিযুদ্ধের আদেশ।
আমি লড়ছি আমার শরীর দিয়ে, রক্ত জমাট বেঁধেছে জঠরে।
আমি শুনেছি শিশুর চিৎকার জয় বাংলা, জয় বাংলা প্রতিটি প্রহরে।
জন্ম নিয়েছে এক সূর্য সন্তান এক টুকরো শ্যমল ভুমি।
আজ আমি দাঁড়াবো মাথা উঁচু করে, স্বাধীনতার পতাকা চুমি।
চাই মুক্তি দাও শক্তি
তোমায় করি ভক্তি।
বিগত দিনের জ্বালা যন্ত্রনা
প্রাণে তো আর সহ্য হয় না
পুরো বছর জুড়েই জরা আর জরা
বিষাদে কেবল মনটি ভরা।
হারিয়েছি কত আপনজন
বিষন্নতায় ভরা এই মন।
আর চাই না মৃত্যুর মিছিল
বেদনায় শরীর হয়ে আছে নীল।
এই শেষ বিকেলের অন্তিম কালে
মুছে যাক সব যা ছিলো ভালে।
ক্ষমা করে দাও হে প্রভু,
শান্তি চাই সুস্থতা চাই তবু।
অন্যায় অত্যাচার চাই না আর,
খুলে দাও এবার সোনার দ্বার।
শুনো হে নতুন উড়াও কেতন,
এবার করো আদর যতন।
চাই নতুনের সকল স্বাদ
করবো আমরা সুখের আবাদ।
বিশ চলে যাক বুকে নিয়ে বিষ
একুশ হাসুক বাজিয়ে শিস।
আমি যে মেঘবালিকা
শরত গেলে শীতও যাচ্ছে।
বর্ষার অপেক্ষায়।
মেঘের রঙ্গে ধুসর হবো ,
তোমার মনের আয়নায়।
শ্রাবণ মেঘের ভেলায় চড়ে,
আসবো তোমার বুকে।
আষাঢ়ের ঢল নামাবো
আমি ভালোবাসার সুখে।
শ্রাবণের ধারা চৈত্রের খরা,
প্রতি বছর আসে এ ধরা।
নদীর স্রোত, সাগরের ঢেউ
কখনও জীবিত কখনও মরা।
আমার ঘন কালো এলো চুলে
সাজাবো কদম ফুল।
তুমি শুধু ছোয়ে দিও এবার
মায়া কানন দুল।
নীলাম্বরী শাড়ি আর কৃষ্ণ কালো টিপ।
আদরে সোহাগে জ্বালাবো আমি ভালোবাসার দীপ।
সবুজের মাঝে লুকিয়ে আছে কত যে অজানা কথা।
কাছে এসো না জেনে যাবে তুমি আমার মনের ব্যথা।
চঁাপার ডালে কনক চাঁপাI রইবো আমি ফুটি।
বসন্ত এলে মনের আনন্দে করবো শুধু লুটোপুটি।
আমি বীরাঙ্গনা
আমি তো নয় কোন পরিযায়ী আমার আছে যুদ্ধ শিশু।
আমি বীরাঙ্গনা,আমি সতী সাবিত্রী আমার সন্তান এক যীশু।
আমার ঠাঁই আমার বাসস্থান এই বাংলার প্রতিটি ঘরে।
আমার চুল শুকাবে এই উঠোনের সোনালী রোদ্দুরে।
আমার কাবিন নামায় আছে এই সোনার বাংলাদেশ।
আমি ধর্ষিতা হই নি তো, কবুল করেছি মুক্তিযুদ্ধের আদেশ।
আমি লড়ছি আমার শরীর দিয়ে, রক্ত জমাট বেঁধেছে জঠরে।
আমি শুনেছি শিশুর চিৎকার জয় বাংলা, জয় বাংলা প্রতিটি প্রহরে।
জন্ম নিয়েছে এক সূর্য সন্তান এক টুকরো শ্যমল ভুমি।
আজ আমি দাঁড়াবো মাথা উঁচু করে, স্বাধীনতার পতাকা চুমি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন