অন্যমনে গুচ্ছকবিতায় বন্যা ব্যানার্জী
==========================
==========================
করবীমালা
ভয় কেন পাও গাছেদের ঘুমে
প্রচ্ছদ ভোরে ওঠে বঝশেখের ঝড়
মরু বুকে জমা যত বালুকণা জানে
রাজার যুদ্ধে কারা ভেঙেছে পাথর।
তোমার পথেতে দাবী ফুলের সুবাস
শতরাত জেগে থাকা নন্দিনী মন
স্পন্দনে ভরে দাও ক্ষীন নাভি তট
প্রেমিক শহরে তুমি আজো রঞ্জন।।
ভয় কেন পাও গাছেদের ঘুমে
প্রচ্ছদ ভোরে ওঠে বঝশেখের ঝড়
মরু বুকে জমা যত বালুকণা জানে
রাজার যুদ্ধে কারা ভেঙেছে পাথর।
তোমার পথেতে দাবী ফুলের সুবাস
শতরাত জেগে থাকা নন্দিনী মন
স্পন্দনে ভরে দাও ক্ষীন নাভি তট
প্রেমিক শহরে তুমি আজো রঞ্জন।।
সেতু বাঁধো
সেতু বাঁধো কেবল ই বেঁধে চলো।
বেহালা শরীর তবু শীত জ্বর জ্বর
খানিক আগুন তবে নিও রেঁধে।
কথা রাখো,ফিরে আসা আঁকো
গোধূলী ডানায় যদি ক্লান্ত বিষাদ
তোমার আকাশ চোখ অমলিন চাঁদ।
শুনে দেখো।বুভুক্ষু দেশ আজো
ক্ষীদের সেতারে গলা সাধেশুষে নেয় বিষ।
তাই সেতু বাঁধো,কেবল ই বেঁধে চলো।
আত্মজা
ক্ষিদের ভেতর আজন্ম কাল মা বসে থাকে।
পরিশ্রমী,ক্লান্ত,ঘুমে হেলে যায় মাথা।
অসুখের ভেতর,কান্নার ভেতর।তারপর একদিন আমার ই ভেতর ভাত বেড়ে দেয় মা।
দেওয়াল
একদিন পুরনো খামেরা চেনা অভ্যাসে বেরিয়ে আসতে চাইলো লেটার বক্স থেকে।বাতাসের সঙ্গে তাদের নিভৃত আলাপ। ছেঁড়া কার্পেটে হাঁটু মুড়ে বসে নোনা ধরা ইচ্ছে রা। পালক ভাঙা আলোর ভাঁজে তারা লিখে ফেলল সম্পর্কের শিরাকাটা ক্ষতিয়ান।
ধূয়ে যায় পর্দার রং।কংক্রিটে চাপা পড়া একটি মেঘের কান্নার সঙ্গে প্রতিবাদী ঠোঁট মুখোমুখি হয়না আর।শুধু বাতাস আঘাত সয়ে ফেরে মজবুত দেওয়ালে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন