অন্যমনে সাহিত্য. অন্য রকম দৃষ্টিকোন থেকে দেখা একটি প্রতিবিম্ব ভাবনা .. অন্যমনে সাহিত্য.

মঙ্গলবার, ১২ জানুয়ারী, ২০২১

অন্যমনে গুচ্ছকবিতায় অঙ্কন গুচ্ছাইত 

 


অন্যমনে গুচ্ছকবিতায় অঙ্কন গুচ্ছাইত
=========================== 

দুষ্টু’র এলো সফলতা


দুষ্টু ছেলের নানান বায়না

পড়ালেখায় অষ্টরম্ভা !

বাবা-মা করেন প্রার্থনা

“ঈশ্বর- এর মগজে দিন প্রভা”।



ওর জীবনে এলো তমসা

ধীরে-ধীরে সবাই করলো অবজ্ঞা ।

ঘৃণা’র অবসান ঘটাতে সহসা

বড়দের আদেশে চলার নিল প্রতিজ্ঞা ।



মুছে দিল সব মলিনতা

এখন জীবনের করলো সূচনা ।

সব কর্মে এলো ব্যাকুলতা

কৈশোরে নিয়ে এলো যোগ্য নমুনা !





লেখাপড়া


লেখাপড়ায় পাইনা মজা,

পিটুনির ভয়ে পড়ি সহজ-সোজা ।

গল্পতে জমে যায় যখন মন,

হাত থেকে ছেড়ে যায় তখন কলম ।

বইয়ের বোঝা দেখতে লাগে সাজা

হাতে খড়ি কেন করিয়ে ছিলো দিদা ।

খেলাধূলার কথা শুনলে এমন

দৌড়ে যাই আমরা সকলে তখন ।

আমাদের নিয়ে বসে মিটিং

বাবা-মায়ের মুখ হয় ক্ষীণ ।

এগিয়ে দুই-কক্ষে জানলাম...

না পড়লে, হতে পারবোনা সক্ষম ।

শিক্ষক ও বাবা-মা কেন বকে এতে বুঝলাম,

আজ থেকে নিলাম ঠান, করবোনা আর অভিমান ।




গোপনে পি.এইচ.ডি.

বাংলা পাড়ায় মদন দাদু তিনি বলতেন

বাংলায় করেছেন পি.এইচ.ডি.;

নেই কোন ভাষা জ্ঞান,

ছন্দে ও বানানে করেন শুধু’ই ভুল ।



পাড়ার মোড়ে দেয় ভাষণ্

লাইনের-পর-লাইন্,

আমি অনেক লিখি কবিতা ও ছড়া

কেউ করায় না আমায় সামিল ।



পাড়ার ছেলে দমন বললো তখন

তোমার লিখায় দেব সুর

হয়ে উঠবে ওটা গান নতুন;

সবাই শুনে করবে তোমার নাম-- মদন ।



খুশিতে জমিয়ে নিল অনেক লিখন,

এই সব ছিল তাঁর গোপন;

প্রশংসাপত্রে ছিল যে নাম--

তিনি আর এক-- মদন !



দাদু খুঁজেছে অনেক দিন ও মাস

পায়নি কোথাও, না ছিল তখন কোনও সোশ্যাল মিডিয়া,

শেষে নিজেকে নিয়েছিল লুকিয়ে কয়টা বছর ও মাস,

ফিরে, নিয়ে এলো প্রশংসাপত্রে আছে লেখা পি.এইচ.ডি. “মদন” ।

                       

 

  

 

 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন