অন্যমনে গুচ্ছকবিতায় কৌশিক চক্রবর্ত্তী
=============================
দেবদারু ও কুড়িয়ে তোলা ছায়ারা
আশ্চর্য ঝুরি-বাকল নিয়ে একটা দেবদারু গাছ শুয়ে আছে
রাস্তা বন্ধের নামে বহুক্ষণ ধরে চলছে অবরোধ
নিয়ম মেনে একধারে দাঁড়িয়ে রয়েছে পাইলট কার
অন্যধারে রুল হাতে সশস্ত্র সেনা-
এতক্ষণ পরে কথা বলে উঠলো কেউ
হয়ত গাছটা। হয়তবা গাছের মতো দেখতে স্বাধীন জনতাও।
হয়ত চিৎকার করে বলছে উঠে দাঁড়ানোর কথা
আর এইসব শোনার পরেও আমার মতো ছায়া হাতে দাঁড়িয়ে আছে সকলে
মুঠো থেকে একটুখানি ছায়া রাস্তায় পড়লেই
হাত বাড়িয়ে কুড়িয়ে নিচ্ছে গাছটা
চেয়ে দেখছে এ ছায়া তার কৈশোরের পরিচিত কিনা-
অবশেষে সবটা মেখে নিচ্ছে সমস্ত শরীরে।
কিন্তু সবকিছু বুঝে নিলেও আজ আর দাঁড়াতে সক্ষম নয় সে...
সব শর্ত মেনে তার দাঁড়ানোর ইচ্ছেয় শিলমোহর পড়েছে যথারীতি
কিন্তু প্রতিবারের মতো চোরাকারবারির দল আবার প্রকাশ্যে নগ্ন করেছে তাকে...
সকলের নিঃশ্বাস শুষে নিয়ে গাছটাও প্রদর্শন করেছে অবাধ যৌবন।
শুধু একবার পিছন ফিরে দেখো-
প্রতিটা বিছানার একপাশে এভাবেই শুয়ে আছে নামহীন দেবদারুর শব।
আবার চেনা শব্দ... অন্ধকারের খোঁজ... কুড়িয়ে তোলা ছায়া...
ওরা আসছে৷ আজ মৃত শরীরের শেষটুকু নিলামে তোলবার দিন...
বিছানা
বিছানায় ওঠবার আগে আমি প্রতিদিন মাপি নিজের ওজন
যেদিন একটু কম দেখি সেদিন খাবার থালায় ঝুলিয়ে আসি সমস্ত সংযম
আর ওজন বেশি হলে চৌকাঠে বসে থাকি দৌড়নোর অছিলায়
বিগত ছ'মাস আর ওজন বদলায় নি একটুও
আজ দাঁড়িপাল্লায় ওঠার আগে স্নানঘরে ফেলে এসেছি ঘুমের ওষুধ
ঘর বদলে গেছে
বদলে গেছে হাতে গড়া রুটির আকার। শীর্ণকায়।
আজ ওজনহীন শহর নিলামে তুলেছে আমার বিছানা।
হে বিশ্বায়ন, খবর নাও
বিছানা ঘেঁটে ছায়া কুড়নোর সময় কুড়িয়ে তোলা হাঁড়ি
ভাতের উপদ্রব নির্মীয়মান আকাশচুম্বী ঘরে
খেলা করার জন্য যেমন প্রয়োজন নীলচে মশারি
তেমন ভাবে আর ভাবা হয়নি কখনও
হে বিশ্বায়ন, খবর নাও!
খবর নাও কোনো পালটে যাওয়া ভিতে
নারকোল জলে কতটা মেশানো ছিল টক্সিনের গন্ধ
দিনমজুরিতে ফিরে পাওয়া আয়ে অধিকারের সিঁড়ি-
এদিকে উঠতে গিয়ে হোঁচট খাবার খবর
আনাচেকানাচে ছড়িয়ে যাচ্ছে বাদুড়ের গায়ে
হে বিশ্বায়ন, খবর নাও!
হঠাৎ হাসিল করা ঝরে পড়া ঘাম
শোকেসে সাজিয়ে রাখা অস্ফুটে নিভে যাওয়া কথা
আর ধ্বংসের আগে পাওয়া প্রাগৈতিহাসিক রিপোর্টারের জিভ
হে বিশ্বায়ন, খবর নাও!
আমি জানিনা
তারা সকলেই শেষমেশ কাকে বিশ্বাস করতে চেয়েছিল...
আশ্চর্য ঝুরি-বাকল নিয়ে একটা দেবদারু গাছ শুয়ে আছে
রাস্তা বন্ধের নামে বহুক্ষণ ধরে চলছে অবরোধ
নিয়ম মেনে একধারে দাঁড়িয়ে রয়েছে পাইলট কার
অন্যধারে রুল হাতে সশস্ত্র সেনা-
এতক্ষণ পরে কথা বলে উঠলো কেউ
হয়ত গাছটা। হয়তবা গাছের মতো দেখতে স্বাধীন জনতাও।
হয়ত চিৎকার করে বলছে উঠে দাঁড়ানোর কথা
আর এইসব শোনার পরেও আমার মতো ছায়া হাতে দাঁড়িয়ে আছে সকলে
মুঠো থেকে একটুখানি ছায়া রাস্তায় পড়লেই
হাত বাড়িয়ে কুড়িয়ে নিচ্ছে গাছটা
চেয়ে দেখছে এ ছায়া তার কৈশোরের পরিচিত কিনা-
অবশেষে সবটা মেখে নিচ্ছে সমস্ত শরীরে।
কিন্তু সবকিছু বুঝে নিলেও আজ আর দাঁড়াতে সক্ষম নয় সে...
সব শর্ত মেনে তার দাঁড়ানোর ইচ্ছেয় শিলমোহর পড়েছে যথারীতি
কিন্তু প্রতিবারের মতো চোরাকারবারির দল আবার প্রকাশ্যে নগ্ন করেছে তাকে...
সকলের নিঃশ্বাস শুষে নিয়ে গাছটাও প্রদর্শন করেছে অবাধ যৌবন।
শুধু একবার পিছন ফিরে দেখো-
প্রতিটা বিছানার একপাশে এভাবেই শুয়ে আছে নামহীন দেবদারুর শব।
আবার চেনা শব্দ... অন্ধকারের খোঁজ... কুড়িয়ে তোলা ছায়া...
ওরা আসছে৷ আজ মৃত শরীরের শেষটুকু নিলামে তোলবার দিন...
বিছানা
বিছানায় ওঠবার আগে আমি প্রতিদিন মাপি নিজের ওজন
যেদিন একটু কম দেখি সেদিন খাবার থালায় ঝুলিয়ে আসি সমস্ত সংযম
আর ওজন বেশি হলে চৌকাঠে বসে থাকি দৌড়নোর অছিলায়
বিগত ছ'মাস আর ওজন বদলায় নি একটুও
আজ দাঁড়িপাল্লায় ওঠার আগে স্নানঘরে ফেলে এসেছি ঘুমের ওষুধ
ঘর বদলে গেছে
বদলে গেছে হাতে গড়া রুটির আকার। শীর্ণকায়।
আজ ওজনহীন শহর নিলামে তুলেছে আমার বিছানা।
হে বিশ্বায়ন, খবর নাও
বিছানা ঘেঁটে ছায়া কুড়নোর সময় কুড়িয়ে তোলা হাঁড়ি
ভাতের উপদ্রব নির্মীয়মান আকাশচুম্বী ঘরে
খেলা করার জন্য যেমন প্রয়োজন নীলচে মশারি
তেমন ভাবে আর ভাবা হয়নি কখনও
হে বিশ্বায়ন, খবর নাও!
খবর নাও কোনো পালটে যাওয়া ভিতে
নারকোল জলে কতটা মেশানো ছিল টক্সিনের গন্ধ
দিনমজুরিতে ফিরে পাওয়া আয়ে অধিকারের সিঁড়ি-
এদিকে উঠতে গিয়ে হোঁচট খাবার খবর
আনাচেকানাচে ছড়িয়ে যাচ্ছে বাদুড়ের গায়ে
হে বিশ্বায়ন, খবর নাও!
হঠাৎ হাসিল করা ঝরে পড়া ঘাম
শোকেসে সাজিয়ে রাখা অস্ফুটে নিভে যাওয়া কথা
আর ধ্বংসের আগে পাওয়া প্রাগৈতিহাসিক রিপোর্টারের জিভ
হে বিশ্বায়ন, খবর নাও!
আমি জানিনা
তারা সকলেই শেষমেশ কাকে বিশ্বাস করতে চেয়েছিল...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন